হামলা চালিয়ে হাতপাখার গণজাগরণে  বাধাগ্রস্ত করা যাবে না – খুলনায় চরমোনাই পীর 

0
750
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সোমবার (১৭ডিসেম্বর ২০১৮) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম ( পীর সাহেব চরমোনাই) নির্বাচনী পথসভায় বলেছেন, খুলনা-৩ আসনে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা  মুজ্জাম্মিল হক সহ সারাদেশে অসংখ্য নেতা-কর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে হাতপাখার কর্মীদেরকে থামিয়ে দিতে সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা অপচেষ্টা করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, কোন-হামলা, হুমকি-ধমকি দিয়ে হাতপাখার গণজাগরণকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না।
সোমবার খুলনা-১ আসনের প্রার্থী মাওলানা আবু সাইদের ছাচিবুনিয়ার মোড়ে,  খুলনা-২আসনের প্রার্থী অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা আব্দুল আউয়ালের ডাকবাংলা মোড়, নিউমার্কেট চত্তর,
খুলনা-৩ আসনের প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা মুজ্জাম্মিল হকের দৌলতপুর আঞ্জুমান ঈদগাহ ময়দান, খুলনা-৪ আসনের প্রার্থী অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদের সেনের বাজার, পালের হাট বাজার, শেখপুরা বাজার, তেরখাদা বাজার, জোয়ার বাধাল মৈশাঘুনী ফুটবল মাঠে এবং খুলনা ৫ আসনের ফুলতলা স্বাধীনতা চত্বরে  নির্বাচনী এলাকায় আয়োজিত পৃথক পৃথক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পীর সাহেব চরমোনাই উপরোক্ত কথা বলেন।
নির্বাচনী পথসভায় তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের সংখ্যানুপাতে দেশের উন্নয়ন হচ্ছে না অথচ জনসংখ্যায় ছোট হলেও পরিকল্পানুসারে কাজ করায় অনেক দেশ উন্নত হচ্ছে। প্রবাসীরা রেমিটেন্সের মাধ্যমে দেশে অবদান রাখলেও তারা দেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলে বাংলাদেশ আরো উন্নত হত। ক্ষমতাসীনদের লুটপাটের রাজনীতির কারণে দেশ বারবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। উন্নয়নের নামে একনেকে বড় বড় প্রকল্প পাশ করে বিশাল অংকের টাকা ক্ষমতাসীনরা হাতিয়ে নিচ্ছে। ফলে জনগণের টাকায় দেশের উন্নয়ন না হয়ে ক্ষমতাসীনদের অর্থনৈতিক ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচনে সকল প্রার্থীরা যেন প্রচারণায় সমান সুযোগ লাভ করে, তার নিশ্চয়তা প্রদান করা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। কিন্তু মাঠপর্যায়ে সরকারী দল নির্বাচনী প্রচারণায় যেভাবে বাধা প্রদান করছে তা কখনোই মেনে নেয়া যায় না অথচ নির্বাচনী পরিবেশ তৈরির দায়িত্ব ইসির।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর আরও বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হলে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে সর্বাত্নক চেষ্টা করবে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক বরাদ্দের মাধ্যমে জনজীবনে পরির্বতন আনবে এবং নির্বাচনে হাতপাখা প্রার্থীদের বিজয়ী করলে লাখ লাখ তরুণ বেকারদের আগামীতে কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে গুরুত্বারোপ করবে।
