ইসকো, রামোসরা বলেছিলেন, কোচ ইউলেন লোপেতুগির চাকরিটা বাঁচানোর জন্যই তাঁরা মাঠে নামবেন। কোচকে বরখাস্ত করা হলে যেন তাদেরও বাদ দিয়ে দেওয়া হয় রিয়াল মাদ্রিদ থেকে। ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ হয়তো সেই পথেই হাঁটবেন। নতুন করে সাজাবেন নক্ষত্রপুঞ্জ। কারণ এই দল দিয়ে যে রিয়ালের আভিজাত্য আর ধরে রাখা চলছে না! ২২ সেপ্টেম্বরের পর থেকে লিগে যেকোনো ম্যাচই জিততে পারেনি রিয়াল মাদ্রিদ। যার সবশেষটা বার্সেলোনার কাছে ৫-১ গোলের লজ্জায়। স্কোরলাইনেই ফুটে উঠেছে রিয়ালের অসহায়ত্ব আর মাঠের খেলায় দেখা গেছে রিয়ালের ফরোয়ার্ডদের অক্ষমতা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে খানিকটা সময় ভালো খেললেও বাকিটা সময় ন্যু ক্যাম্পে বার্সেলোনারই আধিপত্য। হ্যাটট্রিক করেছেন লুই সুয়ারেস, সঙ্গে একটা করে গোল আর্তুরো ভিদাল আর ফিলিপে কৌতিনিয়োর। মার্সেলোর করা গোলটা কিছু সময়ের জন্য রিয়াল সমর্থকদের ভরসা জোগালেও শেষ পর্যন্ত কেবলই সান্ত্বনার উপলক্ষ।
ন্যু ক্যাম্পে ১১ মিনিটেই ইহোর্দি আলবার অ্যাসিস্টে ফিলিপে কৌতিনিয়োর গোল। মেসিবিহীন বার্সেলোনাকেও যে এতটা ধারাল আর সাবলীল দেখাচ্ছিল, সেটা হয়তো রিয়ালের দুঃসময়েরই অবদান। কৌতিনিয়ো দুঃসময়টাকে প্রলম্বিত করার শুরুটা করেছেন, তারপর সেটাতে অপমানের যন্ত্রণা যোগ করেছেন সুয়ারেস। ভারানের ফাউল, ভিএআরে দেখে রেফারির পেনাল্টির বাঁশি। স্পটকিকে সুয়ারেসের গোল। বিরতির পরপরই মার্সেলোর গোলে স্কোরলাইন ২-১ করে রিয়াল, আশা জাগে সমতা ফেরানোর। কিন্তু সে তো দুরাশা! ৭৫ আর ৮৩ মিনিটে দুটি গোলে হ্যাটট্রিক সুয়ারেসের, শেষবেলায় দেম্বেলের চিপে হেড করে গোল ভিদালেরও। ৫-১ গোলের হারের সঙ্গে যোগ হয়েছে ১৭ বছরে সবচেয়ে বাজে শুরুর লজ্জা, ১০ ম্যাচে মাত্র ১৪ পয়েন্ট। এর আগে ২০০১-০২ মৌসুমে ভিসেন্তে দেল বস্কের সময় রিয়াল ১০ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে এর চেয়েও খারাপ করেছিল। আর বার্সেলোনার সব রেকর্ডই আনন্দের! মেসি বাদে অন্য কোনো ফুটবলারকে হ্যাটট্রিক করতে দেখা গিয়েছিল ১৯৯৪ সালে। ৫-০ গোলে জয়ের সেই ম্যাচে হ্যাটট্রিক ছিল রোমারিওর। অনলাইন ডেস্ক: কালের কন্ঠ