সানী-মৌসুমী-জায়েদ কান্ডে বিরক্ত চলচ্চিত্র শিল্পীরা

0
121
সানী-মৌসুমী-জায়েদ কান্ডে বিরক্ত চলচ্চিত্র শিল্পীরা

টাইমস বিনোদন: গত ফেব্রæয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এই নির্বাচনকে ঘিরে কাদা ছোড়াছোড়ির অন্ত ছিলো না। একে এপরকে দোষারোপ করতে দ্বিধা করেননি কোনো শিল্পী। শেষ পর্যন্ত তা গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। চলচ্চিত্র মহলের অনেকেই বলেছেন, শিল্পীদের এই নির্বাচন নিয়ে দেশের মানুষ বিরক্ত। এই রেষ কাটতে না কাটতেই সামনে এলো চিত্রনায়ক ওমর সানী ও জায়েদ খানের থাপ্পড়-পিস্তলকাÐ। এই ইস্যুতে তোলপাড় পুরো দেশ। এ ঘটনা নিয়েও বিরক্ত চলচ্চিত্র শিল্পীরা। অভিনেত্রী রোজিনা বলেন, সিনেমার ভবিষ্যত উজ্জ্বল হবে ভাবতেছিলাম সেটা আর হচ্ছে না। এখনকার শিল্পীদের কর্মকাÐে লজ্জায় আমাদের মাথা কাটা যাচ্ছে। নানা ঘটনা ও বিতর্কিত কর্মকাÐে দিনকে দিন শিল্পীদের ইমেজ তলানীতে এসে নামছে। ইমেজ উদ্ধারের চেষ্টা না করে ক্রমাগত আরও নিজেদের মান সম্মান খোয়াতে ব্যস্ত অনেকেই। রোজিনার কথায়, ভেবেছেন আমাদের ইন্ডাষ্ট্রি কোথায় যাচ্ছে? একসময় শিল্পীদের সাধারণ মানুষ কোথায় রাখতো আর এখন কোথায় রাখছে? কতিপয় লোকের স্বার্থের জন্য পুরো শিল্পী সমাজের দিকে আঙুল তুলছেন সাধারণ মানুষ। এভাবে ইমেজ হারাতে থাকলে তো দর্শকরা দেশের সিনেমাই দেখবে না। আমি কারও নাম ধরে কিছু বলতে চাই না। শুধু কয়েকজনকে উদ্দেশ্য করে বলবো, এগুলো থামান। নিজেদের আর নীচে নামাবেন না। আমরা অনেক কষ্টে নিজেরদের ইমেজ তৈরি করেছি। সেটা আর মাটিয়ে মিশিয়ে দেবেন না। এর আগে গত শনিবার রাজধানীর একটি রেস্তোরাঁয় তার ‘দিন-দ্যা ডে’ ছবির মুক্তির ঘোষণা ও ছবির ট্রেলার উন্মোচন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন নায়ক ও প্রযোজক অনন্ত জলিল। এসময় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সিনেমা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, চলচ্চিত্র মৃত হয়ে যাচ্ছে- এই কথাগুলো আমি মেনে নিতে পারি না। আমি তো দেখছি দেশের সিনেমার উন্নতি হচ্ছে। আসলে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র কখনোই মরে যাবে না। তবে এফডিসিতে ঝগড়াঝাটি, রেষারেষি, একজন আরেকজনকে দোষারোপের কারণে মানুষ চলচ্চিত্রে বিনিয়োগ করতে চায় না। তবে আমাদের ইলিয়াস কাঞ্চন ভাই এখন শিল্পী সমিতির দায়িত্বে এসেছেন। তিনি একজন ভালো মানুষ। দেখি তিনি এসব ঝগড়াঝাঁটি নিরসন করতে পারেন কি না।’ অভিনেত্রী নূতন বলেন, জীবনে সমস্যা না থাকলে তা জীবন না। সমস্যা থাকাই জীবন। আমাদের শিল্পীদের অনেক কিছু মুখ বুঝে সয্য করতে হয়। সয়ে থেকেই বেচে থাকতে হয়। প্রয়োজনে নিজে হেরে গিয়ে অন্যজনকে জিতানোর স্বাদ দিতে হয়। তবে যে ব্যাথা পায় তার জন্য ভবিষ্যতে ভালো কিছু অপেক্ষা থাকে, আল্লাহ যা করে ভালোর জন্যই করে।