২০১৫ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে হারটাই বদলে দিয়েছে ইংল্যান্ডকে। সেবার টাইগারদের বিপক্ষে হারটা হজম করতে পারেনি ইংলিশরা। বিদায় নেয় প্রথম পর্ব থেকেই। তখন থেকেই ঘুরে দাঁড়ানো শুরু। ইউটার্ন করে এবারের আসরের ফাইনালে ইংল্যান্ড। ১৯৯২ সালের পর ২৭ বছর পর বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠল ক্রিকেটের জনক দেশটি।
এবারের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের ফাইনালে ওঠা নিয়ে কারো তেমন সন্দেহ ছিল না। তবে গ্রুপপর্বে পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলংকার বিপক্ষে হেরে গিয়ে সম্ভাবনার রাস্তায় পানি ঢেলে দেয় ইংল্যান্ড। এরপর থেকেই আলোচনা শুরু হয় ইংল্যান্ডের হম্বিতম্বি তাহলে এই পর্যন্ত!
কিছুটা ভাগ্যের ছোঁয়া পেয়েই সেমিফাইনালে ওঠে ইংল্যান্ড। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটা জিতে একটা লাইফলাইন পান মরগানরা। পাকিস্তান অবশ্য আফসোস করতেই পারে, সেদিন ধোনি আরেকটু মেরেকেটে খেললে সেমিফাইনালেই ওঠা হতো না ইংল্যান্ডের।
সেমিফাইনালে দেখা মিলল অন্য ইংল্যান্ডের। অস্ট্রেলিয়াকে দুমড়ে মুচড়ে দিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিলো স্বাগতিক দেশটি। অজিদের দেওয়া ২২৪ রানটা ১০৭ বল আর ৮ উইকেট হাতে রেখে জিতল ইংল্যান্ড।
সর্বশেষ ১৯৯২ সালে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল দেশটি। সেবার ইমরান খানের পাকিস্তানের সঙ্গে পেরে ওঠা হয়নি। ইমরানের ব্যাটিং ও মুশতাক আহমেদের বোলিংয়ের সামনে অসহায় হয়ে পড়েন গুচ-বোথামরা। তারও আগে ১৯৭৯ ও ১৯৮৭ সালের আসরে ফাইনালে ওঠে ইংলিশরা। কোনোবারই ট্রফিটা ছুঁয়ে দেখা হয়নি।
এবার ট্রফিটা ইংল্যান্ডেই থাকার সম্ভাবনা বেশি। রয়, রুট, বেয়ারস্টো,মরগান,আর্চার,উকসরা যেমন বিধ্বংসী ফর্মে আছেন তাতে করে ট্রফিটা ইংলিশদের হাতছাড়া হলে অবাকই হকে ক্রিকেট বিশ্ব।