২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ফের কঠোর লকডাউন জারি

0
197
২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ফের কঠোর লকডাউন জারি

খুলনাটাইমস ডেস্ক:
আসন্ন ঈদের জন্য ৮ দিন ‘বিধি-নিষেধ’ শিথিল করেছে সরকার। দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে আগামী ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত আরোপিত সব বিধি-নিষেধ শিথিল করেছে সরকার। করোনা সংক্রমণের মধ্যেই ঈদে মানুষের চলাচলে ‘বিধি-নিষেধ’ শিথিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। একই মহামারী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে ঈদের পর আগামী ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ফের কঠোর লকডাউন জারি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে আগামী ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত ‘বিধি-নিষেধ’ শিথিল করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। একই প্রজ্ঞাপনে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট দিনগত রাত ১২টা পর্যন্ত ‘কঠোর বিধি-নিষেধ’ দেওয়া হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন, জনসাধারণের যাতায়াত, ঈদ পরবর্তী ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা, দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত আরোপিত সব ‘বিধি-নিষেধ’ শিথিল করা হলো। তবে, এ সময়ে সর্বাবস্থায় জনসাধারণকে সতর্কাবস্থায় থাকা এবং মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে। একইসাথে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত বিধি-নিষেধ আরোপ করা হলো।
এতে আরও বলা হয়েছে, লকডাউনে সড়ক, রেল ও নৌপথে সকল প্রকার যানবাহন বন্ধ থাকবে। শপিং মল ও দোকান পাট বন্ধ থাকবে। জনসমাবেশ হয় এমন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট মানতে হবে যেসব বিধিনিষেধ
১. সব সরকারী, আধাসরকারী, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে।
২. সড়ক, রেল ও নৌপথে গণপরিবহন (অভ্যন্তরীণ বিমানসহ) ও সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।
৩. শপিংমল/মার্কেটসহ সব দোকানপাট বন্ধ থাকবে।
৪. সব পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে।
৫. সব ধরনের শিল্প-কলকারখানা বন্ধ থাকবে।
৬. জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক [বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান (ওয়ালিমা), জন্মদিন, পিকনিক, পার্টি ইত্যাদি], রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
৭. বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আদালতের বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে।
৮. ব্যাংকিং/বীমা/আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে।
৯. সরকারি কর্মচারীরা নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন এবং দাফতরিক কাজ ভার্চুয়ালি (ই-নথি, ই-মেইল, এসএমএস, হোয়াটসঅ্যাপসহ অন্যান্য মাধ্যম) সম্পন্ন করবেন।
১০. আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন-কৃষি পণ্য ও উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন/বিক্রয়, ত্রাপ বিতরণ, স্বাস্থ্য সেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) প্রদান কার্যক্রম, রাজস্ব আদায় সম্পর্কিত কার্যাবলী, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাক সেবা, ব্যাংক, ভিসা সংক্রান্ত কার্যক্রম, সিটি করপোরেশন/পৌরসভা (পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা, সড়কের বাতি ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি কার্যক্রম), সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, ফার্মেসি ও ফার্সাসিউটিক্যালসসহ অন্যান্য জরুরি/অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহের কর্মচারী ও যানবাহন প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে যাতায়াত করতে পারবে।
উল্লেখ্য, আগামী ২১ জুলাই বাংলাদেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। এর আগে গত ১ জুলাই থেকে ‘কঠোর বিধি-নিষেধ’ আরোপ করে সরকার। ১৪ জুলাই ‘কঠোর বিধি-নিষেধের’ দুই সপ্তাহ শেষ হচ্ছে। এই সময়ে সরকারি-বেসরকারি অফিস, গণপরিবহন এবং শপিংমল বন্ধ রাখা হয়।