২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায়ে খুলনায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া,আহত ৭

0
380

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় জড়িত থাকার দায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও বিএনপি নেতা আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

একইসঙ্গে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া আরও ১১ আসামিকে।

বুধবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে রায় ঘোষণার পর খুলনা জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ সন্তোষ প্রকাশ করে আনন্দ মিছিল করেছে। অপরদিকে তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে ফাঁসি ও যাবজ্জীবন সাজা দেওয়ার প্রতিবাদে খুলনা জেলা যুবদল ও ছাত্রদল বিক্ষোভ মিছিল করেছে। শান্তিধাম মোড় এলাকায় মহানগর স্বেচ্ছাসেদক দলের সভাপতি এস এম একরামুল হক হেলালের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।

খুলনা মহানগরীর সিটি কলেজের সামনে থেকে জেলা যুবদল ও ছাত্রদল মিছিল নামিয়ে পিটিআই মোড়ের দিকে যাওয়ার পথে মিছিলে হামলার ঘটনা ঘটে। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয় ছাত্রলীগ ও মিছিলকারীদের সাথে। এসময় যুবদল ও ছাত্রদলের ৭ জন আহত হন।

আহতরা হলেন- জেলা যুবদলের ভাইস প্রেসিডেন্ট শেখ কচি, সাধারণ সম্পাদক ইবাদুল হক রুবায়েদ, দপ্তর সম্পাদক জিএম রাসেল, যুবদল নেতা হেমায়েত রশিদ, জেলা ছাত্রদলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মাসুম, সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম ও মহানগর ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জাফর ইকবাল।

জেলা যুবদলের দপ্তর সম্পাদক জিএম রাসেলের দাবি, তাদের মিছিলে পুলিশের সামনে ছাত্রলীগ লাঠি-শোটা, রড ও অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে ৭ নেতা-কর্মী আহন হন। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

তবে খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গুমায়ুন কবীরের দাবি, যুবদল ও ছাত্রদলের মিছিলে কোন হামলার ঘটনা বা কেউ আহত হয়নি।

মহানগর আওয়ামী লীগের অফিসের সামনে থেকে আনন্দ মিছিল বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে। এতে খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এবং খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিজানসহ ছাত্রলীগ ও আ’লীগের নেতারা অংশগ্রহন করেন।

মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আওয়ামী লীগ নেতারা ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

এই সাথে তারা বলেন, হামলার যে প্ল্যানার বা মাস্টারমাইন্ড, তার শাস্তি হওয়া উচিত ছিল সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।