সাদা বলের চুক্তিতে রাখা হচ্ছে সৌম্যকে

0
235

খুলনাটাইমস স্পোর্টস : বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে সৌম্য সরকারের না থাকা জন্ম দিয়েছে বিস্ময়ের। আরও বেশি অবাক করা তথ্য জানা গেল তাকে না রাখার কারণ অনুসন্ধানে। তালিকা কাটছাঁট করতে গিয়ে বাদ পড়ে গিয়েছিল সৌম্যর নাম! প্রধান নির্বাচক জানালেন, এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে রাখা হচ্ছে সাদা বলের চুক্তিতে। ইংল্যান্ডের অনুসরণে এবারই প্রথম সাদা ও লাল বলের জন্য আলাদা চুক্তি করেছে বিসিবি। রোববার বোর্ড সভার পর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় চুক্তিবদ্ধ ১৬ ক্রিকেটারের নাম। সৌম্যর নাম নেই সেখানে। গত বছরের চুক্তিতেও ছিলেন না সৌম্য। তবে বছর জুড়ে জাতীয় দলে তার উপস্থিতি ছিল নিয়মিত। তিন সংস্করণ মিলিয়ে গত বছর বাংলাদেশের ৩০ ম্যাচের ২৫টিতেই ছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। কেবল মাহমুদউল্লাহ (২৯টি) ও মুশফিকুর রহিম (২৮টি) খেলেছিলেন তার চেয়ে বেশি ম্যাচ। চুক্তিতে না থাকা ক্রিকেটারদের যারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলেন বা জাতীয় দলের ক্যাম্পে থাকেন, ওই সময়টায় তাকে চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার হিসেবেই ধরা হয় ও নির্দিষ্ট ক্যাটেগরি অনুযায়ী পারিশ্রমিক দেওয়া হয়। সেই হিসেবে আর্থিক ক্ষতি খুব বেশি হয়নি সৌম্যর। তবে চুক্তি মানে তো কেবল আর্থিক ব্যাপারই নয়, সম্মান ও আস্থার ব্যাপারও। জাতীয় দলে নিয়মিতই খেলছেন যিনি এবং সামনের পরিকল্পনায়ও আছেন ভালোমতোই, তাকে চুক্তিতে না রাখা বিস্ময়করই। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন জানালেন, সৌম্যকে চুক্তিতে ফেরাচ্ছেন তারা। “সৌম্য চুক্তিতে ফিরছে, সাদা বলের চুক্তিতে তাকে রাখা হয়েছে। এবার যেহেতু দুই বলের জন্য আলাদা চুক্তি করা হয়েছে এবং অনেক ঘাঁটাঘাঁটি করতে হয়েছে, কাটছাঁট করতে গিয়ে বাদ পড়ে গিয়েছিল সৌম্যর নাম।” চুক্তির তালিকায় বড় কৌতূহল আছে আরও দুজনকে নিয়ে। কোনো চুক্তিতেই জায়গা পাননি অভিজ্ঞ পেসার রুবেল হোসেন। দুই বলের চুক্তিতেই জায়গা পেয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। টেস্ট ক্রিকেটে রুবেলের যা পারফরম্যান্স, তাতে টেস্ট দলে তাকে বিবেচনা করার কথা সামান্যই। কিন্তু সীমিত ওভারের ক্রিকেটে কিছুদিন আগে পর্যন্তও তিনি ভালোভাবেই ছিলেন দলে। গত মাসে পাকিস্তান সফরের পর টেস্ট দল থেকে বাদ পড়ার পর বলা হয়েছিল, আপাতত সাদা বলের জন্যই বিবেচনা করা হচ্ছে তাকে। কিন্তু জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি কোনো দলেই তার জায়গা হয়নি। এবার ঠাঁই হলো না চুক্তিতেও। প্রধান নির্বাচক জানালেন, পারফরম্যান্সের কারণেই নেই রুবেল। “রুবেলকে আমরা সাদা বলের জন্যই বিবেচনা করেছি। এখনও সে বিবেচনার বাইরে নয়। তবে ওর পারফরম্যান্স খুব ভালো নয়। চুক্তির বাইরে থাকা মানেই তো সব শেষ নয়। যদি পারফরম্যান্স দিয়ে দলে ফিরতে পারে, তাহলে তো অটোমেটিক চুক্তিতেও থাকবে ওই সময়টুকু।” গত বছর কেবল ওয়ানডে সংস্করণেই জাতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন রুবেল। ৬ ম্যাচে উইকেট ছিল কেবল ৫টি। বোলিং গড় ছিল ৬৯, ওভারপ্রতি রান দিয়েছিলেন প্রায় ৭ করে। শান্ত এখনও জাতীয় দলে জায়গা পাকা করার মতো কিছু করতে পারেননি। সম্প্রতি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে অবশ্য ৭১ রানের একটি ইনিংস খেলেছেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যেটি তার প্রথম ফিফটি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে দুই ম্যাচে করেছেন ২৯ ও ৬। গতবছর টি-টোয়েন্টিতে দুটি ম্যাচ খেলে ভালো করতে পারেননি। প্রধান নির্বাচক জানালেন, শান্তর সম্ভাবনার কথা ভাবনায় রেখেই তাকে রাখা হয়েছে উভয় বলের চুক্তিতে। “আমরা প্রতি বছরই প্রতিভাবান ও সম্ভাবনাময় তরুণদের রাখি, যার ওপর আমাদের আশা থাকে। শান্তকে অনেকদিন থেকে গড়ে তোলা হচ্ছে। সম্প্রতি ওর খেলা দেখে মনে হয়েছে যে সে ভালো করতে শুরু করেছে। আশা করি সে আস্থার প্রতিদান দিতে পারবে।”