১০ দিনের ছুটিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজ কর্মস্থলেই থাকবেন

0
290

তথ্য বিবরণী: আগামী ২৬ মার্চ হতে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটিতে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কর্মস্থলেই থাকতে হবে। কোন অবস্থতাতেই তারা কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবেন না। এই ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ‘সামাজিক দূরত্ব’ তৈরি করার জন্য। অফিসে না এসে কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সকল নাগরিক যাতে তাদের বাড়িতে অবস্থান করে তা নিশ্চিত করাই এখন আমাদের অন্যতম কাজ। ‘যার যার ঘরে থাকবো, করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করবো’। এই শ্লোগানকে বাস্তবায়ন করাই এখন সরকারের অন্যতম কাজ।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস মঙ্গলবার বিকেলে সকল বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে এমনভাবে ব্যাখ্যা দেন।
মুখ্যসচিব আরও জানান, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বাররাও তাঁদের নিজ নিজ এলাকায় সার্বক্ষণিক অবস্থান করে গ্রামাঞ্চলে যেন জনসমাগম না ঘটে তা নিশ্চিত করবেন।
আগামী ১০ দিনের ছুটিতে সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। দোকানপাটও সব বন্ধ থাকবে। তবে কাঁচাবাজার, ব্যাংক, ইন্টারনেটসহ জরুরি সেবাগুলো খোলা থাকবে।
ভিডিও কনফারেন্সে আরও যেসব বিষয় আলোচনা হয় ঃ মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাস সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে। প্রত্যেককে ঘরে থাকা নিশ্চিত করতে হবে। সশস্ত্রবাহিনী তাদের ক্যান্টনমেন্টে থাকবে। প্রশাসনের ডাকে সশস্ত্রবাহিনী প্রশাসনকে সহযোগিতায় মাঠে নামবে। সশস্ত্রবাহিনীর হাতে কম সময়ে হাসপাতাল তৈরির সক্ষমতা আছে, প্রয়োজনে তারা যেকোন স্থানে হাসপাতাল তৈরি করবে। দেশের সকল হাসপাতালে দু’একদিনের মধ্যে করোনাভাইরাস পরীক্ষার কিট এবং চিকিৎসকদের নিরাপত্তার উপকরণসমূহ প্রেরণ করা হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পরীক্ষার কিট এবং নিরাপত্তা সরঞ্জাম সংগ্রহ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগ প্রয়োজন মনে করলে জেলা পর্যায়ে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স রিকুইজিশন করতে পারবে। এসকল কাজের সাথে বাজার মনিটরিংও অব্যাহত থাকবে।
খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ড. মুঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার জানান, সেল্ফ কোয়ারেন্টাইন এবং জনগণকে বাড়িতে অবস্থানের জন্য জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করা হয়েছে। আজ সেনাবাহিনীর সাথে সভা হয়েছে, আগামীকাল থেকে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নিয়ে জনসাধারণকে ঘরে থাকা নিশ্চিত করা হবে। বিভাগীয় কমিশনার আরও জানান, গণমাধ্যমগুলোতে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ছোট ছোট নাটিকা (টিভিসি) প্রচার করতে পারলে জনসচেতনতা বাড়বে এবং করোনাভাইরাস ভীতি কমবে।
খুলনা সার্কিট হাউজ প্রান্তে যুক্ত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন, পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ, সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ, খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার ম. জাভেদ ইকবাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।