হেফাজত নেতাদের সম্পদের উৎস খুঁজে বের করতে দুদকের উদ্যোগ

0
168

টাইমস ডেক্স: দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবার হেফাজতে ইসলামের নেতাদের সম্পদের উৎস খতিয়ে দেখার উদ্যোগ নিয়েছে। সম্প্রতি হেফাজত নেতা মামুনুল হকের ব্যাংক হিসাবে ৬ কোটি টাকার লেনদেন, মানি লন্ডারিং ও সম্পদের অভিযোগ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ওই হেফাজত নেতার ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন ও লাগামহীন অর্থ খরচের খবরও দুদকের নজরে এসেছে। ইতিমধ্যে দুদক তার বিরুদ্ধে তথ্যানুসন্ধান শুরু করেছে। তাছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) সব মিলিয়ে হেফাজতের ৫৪ নেতার ব্যাংক হিসাবের তথ্য সংগ্রহ করছে। আর বিএফআইইউর তদন্ত শেষ হলে তাদের আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য সংগ্রহ করবে দুদক। বিএফআইইউ এবং দুদক সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, দুদকের গোয়েন্দা ইউনিট হেফাজতে ইসলামের নেতাদের অর্থ-সম্পদ, অর্থের উৎস, মানি লন্ডারিং ও অন্যান্য আর্থিক অপরাধ খতিয়ে দেখছে। ইতিমধ্যে তাদের বিত্ত-বৈভবের নানা তথ্য বেরিয়ে আসছে। ওসব তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। তাছাড়া আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদেও মামুনুলের নানা অপরাধের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। জানা যায়, দেশে আধিপত্য বিস্তারের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে বেআইনিভাবে মামুনুল অর্থ সংগ্রহ করেছে। আর ওই অর্থ খরচ করে সন্ত্রাসী তৎপরতা পরিচালনা করা হয়েছে। ওই অর্থ নিজেদের ভোগ-বিলাসেও ব্যয় করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হেফাজত নেতাদের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ ও নানাভাবে অনুসন্ধানে তাদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের পাশাপাশি আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
সূত্র জানায়, দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত টাকায় যখন সম্পদ করা হয় বা ওই টাকা পাচার, স্থানান্তর, রূপান্তর করা হয় তখন সেটি দুদকের তফসিলভুক্ত অপরাধ। মামুনুল হকসহ হেফাজতের অন্যান্য নেতার বিরুদ্ধে এ ধরনের অপরাধের তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যাচ্ছে। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে বিএফআইইউ থেকে হেফাজতে ইসলামের অর্ধশতাধিক নেতার ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে। তাছাড়া তাদের ব্যাংক হিসাবে জমা থাকা টাকা, লেনদেনের হিসাবসহ যাবতীয় তথ্য চেয়ে সব তফসিলি ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে বিএফআইইউ। তাছাড়া দুদকও হেফাজত নেতাদের সম্পদের উৎস খুঁজে বের করবে। চিহ্নিত করা হবে দেশে-বিদেশে অর্থের জোগানদাতাদেরও। ইতিমধ্যে হেফাজতে ইসলামের অর্থের জোগানদাতা হিসেবে ৩১৩ জনকে চিহ্নিত করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (ডিবি)।
এদিকে এ বিষয়ে দুদক কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খান জানান, অভিযোগ বিষয়ে তথ্যানুসন্ধান করা হচ্ছে। আর অভিযোগ ব্যাপক আকারের এবং এর সঙ্গে আরো নাম যুক্ত হলে একটি টিম গঠন করে অনুসন্ধান করা হবে। অনুসন্ধানের পর অপরাধ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। পরে মামলাটি তদন্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয়া হবে।