সৌদি বাংলা ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস এর বিরুদ্ধে হাজ্বিদের সাথে প্রতারনার অভিযোগ উঠেছে

0
907
oznor

ফকিরহাট প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের ফকিরহাটে সৌদি বাংলা ট্রাভেলস লিমিটেড নামের একটি হজ্ব এজেন্সির নামে হাজীদের সাথে প্রতারনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিভিন্ন্ সুত্রে যানা যায়, এদের নিজস্ব কোন লাইসেন্স নাই, জনৈক্য তোহা নামেন এক প্রতারক স্বদেশ-বিদেশ নামের দুটি ট্রাভেলস এর সাথে চুক্তি করে যাবতীয় খরচ সহ জন প্রতি হাজীদের কাছ থেকে ৩,২০,০০০(তিন লক্ষ বিশ হাজার) টাকা নিয়ে হজ্বে পাঠানোর কথা থাকলেও বাস্তবে তার কোন মিল পাওয়া যায়নি। বিনিময়ে হাজিদের রাস্তায় রাস্তায় কান্নাকাটি করে বেড়াতে হয়েছে। এ ব্যাপারে একজন ভুক্তভোগী হজ্ব যাত্রী উপজেলার সাতসৈয়া গ্রামের মৃত ইকরাম হোসেনের ছেলে শেখ মহাসিন হোসেন এর সাথে আলাপকালে তিন বলেন, ফকিরহাট থেকে আমরা কয়েকজন হজ্বযাত্রী অনেক সমস্যা মোকাবিলা করে আজও সৌদি আরব যেতে পারেনি। এমনকি একজন হজ্বযাত্রী ফকিরহাট উপজেলার বাহিরদিয়া ইউনিয়নের হোচলা গ্রামের রেনু ব্যাবসায়ী মাসুমকে রক্তাত্ব করে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। তিনি জানান, গত ২৪ জুলাই মতিঝিল অফিসে যেয়ে জানতে পারি আমাদের কাছ থেকে পুরা টাকা নিলেও প্রতারক জনৈক্য মো: তোহা আমাদের যে এজেন্সির মাধ্যমে হজ্বে নিবে সেখানে ৪৭ লক্ষ টাকা জমা না দিয়ে নিজে আত্বসাৎ করেছে। এখন স্বদেশ-বিদেশ এজেন্সি বলছে, আপনাদের পাওনা ৪৭ লক্ষ টাকা না দিলে আপনারা হজ্বে যেতে পারবেন না শুনে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি। গত ২৬ জুলাই ১০ জন হজযাত্রী তাদের ফ্লাইট মিস করেন এই প্রতারকদের কাগজ পত্রের জটিলতার কারনে। এদিকে প্রতারক চক্রটি হজ্ব যাত্রীদের কাছ থেকে পুনরায় জন প্রতি ৩০ হাজার থেকে এক লক্ষ টাকা দাবি করেন এবং তা না হলে আপনারা হজ্বে যেতে পারবেন না বলে জানায়। উল্লেখ্য গত ২৮ জুলাই আনুমানিক সকাল ৮ টায় ১৩ জন হজ্বযাত্রী তাদের নিজেদের টাকায় জন প্রতি ৩০ হাজার টাকায় বিমানের টিকিট ক্রয় করে সৌদি আরব পৌছায়। হজ্ব এজেন্সির প্রতিনিধিরা বিভিন্ন অজুহাতে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। জানা যায়, এই চক্রটির অন্য সদস্যরা হলো মো: তোহার শ্যালক শফিউল তার সাথে যোগাযোগ করে জানতে চাওয়ার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই। অপর এক সদস্য ফকিরহাটের মো: আমিনুর তার কাছে মুঠোফনে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হন নাই। বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়, এই তোহা হাজীদের কাছ থেকে প্রতারনা করে টাকা আত্বসাৎ করে খুলনা সহ বিভিন্ন জায়গায় জমি ক্রয় করে আলিশান বাড়ি করছে আর এদিকে নবিজীর রওজা মোবারক করতে যাওয়া লোকগুলা রাস্তার রাস্তায় কান্না কাটি করছে আর পদে পদে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। এভাবে ধর্মকে পুঁজি করে আল্লাহর ঘরে যেতে চাওয়া মানুষদে কাছ থেকে প্রতারনা করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে নিজেদের সম্পদ গোছানো এই তোহা সহ তার সাথে জড়িত সকল কে আইনের আওতায় এনে এমন শাস্তি দেওয়া হোক যাতে আর কোন হাজীকে এভাবে প্রতারিত না হতে হয় এমনিই দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।