‘সুলতান’ শুরুতে যৌথ প্রযোজনার, এখন শুধুই ভারতের!

0
471

বিনোদন ডেস্কঃ
বাংলাদেশ-ভারত যৌথভাবে সিনেমা নির্মাণ করে আসছে। সম্প্রতি এই যৌথ প্রযোজনার সিনেমাগুলো নিয়ে নানা ধরনের প্রশ্ন উঠে। আন্দোলন করে যৌথ প্রযোজনার নতুন নীতিমালাও গঠন করা হয়। কিন্তু এরপরও যৌথ প্রযোজনার সিনেমা নিয়ে সমালোচনা থামছে না।

এদিকে অনুমতি ছাড়াই শুটিং শেষ করে যৌথ প্রযোজনায় সিনেমা নির্মাণের অনুমতি চেয়ে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এখন শোনা যাচ্ছে, এসব সিনেমা সাফটা চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশে মুক্তি দেয়া হবে। এ তালিকায় রয়েছে ‘সুলতান’ ও ‘ভাইজান এলো রে’।

‘সুলতান’ সিনেমার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের ভাষ্যমতে, বছরের শুরুর দিকে ‘সুলতান’ সিনেমাটি নির্মাণের জন্য অনুমতি চেয়ে আবেদন করে তথ্য মন্ত্রণালয়ে। এর পরই সিনেমাটির নির্মাণ কাজ শুরু করেন। কলকাতার নায়ক জিৎ আর ঢাকার নায়িকা বিদ্যা সিনহা মিমকে নিয়ে এই সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন রাজা চন্দ। এছাড়াও এতে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের নায়ক আমান রেজা, তাসকিন ও ওপার বাংলা প্রিয়াংকা সরকারসহ অনেকে।

সিনেমাটি বাংলাদেশের জাজ মাল্টিমিডিয়া ও ভারতের জিৎস ফিল্ম ওয়ার্কস, সুরিন্দর ফিল্মস যৌথভাবে নির্মাণ করছেন বলেও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে বলা হয়। এরই মধ্যে সিনেমাটির শুটিং, ডাবিং ও সম্পাদনার কাজ শেষ হয়েছে। এমনকি এর গান ও টিজারও প্রকাশ করা হয়। গত ২৪ এপ্রিল ‘সুলতান’ সিনেমাটি বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনার নীতিমালায় চিত্রনাট্য প্রিভিউ কমিটির কাছ থেকে অনুমোদন পেয়েছে।

যৌথ প্রযোজনায় সিনেমাটির শুটিং শেষ করলেও এখন আর ‘সুলতান’ সিনেমার সঙ্গে থাকছে না বাংলাদেশের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া। এ জন্য গত ৭ মে যৌথ প্রযোজনার প্রিভিউ কমিটি বরাবর একটি আবেদনও করেছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটি।

এ প্রসঙ্গে জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আব্দুল আজিজ রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘আমাদের এখানে যৌথ প্রযোজনার সিনেমা নিয়ে বিভিন্ন জটিলতা শুরু হয়েছে। তাই যৌথ প্রযোজনার এই সিনেমাটি থেকে সরে আসছি।’

আগামী ঈদে দুই বাংলায় একসঙ্গে মুক্তির প্রস্তুতি চলছিল ‘সুলতান’ ও ভাইজান এলো রে’ সিনেমা দুটির। শোনা যায়, এই সিনেমা দুটি এখন শুধু ভারতের হয়ে যাচ্ছে। তাই বিনিময় চুক্তিতে আমদানির মাধ্যমে বাংলাদেশে মুক্তি দেয়া হবে বলেও জানা যায়।

এদিকে জয়দেব মুখার্জি পরিচালিত ‘ভাইজান এলো রে’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের শাকিব খান ও ভারতের শ্রাবন্তী, পায়েল সরকার। এই সিনেমাটির শুটিং শেষ করে গত ৬ মে বাংলাদেশ পরিচালক সমিতিতে অনুমতি চেয়েছেন জয়দেব মুখার্জি। এই বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসেছেন বাংলাদেশের পরিচালক সমিতি। তবে এখনো অনুমতি মিলেনি সিনেমাটির।