হায়দ্রাবাদে দারুণ সময় কাটছে সাকিবের

0
342

স্পোর্টস ডেস্কঃ
সেই ২০১১ সাল থেকে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) পারফরম্যান্স দিয়ে আলোচনায় বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান। টানা সাত মৌসুম খেলেছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে। চলতি একাদশ আসরে কলকাতা ছেড়ে দেওয়ায় তাকে কিনে নিয়েছে সানরাইজার্স হারদ্রাবাদ।

নতুন দলেও দেখা গেছে সেই পারফর্মার সাকিবকেই। সময়ের সাথে হয়েছেন আরও ধারালো। পারফর্ম দিয়ে সবার মন জয় করতে পারলেও নতুন ঠিকানায় মানিয়ে নিতে কষ্ট হচ্ছে কিনা, এমন প্রশ্ন এসেছে সাকিবের কাছে। ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার গৌতম ভিমানি এই প্রশ্ন করেন সাকিবকে।

নতুন দলে আসলে মানিয়ে নিতে তেমন কোনো সমস্যায়ই পড়তে হয়নি সাকিবকে। নিজেই জানালেন এমনটা। কেননা নতুন দলে আছেন বাঙালি ঋধিমান শাহা ও শ্রীবৎস গোস্বামী। যাদের সঙ্গে কলকাতায়ও খেলেছেন। একই দল থেকে হায়দ্রাবাদে এসেছেন ইউসুফ পাঠান ও মনিশ পান্ডে।

বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব তার স্বভাবসুলভ হাসি দিয়ে ক্রিকবাজকে বলেন, ‘আমরা তিনজন কথা বলার সময় বাংলাতেই বলছি। ঋদ্ধি ও গোস্বামী এ দু’জনের সঙ্গে আমি সব সময়ই বাংলায় কথা বলি। ওদের সঙ্গে ইংরেজি বা হিন্দিতে কথা বলার প্রশ্নই ওঠে না। বাংলাতেই আমাদের গল্প জমে বেশি।’
‘এখন পর্যন্ত দারুণ সময় কাটছে হায়দ্রাবাদের সঙ্গে। মানিশ আর ইউসুফ ভাইয়ের (ইউসুফ পাঠান) সঙ্গে তো কলকাতাতেও খেলেছি। মুডির সঙ্গেও আগেই পরিচয় আছে, মেলবোর্ন রেনেগার্ডসে কাজ করার অভিজ্ঞতা হয়েছে তার সঙ্গে। আর সাইমন তো আমাদের এইচপি দলের কোচ, বাংলাদেশ জাতীয় দলেও কাজ করছে সে। বেশ ভালোই আছি এখানে।’

সাধারনত বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে তিনেই স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যাটিং করেন এই স্পিন অলরাউন্ডার। কিন্তু হায়দ্রাবাদের হয়ে চারে বা পাঁচে ব্যাটিংয়ে দেখা যায়। এতে কোনো সমস্যা হয় কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে, সাকিব এক বাক্যে জানিয়ে দেন, ‘মোটেই না।’

বলেন, ‘সৎ ভাবে বললে আসলে এতে আমার কোনো সমস্যা হয় না। দলের প্রয়োজনে আমি সব পজিশনেই খেলতে রাজি। আমি তিন থেকে সাত বা আট পজিশনেও ব্যাট করতে অভ্যস্ত। আমি আসলে এগুলো মাথায় আনিনা। দল যেখানে চায় আমি সেখানেই খেলি। আসলে আমার প্রধান লক্ষ্য পারফর্ম করা। ভালোই