সোনালীকা ট্রাক্টর এর সাফল্যের ১ যুগ পালিত

0
678

খুলনা টাইমস ডেস্ক ঃ কৃষকের কৃষি যান্ত্রিকীকরণে সমপূর্ণ সমাধান দিতে ২০০৭ সালের নভেম্বর মাসে যাত্রা শুরু করে এসিআই মটরস্। উদ্দেশ্য ছিল কৃষকের উৎপাদন খরচ কমানো এবং তাদের দুর্দশা লাঘব করা।২০০৭ সালে সোনালীকা ট্রাক্টর দিয়ে যাত্রা শুরু করা এসিআই মটরস্ এখন দেশের শীর্ষ কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রতিষ্ঠান। সোনালীকা দেশের ১ নাম্বার ট্রাক্টর ব্র্যান্ড হিসেবে এখন প্রতি বছর ৩০০০ হাজারের অধিক ট্রাক্টর বিক্রয় করে, যা সরাসরি কৃষক এবং উদ্যোক্তাদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য ভুমিকা রাখছে।এসিআই মটরস্, ট্রাক্টরের পাশাপাশি কৃষি যান্ত্রিকীকরণের অন্যান্য সমাধান যেমন পাওয়ার টিলার, ডিজেল ইঞ্জিন, ওয়াটার পাম্প বাজারজাত করে। এসিআই মটরস্ প্রথমবারের মত বাংলাদেশে এনেছে কম্বাইন হারভেস্টার, রিপার, রাইস ট্রান্সপ্লান্টার, ড্রিপ ইরিগেশন সহ আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি। এখন দেশের শতকরা ২৫ ভাগ জমি চাষ হয় এসিআই মটরস্ এর যন্ত্রপাতি দ্বারা। কৃষি যান্ত্রিকীকরণকে পরিচিতকরণের জন্য এসিআই মটরস্ সমপূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে ঋণ সুবিধা প্রদান করে। একমাত্র এসিআই মটরস্-ই দিচ্ছে ৬ ঘন্টার মধ্যে বিক্রয়োত্তর সেবার সমপূর্ণ নিশ্চয়তা। কৃষি যান্ত্রিকীকরণের সুবিধাদী কৃষকের মাঝে পৌঁছে দেয়ার জন্য এসিআই মটরস্ এর রয়েছে দেশব্যাপী ৫০০ জনের প্রশিক্ষিত দক্ষ কর্মীদল। তাদের কাছে রয়েছে সার্ভিস টুলস, স্মার্ট ফোন ও মোটরসাইকেল, যার মাধ্যমে কৃষক পাচ্ছে তাদের দোঁরগোড়ায় দেশ সেরা সার্ভিস সুবিধা। এ ছাড়াও এসিআই মটরস্ বাজারে এনেছে উন্নত প্রযুক্তির কন্সট্রাকশন মেশিনারী এবং ইয়ামাহা মোটরসাইকেল। সর্বোপরি এসিআই মটরস্ তাদের পণ্য এবং সেবার মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের জীবনযাত্রায় গতি এনে দিচ্ছে।বাংলাদেশে সোনালীকা ট্রাক্টর এর ১২ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে ০৬ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে রাজশাহী বিজিবি ক্যাম্প “সীমান্ত সম্মেলন কেন্দ্রে” এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল সোনালীকা ট্রাক্টর এর গ্রাহক এবং শুভানুধ্যায়ীদের মধ্যকার প্রীতি ফুটবল ম্যাচ, সোনালীকা ট্রাক্টর এর মাধ্যমে জীবন পরিবর্তনকারী গ্রাহকদের সম্মাননা প্রদান এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এছাড়াও অনুষ্ঠানস্থল থেকে প্রায় ২০ জন গ্রাহককে সোনালীকা ট্রাক্টর হস্থান্তর করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সোনালীকা ট্রাক্টর এর ৪০০ জন গ্রাহক, শুভানুধ্যায়ী এবং এসিআই মটরস্ -এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।