টাইমস ডেস্ক:
সর্বো”চ আদালতের ভার্চুয়াল শুনানিতে টেকনিক্যাল সমস্যা স”ষ্টি হওয়ার কারণে সুপ্রিমকোর্টের সকল আইটি অফিসারকে শোকজ নোটিশ জারি করার নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। দেশের বিচার বিভাগ নিয়ে ফেসবুকে বিরূপ মন্তব্য করে পোস্ট দেয়ায় ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দের বিষয়ে রায়ের নির্ধারিত দিনে গতকাল সোমবার ১০টা ২০ মিনিটের দিকে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ আদেশ দেন। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন সুপ্রিমকোর্টের স্পেশাল কর্মকর্তা ও মুখপাত্রকে বলেন, আপনি রেজিষ্ট্রার জেনারেলকে বলবেন সুপ্রিম কোর্টের সকল আইটি অফিসারকে আজকের মধ্যে শোকজ নোটিশ দিতে। সকাল ১০টার দিকে এজলাসে বসেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। বসার পর শুনানির জন্যে আদালত অবমাননাকারী আইনজীবী উপ¯ি’ত কিনা সেটা জানতে চান। অথচ আইনজীবী আপিল বিভাগের ডায়েসের ওপরে রাখা ল্যাপটপের সামেন দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় আপিল বিভাগ উপ¯ি’ত কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চান, আদালত অবমাননাকারী আইনজীবী কি উপ¯ি’ত আছেন। জবাবে কর্মকর্তারা আদালতকে জানান, জি উনি উপ¯ি’ত আছেন। এ সময় আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ বলতে থাকেন জি স্যার আমি উপ¯ি’ত আছি। আদালত বলেন, আপনাকে তো দেখা যা”েছ না। আপনি কথা বলছেন না কেন? একপর্যায়ে আপিল বিভাগ বলেন রায় ঘোষণা পিছিয়ে বেলা সাড়ে ১১টায় দিবো নাকি? এ পর্যায়ে আপিল বিভাগ বলেন, আইনজীবী ইউনুছ আলীর কথা শুনতে পারছি না আমরা। ওঁর সামনে কি ল্যাপটপ নেই। ল্যাপটপে সমস্যা হলে মোবাইলে লাইন দেন। কর্মকর্তারা বলেন, ওঁর সামনে ল্যাপটপে সমস্যা দেখা দি”েছ। আপিল বিভাগ বলেন, কম্পিউটার ও ল্যাপটপের মনিটরে আওয়াজ পাওয়া যায় না। আইনজীবীকে কথা বলতে বলুন। জবাবে ইউনুছ আলী বলেন, আমি ফে”শ আবেদন জমা দিয়েছি। আদালত বলেন, এসব টেকনিক্যাল বিষয় আগে থেকেই ঠিক করে রাখলেই তো হয়। প্রধান বিচারপতি বলেন, আইটি কর্মকর্তা কোথায় আছেন, কোর্টে আসছে কি-না? জবাবে সাইফুর রহমান বলেন, তারা অফিসেই আছেন স্যার। এ সময় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, তারা অফিসেই বসে থাকুক। এ সময় আপিল বিভাগ আরও বলেন, স্পেশাল কর্মকর্তা সাইফুর রহমান সবাইকে শোকজ করার জন্যে রেজিস্ট্রার জেনারেলকে বলবেন।