এসব পথসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নায়েবে আমীর ও খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী  হাফেজ মাওলানা অধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল, দলের মহাসচিব ও খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, খুলনা মহানগর সভাপতি ও খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা মুজ্জাম্মিল হক ,খুলনা-১ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাওলানা আবু সাইদ, খুলনা ৫ আসনের প্রার্থী মাওঃ মুজিবর রহমান, খুলনা ৬ আসনের প্রার্থী মাওঃ গাজী নুর আহমেদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা জেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুল্লাহ ইমরান, নগর সহ-সভাপতি ও নির্বাচন  মিডিয়াসেল সমন্বয়কারী শেখ মুহাঃ নাসির উদ্দিন, মাওঃ মুজাফ্ফার হোসাইন, নগর সেক্রেটারী মুফতী আমানুল্লাহ, জেলা সেক্রেটারী শেখ হাসান ওবায়দুল করীম, নগর জয়েন্ট সেক্রেটারি মাওঃ ইমরান হোসাইন, ইঞ্জিনিয়ার এজাজ মানসুর হোসেন, নগর সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃগোলাম মোস্তাফা সজীব মোল্লা, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, আবু গালিব, নগর প্রচার সম্পাদক ও খুলনা-৩ আসনের মিডিয়াসেল সমন্বয়কারী  মোঃ তরিকুল ইসলাম কাবির, মাওঃ হারুন-অর-রশিদ, মোঃ আব্দুর রশিদ, আলহাজ শহিদুল ইসলাম বিশ্বাস, মোঃ রবিউল ইসলাম তুষার, মুফতী আব্দুর রহমান মিয়াজী, মুফতী ওয়াক্কাস আলী,হাফেজ মুস্তাফিজুর রহমান, মাওঃ দ্বীন ইসলাম, মাওঃ আব্দুস সাত্তার হালদার, মুক্তিযোদ্ধা জিএম কিবরিয়া, আলহাজ আমজাদ হোসেন, মোঃ হযরত আলী, আলহাজ আবু তাহের, আলহাজ মোঃ মিজানুর রহমান, মাওঃ সিরাজুল ইসলাম, মোঃ কামরুল ইসলাম, মুফতী তৈয়েবুর রহমান, আলহাজ আমজাদ হোসেন, মাওলানা ইউসুফ আলী, মাওলানা আছাদুল্লাহ হামিদী, মাওলানা জাহিদুল ইসলাম, মাওলানা মনিরুল ইসলাম, কাজী তোফায়েল হোসেন, আকতারুজ্জামান, আশরাফ আলী, মুফতী ফয়জুল্লাহ, আব্দুল হাফিজ, মুফতী জাকারিয়া, আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম, আব্দুল জব্বার, আবুল কালাম, ইঞ্জিনিয়ার সরোয়ার, মাহমুদ সরদার, ইকবাল সরদার, হাফেজ হোসেন আলী, আল আমিন, রাশেদুল ইসলাম, সেলিম আলী, শ্রমিক নেতা আলহাজ্ব জাহিদুল ইসলাম, মোঃ আবুল কালাম আজাদ, মোঃ নুরুল হুদা সাজু, যুবনেতা মোঃ ইসমাইল হোসেন, মাওঃ তৌহিদুল ইসলাম মামুন , মুহাঃ ইমরান হোসেন মিয়া, হাফেজ নাজিম ফকির, মোঃ মাহমুদুল হক তানভীর, এইচ এম জুনায়েদ মাহমুদ, ছাত্র নেতা মুহাঃ ইসহাক ফরীদি, শেখ মুহা. আমিরুল ইসলাম, মোঃ হাসানুজ্জামান, মুহাঃ সাইফুল ইসলাম, এসকে নাজমুল হাসান, এইচ এম খালিদ সাইফুল্লাহ, শেখ মুহা. নাজমুল হুদা, মুহাঃ কাজী আল আমিন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
পীরসাহেব চরমোনাই আরও বলেন, ‘ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আজ দেশের তৃতীয় রাজনৈতিক দল, ৩০০ আসনেই প্রার্থীদের মনোনয়ন দিয়েছে। আইনের বাধার কারণে একটি আসনের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আজ হাতপাখার বাতাসে নৌকা আর ধানের শীষ নড়বড়ে।’ আ,লীগ ক্ষমতায় থাকলে বিএনপি ঘর থেকে বের হতে পারে না, আর বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে আওয়ামী লীগ ঘর থেকে বের হতে পারে না। আমরা গ্যারান্টি দিয়ে বলছি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ক্ষমতায় এলে আওয়ামী লীগ-বিএনপি নয় সবাই নির্বিঘ্নে চলাফেরা ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, এখন দেশে যে নৈরাজ্য আর হানাহানি চলছে, তাতে মানবতা বলতে কিছুই নেই। আছে শুধু নিজের আখের নিজের সম্পদ কীভাবে গোছাবে এই চিন্তায়ই তারা অস্থির। দেশের জনগণ কোথায় যাবে, সে চিন্তা তাদের নেই।