অনলাইন ডেস্ক: লা লিগায় আগামী রোববার এল ক্লাসিকোর ধ্রুপদী দ্বৈরথে মুখোমুখি দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদ।
এক দশকের বেশি সময় ধরে এই লড়াইকে যারা অন্য মাত্রা দিয়েছিলেন, তারাই থাকছেন না মাঠে। ১১ বছর পর মেসি–রোনাল্ডোকে ছাড়া এই প্রথম এল ক্লাসিকো হতে যাচ্ছে।
দুই কারণে দলের দুই সামনের জেনারেলকে পাচ্ছে না রিয়াল–বার্সা। এ মৌসুমেই বার্নাব্যু ছেড়ে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো পাড়ি জমিয়েছেন ইতালিতে। তার চলে যাওয়ার পর থেকেই ধুঁকছে রিয়াল।
২০০৯ সাল থেকে দলের আত্মা হয়ে থাকা পর্তুগিজ তারকাকে ছাড়া জীবনই যেন গোছাতে পারছে না রিয়াল।
রিয়ালের মতো বার্সেলোনাও পাচ্ছে না তাদের প্রধান সেনা ও জাদুকর মেসিকে। শনিবার রাতে সেভিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে ইনজুরিতে পড়েছেন এলএম টেন। তিন সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে তাকে।
ম্যাচে ৪–২ গোলে জয় পায় বার্সা। মেসি–রোনাল্ডো ছাড়া সবশেষ এল ক্লাসিকো কবে হয়েছে? ঘাড় ঘোরালেও অনেক দূর তাকাতে হবে। সেই ২০০৭ সালে, মানে ঠিক ১১ বছর আগে।
মেসি স্পেনে থাকলেও তখনও ইংলিশ প্রিমিয়ারলিগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে মাঠ দাপাচ্ছিলেন রোনাল্ডো। ২০০৭’র সেই ক্লাসিকোতে ম্যাচ হয়েছিল চরম প্রতিদ্বন্দ্বিতার।
তবে জুলিও বাতিস্তার গোলে বার্সাকে হারিয়েছিল রিয়াল এবং চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে ১৮ পয়েন্ট এগিয়ে থেকে লিগ শিরোপা জিতেছিল। সে বছর বার্সা হয়েছিল লিগের তিন নম্বর।
২০০৪’র পর এই ১৪ বছরে মাত্র দুটি এল ক্লাসিকো মিস করেছেন মেসি। ওই দুই ম্যাচের একটিতেও জিততে পারেনি বার্সেলোনা। ২০০৬’র ক্লাসিকোতে (মেসি তখনও বেড়ে উঠছেন) ঘরের মাঠে ১–১ ড্র করে কাতালানরা। পরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগেরও একই ফলাফল।
এল ক্লাসিকোর ইতিহাসে সর্বোচ্চ স্কোরার মেসি। বার্সা তারকার গোলসংখ্যা ২৬।
রিয়ালের দুই লিজেন্ড ডি স্টেফানো ও রোনাল্ডোর চেয়ে বেশ এগিয়ে তিনি। স্টেফানো ও রোনাল্ডো দু’জনই করেছেন সমান ১৮টি করে গোল।