২০২০ : আমরা যদি না জাগি, কেমনে সকাল হবে…

0
314

বাংলাদেশে স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে ক্রমশ স্বাধীনতা বিরোধী-দুর্নীতিবাজরা দ্বন্দ্ব-সংঘাত তৈরি করেছে স্বাধীনতা-স্বাধীকার ভুলুণ্ঠিত করার জন্য। ২০১৯ সালে এসে স্বাধীনতার ৪৯ বছর পরও হয়তো এ কারণে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রপ সায়েন্স বিভাগে শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন ও শিক্ষকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এক পক্ষের সংবাদ সম্মেলন চলাকালে শিক্ষকদের মধ্যে বাগিবতন্ডা এবং হাতাহাতি শুরু হয়। পরে সংবাদ সম্মেলন পন্ড হয়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে যখন হাতাহাতির সংবাদ গণমাধ্যমে উঠে আসে, তখন বুঝতেই হবে যে, জঙ্গী-জামায়াত-স্বাধীনতা বিরোধী-দুনীতিবাজরা অনেক পরিকল্পিত এবং সংগঠিত, যে কারণে এমন দ্বন্দ্ব দানা বাঁধানোর শক্তি তারা রাখে।
ন্যাক্কারজনক হলেও সত্য যে, ২০১৯ সালের শেষ দিনে এসে শিক্ষকদের হাতাহাতির মধ্যদিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যলয়। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম। এ সময় অন্য পক্ষের শিক্ষকরা সেখানে উপস্থিত হলে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়।
যদিও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেছেন- ‘বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে কথা বলতে গত ২২ ডিসেম্বর ও ২৬ ডিসেম্বর প্ল্যানিং কমিটির ৫৭ ও ৫৮তম দুটি সভা আহ্বান করি। কিন্তু সভায় কোনো সদস্যই উপস্থিত হয়নি। পরে আমি বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির অনুমতি নিয়ে সভা শেষ করি।’ এ সময় বিভাগের শিক্ষক কাওছার আলী, নূরুল আলমসহ কয়েকজন এসে সভাপতির বক্তব্যকে মিথ্য ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করতে থাকেন। এ সময় দুই পক্ষের শিক্ষকদের মধ্যে বাগিবতন্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে তাঁরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। এর আগে অধ্যাপক আলী আসগর, নূরুল আলমসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তাঁরা অধ্যাপক সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, ‘সাইফুল ইসলাম গত ২২ ও ২৬ ডিসেম্বর বিভাগের প্ল্যানিং কমিটির দুটি সভা ও রেজল্যুশন দেখিয়েছেন। আমরা প্ল্যানিং কমিটির সদস্য। কিন্তু সভার আগে আমরা কোনো আমন্ত্রণপত্র পাইনি। বিভাগে উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম প্ল্যানিং কমিটির ৫৭ ও ৫৮তম সভায় সদস্যদের ডাকেননি।
এমন অনাকাঙ্খিত ঘটনার রাজ্যে যখন তখন যে কারো জীবন চলে যেতে পারে। যে কেউ হামলার শিকার হতে পারেন। পুলিশের নির্যাতনের শিকারও হতে পারেন আপনি। এমনই শঙ্কা-উৎকন্ঠার মধ্যদিয়ে দেখতে দেখতে কেটে গেছে ২০১৯। নতুন বছরে আগমনে বিগত বছরের ঘটে যাওয়া নানান ঘটনাই ঘটনার ঘনঘটায় গত হয়ে যায়। বছর শেষে চলতি বছরের আলোচিত ঘটনাগুলো মনে হলে এখনো গা শিউরে উঠছে। ২০১৯-এর জানুয়ারির বিশেষ ঘটনা হলো- ৩ জানুয়ারি নবনির্বাচিত একাদশ জাতীয় সংসদ সদস্যরা শপথ নেন। ৫ জানুয়ারি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ষষ্ঠ আসরের পর্দা ওঠে। ৭ জানুয়ারি শেখ হাসিনা চতুর্থ মন্ত্রিসভা গঠন করেন। ৯ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে স্থগিত তিনটি কেন্দ্রে পুনঃ ভোটগ্রহণ করা হয়। ২৭ জানুয়ারি গাইবান্ধা-৩ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ফেব্রুয়ারির ঘটনাগুলো হলো- ৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ষষ্ঠ আসরের ফাইনালে ঢাকা ডাইনামাইটসকে ১৭ রানে পরাজিত করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা লাভ করে। ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় চকবাজারে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। সেখানে একটি গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণে সৃষ্ট আগুন পার্শ্ববর্তী ভবনগুলোয় ছড়িয়ে পড়ে। এতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে ৭৮ জন মারা যান। ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা থেকে উড্ডয়নের পর বাংলাদেশ বিমানের ময়ূরপঙ্খী উড়োজাহাজটি ছিনতাই হয়। পরে বিমানটি চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। কমান্ডো অভিযানে ছিনতাইকারী গুলিবিদ্ধ হন ও পরে মারা যান। ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আতিকুল ইসলাম মেয়র নির্বাচিত হন। ২৮ ফেব্রুয়ারি ভাসানটেকে বস্তিতে আগুন লেগে দুই শিশু মারা যায়। এরপর মার্চের ঘটনা এগিয়ে যায় আরো দ্রুত ঠক এভাবে- ১ মার্চ মিয়ানমার অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল দলকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল দল। ১০ মার্চ প্রথম ধাপে ৭৮টি উপজেলায় উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১১ মার্চ ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নুরুল হক নুর সহসভাপতি (ভিপি) এবং ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ডাকসু সাধারণ সম্পাদক (জিএস) নির্বাচিত হন। ২৮ মার্চ ঢাকার বনানীতে এফআর টাওয়ারে অগ্নিকা-ে বিদেশি নাগরিকসহ ২৬ জনের মৃত্যু হয়। এদিন সড়ক দুর্ঘটনাসহ বিভিন্ন ঘটনায় মোট ৪৭ জনের মৃত্যু হয়। ৩০ মার্চ ঢাকার গুলশানের ডিএনসিসি মার্কেটে আগুন লেগে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। সমালোচনার রাজনীতিতে এপ্রিল এগিয়েছে এভাবে- ৬ এপ্রিল ফেনীর মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে ঝলসে দেয়া হয়। ৯ এপ্রিল নুসরাত জাহান রাফি রাত সাড়ে ৯টায় মৃত্যুবরণ করেন। আর জুন মাসে এসে ২৪ জুন বগুড়া-৬ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। জুলাইতে আমরা দেখেছি- ১৪ জুলাই বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও সেনাপ্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ মৃত্যুবরণ করেন। আগস্টে ঘটেছে সন্ত্রাস নৈরাজ্যের পালাবদল রাজনীতি। সেপ্টেম্বও এসে দেখেছি- ১৪ সেপ্টেম্বর ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানীকে বহিষ্কার করা হয়। অবশ্য অক্টোবর-এর আয়না বলছে- ৫ অক্টোবর রংপুর-৩ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ৬ অক্টোবর ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন সম্রাটকে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার করা হয়। ৭ অক্টোবর বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে শেরেবাংলা হলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা পিটিয়ে হত্যা করে। নভেম্বরের বিশেষ ঘটনা হলো- ১০ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তান্ডবে নিহত হন ১৭ জন। ১৪টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ১২ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কসবায় যাত্রীবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৬ জন নিহত হয়। ১৪ নভেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো পেঁয়াজের দাম ২০০ টাকা হলো। বছরের শেষ মাসে দেখলাম- ৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের বিশেষ আসর বঙ্গবন্ধু বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। সপ্তম বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশেষ এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ‘ভাইজান’ খ্যাত বলিউড তারকা সালমান খান এবং শিলা কা জওয়ানি ক্যাটরিনা কাইফ।
