৩৮টির মধ্যে ৩৫ আসনের ভোটে সন্তুষ্ট ইসি

0
538

ভোটের দিন বেলা সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন কমিশনের মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের একটি প্রতিবেদন দেয় কমিশন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ২৯৯ আসনের মধ্যে ছয় জেলার ৩৮টি আসনের পরিস্থিতি তুলে ধরেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর মধ্যে ৩৫টি আসনের ভোট সন্তোষজনক ও ৩টি আসনে সংঘর্ষের কথা বলা হয়। সংঘর্ষ হওয়া আসন তিনটিতে একজন পুলিশ গুলিবিদ্ধ, তিনজন আনসার আহত এবং দুটি ভোটকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বলেও জানানো হয়।
৩০ ডিসেম্বর, রবিবার ভোটের দিন বেলা সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন কমিশনের মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের একটি প্রতিবেদন দেয় কমিশন। এতে সই করেছেন ইসির সহকারী সচিব রৌশন আরা বেগম। এর আগে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসাররা নির্বাচন কমিশনে এই প্রতিবেদন দেন।
সন্তোষজনক ৩৫টি আসন হলো টাংগাইল ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮; জামালপুর ১, ২, ৩, ৪, ৫; ময়মনসিংহ ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯, ১০ ১১; নেত্রকোনা ১, ২, ৩, ৪, ৫; কিশোরগঞ্জ ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬।
শেরপুর ১, ২ ও ৩ আসনের বিষয়ে দুপুর ২টা ১৫ মিনিটের পরিস্থিতি তুলে ধরেন শেরপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক এ টি এম জিয়াউল ইসলাম।
সংঘর্ষের বর্ণনা দিয়ে তার মন্তব্যে বলা হয়, ‘শেরপুর জেলার তিনটি নির্বাচনি এলাকার ভোটগ্রহণ সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে শান্তিপূর্ণভাবে চলছিল। কয়েকটি কেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ব্যতীত ১২টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত সব কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছিল। শেরপুর-১ আসনের ২০ নম্বর জামিয়া আরাবিয়া তালিমুননেছা মহিলা মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্র (মহিলা ভোটকেন্দ্র) এবং ৩১ নম্বর সাহাব্দিরচর মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (পুরুষ ও নারী ভোটকেন্দ্র) ভোটকেন্দ্রে দখলের চেষ্টা করে। তারা ব্যালট পেপার ছিনতাই করে নিয়ে যায় এবং ব্যালট বাক্স ভাঙচুর করে। পরিস্থিতি প্রিজাইডিং অফিসারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং অফিসাররা ভোটকেন্দ্র দুটি বন্ধ ঘোষণা করেন। ২০ নম্বর কেন্দ্রে একজন পুলিশ গুলিবিদ্ধ হয় এবং তিনজন আনসার সদস্য আহত হন। ৩১ নম্বর কেন্দ্রে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসাররা একজন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হন। এ ছাড়া অন্যান্য নির্বাচনি এলাকার পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে।