সেলিব্রেটিদের নিয়ে মানুষের জানার আগ্রহটা একটু বেশি থাকে : মাহিয়া মাহি

0
190

টাইমস বিনোদন: মাহিয়া মাহি। ঢাকাই চলচ্চিত্রের এই তারকা চলচ্চিত্রে এন্ট্রি করেই দৃষ্টি কেড়েছিলেন। পুরো নাম শারমিন আকতার নিপা। ২০১২ সালে ভালোবাসার রঙ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে মাহীর চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেত্রীদের একজন। নিজের সাবলীল অভিনয় দিয়ে জয় করে নিয়েছেন ভক্তদের মন। এ কারণে ২০১৯ সালে মাহিকে নিয়ে বই প্রকাশ করেন তার ভক্তরা। বইটির নাম ‘মাহি দ্য প্রিন্সেস’। বর্তমানে চারটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ভক্তের মনে ‘প্রিন্সেস’ খ্যাত এই অভিনেত্রী। আর তার সমসাময়িক ব্যস্ততা নিয়েই মুখোমুখি হয়েছেন আমাদের প্রতিনিধির সাথে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মারুফ সরকার। স¤প্রতি শাপলা মিডিয়া ব্যানারে বেশ কিছু ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। ছবিগুলোর সম্পর্কে জানতে চাচ্ছি।
মাহিয়া মাহি: শাপলা মিডিয়ার ব্যানারে একসঙ্গে চারটি সিনেমায় অভিনয় করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। ছবিগুলো হচ্ছে- শাহীন সুমন পরিচালিত ‘গ্যাংস্টার’, শামীম আহমেদ রনি পরিচালিত ‘লাইভ’, ‘নরসুন্দরী’ ও ‘বুবুজান’। এখানে তিনটা সিনেমায় আমার সঙ্গে অভিনয় করবেন সাইমন সাদিক এবং বাকী একটা ‘বুবুজান’ সিনেমায় আমার কোনো নায়ক নেই। বুবুজান ছবিতে আমি নাম ভ‚মিকায় অভিনয় করবো। ছবিগুলোর শুটিং ফেব্রæয়ারি মার্চ থেকেই শুরু হবে।
একসঙ্গে এতোগুলো ছবির কাজ টাইম মিলাতে কোনো সমস্যা হবে না?
মাহিয়া মাহি: সমস্যা হবে কেন? আমি তো সেভাবেই তাদের সঙ্গে তারিখ সময় মিলিয়ে দিয়েছি। এই জানুয়ারিতে আমার মোস্তাফিজুর রহমান মানিক ভাইয়ের ‘আশীর্বাদ’ ছবির শুটিং আছে। এরপর থেকে আমি নতুন সিনেমাগুলোর শুটিং শিডিউল অনুযায়ী অংশ নিবো। এখানে টাইম ডেট নিয়ে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা না।
গেল বছর আপনার অভিনীত ‘নবাব এলএলবি’ ওটিটিতে মুক্তি পেয়েছিলো। সেটা নিয়ে খুব হতাশা প্রকাশ করেছিলেন। এবার হলে মুক্তি পাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এবার কি কোনো আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন?
মাহিয়া মাহি: আমি আসলে এই ছবিটা নিয়ে আর কোনো কথাই বলতে চাচ্ছি না।
ওটিটি প্লাটফর্মে অনেকেই কাজ করছেন আপনিও করছেন। বড়পর্দার পাশাপাশি ওটিটি প্লাটফর্মে কাজ করাটা কতটুকু সমর্থন করেন?
মাহিয়া মাহি: যুগের সঙ্গে অবশ্যই সবাইকে তাল মিলাতে হবে। আগে মানুষ চিঠি লিখতো। যুগ পরিবর্তন হয়ে এখন মানুষ চ্যাটিং, ম্যাসেজ করে। আগে মানুষ ফোনে কথা বলতো এখন ফোনেও কথা বলে না। হাতে হাতে সবার স্মার্টফোন। এটাও যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়েছে সবাই। ওটিট ‘তে কাজ করছি, অবশ্যই আরো কাজ করবো। সিনেমা হলের জন্য কাজ করাটা ভালো লাগার একটা বিষয়। হলে গিয়ে মানুষ সিনেমা দেখবে চিল্লাচিল্লি করবে তালি দিবে, শীষ দিবে। এই বিষয়গুলো ওটিটি’র জন্য না। ওটিট ‘তে তো আর এই ফিলটা পাবো না। শুধু এইটুকুর জন্য মনটা খারাপ হয়। যেহেতু যুগ পরিবর্তন হচ্ছে, যুগের সঙ্গে পরিবর্তন হওয়াটা আমি মনে করি অবশ্যই ভালো কিছু হবে।
সবকিছুরই তো পজিটিভ নেগেটিভ দিক থাকে। ওটিটি‘তে নেগেটিভ দিকটা হলো সেন্সর নেই। আর এই সুযোগে যার যা ইচ্ছে তাই করতে পারছে। এখানে সেন্সর বোর্ড থাকলে আমার কাছে মনে হয় ভালো হতো। এই যেমন ‘নবাব এলএলবি’ নিয়ে যে ঝামেলাটা হয়ে গেলো, সেন্সর থাকলে এমন অনাকাক্সিক্ষত বিষয়টা হতো না। এটা থাকলে ভালো হতো। ওটিটি‘র নেগেটিভ সাইট হচ্ছে যে, কোনো সেন্সর নেই। যার কারণে এখন যার যা ইচ্ছে তাই বানাতে পারছে। আর কয়জন ভালো ডিরেক্টর আছেন? আসলে গুটিকয়েকজন ডিরেক্টর আছেন যারা এই বিষয়গুলো বুঝেন। নতুন নতুন অনেক ডিরেক্টর আসতেছেন যারা মনে করেন এরকম কিছু দেখালে, এরকম কিছু কথা বললেই হয়তোবা ভিউ পাওয়া যাবে। এটা তো আমাদের জন্য খারাপ। মানুষ হয়তো এগুলো আস্তে আস্তে দেখাও বন্ধ করে দিবেন। কয়েকদিন আগেও যখন সিনেমা হতো খুব ভালোভাবেই সিনেমা হচ্ছিলো। তারপর বাজে ডিরেক্টরদের সিনেমা নির্মাণ শুরু হয়ে গেলো।সিনেমার মাঝখানে এটা ওটা ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছিলো।
বিভিন্ন সময়ে দেখা যায় তারকাদের নিয়ে বিভিন্ন রকমের গুজব গুঞ্জন শোনা যায়। এগুলোকে আপনি কিভাবে দেখেন?
মাহিয়া মাহি: তারকাদের নিয়ে গুজব গুঞ্জন এগুলো তো হবেই। এগুলো না হলে তো আসলেই কোনো স্টারই হলাম না। সেলেব্রেটিদের নিয়ে মানুষের জানার আগ্রহটা একটু বেশি থাকে। যাদেরকে নিয়ে মানুষের মাঝে অনেক কৌতূহল থাকে, তারা তো চাইবেই তারকাদের নিয়ে একটু আধটু গসিপ হবে। আসলেএটাকে আমি পজিটিভভাবেই দেখি।
স¤প্রতি আপনাকে চা নিয়ে সোস্যাল মিডিয়াতে একটা ভিডিও দেখা গিয়েছে। আপনি কি চায়ের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত?
মাহিয়া মাহি: না না ঐ আমার শ্বশুরবাড়ির বিজনেস। তাজ প্রিমিয়াম টি। আমরা আসলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন মিলে মজা করে ভিডিওটা করেছি।
ভারা নামে আপনার পোশাকের একটা নিজস্ব ব্যবসা আছে। সেটা এখন কি অবস্থা?
মাহিয়া মাহি: আমার এই ব্যবসাটা আমার কাছে একটা বাচ্চার মতো। এটাকে আমি খুব যতœ নিয়ে একটু একটু করে বড় করছি। মানুষের যেমন একটা প্যাশেন থাকে; আমার কাছে অভিনয়টা পেশা ও নেশাও। কিন্তু আমার ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছে ছিলো আমি বিজনেস লেডি হবো। যেমন আমরা সিনেমাতে দেখিনা, বিজনেস লেডি থাকেন; তারা কর্পোরেট মিটিং করেন। এই কর্পোরেট ওমেন এই জিনিসটা আমার কাছে খুব ভালো লাগে। ওটা আমাকে খুব টানতো। ঐ দিক থেকেই আমার ব্যবসা করা। আর আমি এটা কন্টিনিউ করতে চাই।
সারাজীবন তো আমি আর নায়িকা থাকবো না। তখন তো আমাকে কিছু একটা করতে হবে। সো আমি এটা নিয়ে ব্যস্ত থাকতে চাই। এটা হচ্ছে আমার ভবিষ্য ‘র জন্য। এটাকে আমি আরো বড় পরিসরে নিয়ে আসবো।