আমি মনে করি চিরন্তন সত্য হলো- সুন্দরের সঙ্গে, আনন্দের সঙ্গে বসবাসের তাড়না সব শ্রেণি-পেশার মানুষেরই। কখনো সেই মাইলফলকে পৌঁছানো যায়, কখনো যায় না। তারপরও মানুষের প্রত্যাশা একদিন সেখানে পৌঁছবেই। সেই বছরটিই হোক ২০২০। একবিংশ শতাব্দীর মানুষ চোখ মেলে দেখার সুযোগ কম পেলেও প্রকৃতিমাতার আয়োজন চলে নীরবে। এর মাঝেই ব্যস্ত জীবনে বছর আসে, বছর যায়। ইংরেজি বর্ষবরণ আয়োজন হয়তো স্বল্প আয়ের মানুষকে স্পর্শ করে না, কিন্তু সহজ জীবনপাঠেও তিনি চান শান্তিপূর্ণ পরিবেশ। প্রত্যাশা করি- দেশ যেন সুন্দর হয়। ব্যবসা যেন ভালো হয়। পরিবার নিয়ে যেন ভালো থাকি। যাদের রক্ত ঘামে বাড়ছে দেশের অর্থনীতি। সেই সেলাই দিদিমনিদের প্রত্যাশা কর্মক্ষেত্র হোক নিরাপদ। হাসি ফুটুক স্বজনের মুখে। আমার সন্তান যেন ভালো থাকে। অনেক মানুষ অনেক কথা বলে, তাদের কথা শুনলেতো লাভ হবে না। সংসার চলবে না, বাবা-মা সুস্থ হবে না। ভবিষ্যতের স্বপ্নদ্রষ্টারা দেখেন সৎ ও দক্ষ মানুষের স্বপ্ন। যারা বিভেদ করবেন না জাতি, ধর্ম, বর্ণের। তৈরি করবেন নিরাপদ রাষ্ট্র। ২০১৯ সালে খারাপ অবস্থায় গেছে। সেটা যেন ভালো হয়। আর অবসন্ন হতাশাপূর্ণ নাগরিক জীবনে ইতিবাচক মনোভাব ও প্রশান্তির পথ হবে সুগম। ছোট বেলা থেকেই শেখা দরকার। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, কিছু করতে হচ্ছে না। বাস্তবতার আলোকে যদিও উদার অর্থনীতির এ সময়ে কর্মব্যস্ত মানুষ অনেকটাই একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন হচ্ছে এবং এই বিচ্ছিন্নতা বাড়ছে। তথ্য প্রযুক্তির এ যুগে একজন আরেকজনকে সময় দেয়ার সময়টি তার কমেছে। তারপরও বাংলাদেশের সব শ্রেণির মানুষ চান এ বছরটি ভালো কাটুক। ভালো থাকুক প্রতিটি মানুষ। কেটে যায় ধর্মান্ধতা, সামাজিক অন্ধকার, রাজনৈতিক পাষন্ডতা।
আমার ব্যক্তিগত মতামত এমন যে, যেহেতু একবিংশ শতাব্দীর শুরু থেকে সারা বিশ্বে যে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সংঘটিত হচ্ছে তা ক্রমে ক্রমে ভয়ংকররূপে আবির্ভূত হয়েছে নানা দেশে নানারূপে। পশ্চিমা বিশ্বের স্বার্থান্ধ ভূ-রাজনীতি এবং কতিপয় তল্পিবাহক অন্য দেশের নষ্টনীতি দেশে দেশে সন্ত্রাসী কার্যক্রমকে ছড়িয়ে দিচ্ছে। সেহেতু ঘুরে দাঁড়াতে হবে বিশ্বকে-বাংলাদেশকে ভালোবেসে স্বৈরাচার-পরিবার-বুর্জুয়াতন্ত্রের বিরুদ্ধে।
তবে বাংলাদেশে স্বাধীকার-স্বাধীনতার পক্ষের রাজনীতি-শিক্ষা-সাহিত্য-সাংস্কৃতিক-সামজিক ও অর্থনৈতিক কর্মী হিসেবে বলতে পারি- একটা শ্রেণি দেশে দেশে অর্থসহ নানা প্রণোদনা জোগাচ্ছে এবং ধর্মভিত্তিক সন্ত্রাস বিস্তারের ক্ষেত্র নির্মাণ করছে বিদ্বেষমূলক শিক্ষা ও সংস্কৃতির বিকাশ ঘটিয়ে। এরা ভিন দেশের সংস্কৃতিকে কলুষিত করছে এরাই। নানা কুশিক্ষা ও অপসংস্কৃতির সঙ্গে এ শেকড়ছাড়া শিক্ষা ও সংস্কৃতি আমাদের তরুণদের আত্মপরিচয় নির্মাণে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। পেট্রোডলার তথা জ্বালানি তেলভিত্তিক রাজনীতির ছত্রছায়ায় এরাই ভিন্ন মতের বিকাশ ঘটাচ্ছে। এরা মুসলমানদের মধ্যে সূক্ষ্মভেদ রেখা সৃষ্টির চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। পাশ্চাত্যের লোভ ও ক্রোধ যে ভয়াবহ যুদ্ধ ও সন্ত্রাসের সূত্রপাত ঘটাচ্ছে তা পরোক্ষভাবে শক্তিশালী করছে সন্ত্রাসীদের নষ্ট দর্শন ও রাজনীতিকে। এরা শুধু মানুষের জীবন ও সম্পদকেই বিপন্ন করছে না, আক্ষরিক অর্থে অনেক মুসলিম তরুণকে ভয়াবহ রূপে বেপথু ও সাইকোপ্যাথ পর্যায়ে উন্মাদ করে তুলছে। এ প্রেক্ষাপটে সন্ত্রাসের উন্মেষ, বিকাশ এবং জঙ্গিদের নানা কর্মকান্ড নিরবচ্ছিন্নভাবে নজরদারিতে না রাখলে বিচ্ছিন্নভাবে তাদের মোকাবেলার প্রয়াসটি সুফল বয়ে আনবে না কোনোভাবে। বরং দেশ-মানুষ-স্বাধীনতা-মাানবতাকে করবে বিপন্ন। এদেরকে রুখে দিতে হবে বিপুল সাহসের সাথে। ঘুরে দাঁড়াতে হবে, কথা বলতে হবে। যেভাবে কথা বলছে- ছাত্র-যুব-জনতার রাজনৈতিকধারা নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবি। সেভাবে বাংলাদেশকে-বিশ্বকে ভালোবেসে আসুন না দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে করি কাফন মিছিল, ঝাড়ু হাতে নিয়ে করি ঝাড়ু মিছিল, জুতো মিছিলও হতে পারে গ্যাস বা বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে। সর্বশেষ মাস্কর‌্যালী যেভাবে করেছে ছাত্র-যুব-জনতাকে সাথে নিয়ে নতুনধারার রাজনীতিকরা। যেভাবে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে ২০২০ সালে সাহসের সাথে পথ চলি চলুন; বলুন- বিজয় বাংলাদেশ…

মোমিন মেহেদী : চেয়ারম্যান, নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবি