সাতক্ষীরা আড়–য়াখালি পিএমডি মাদ্রাসা সভাপতির বিরুদ্ধে দূর্ণীতির তদন্ত

0
400

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুশখালি ইউনিয়নের আড়–য়াখালি পিএমডি মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্ণীতি সম্পর্কিত অভিযোগের তদন্ত বিবাদী পক্ষের অনুপস্থিতিতে মঙ্গলবার বিকেলে শেষ হয়েছে।
আড়–য়াখালি গ্রামের ডাঃ আনছার আলী জানান, ২০১৬ সালের জুন মাসে তিনি আড়–য়াখালি পিএমডি মাদ্রাসার সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। চলতি বছরের জুন মাসে তার কার্যকালের তিন বছর মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। পরে নতুন কমিটি গঠণ হওয়ার জন্য প্রক্রিয়া চলতে থাকে। আগষ্ট মাসের মাঝামাঝি নাগাদ তিনিসহ কমিটির কয়েকজন সদস্য ও অভিভাবক জানতে পারেন যে জনৈক মনিরুল ইসলাম মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মোঃ গোলাম সরোয়ার বাবু ও ও অফিস সহকারি জিয়াউল হক ও সংশ্লিষ্ট উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে একটি সাজানো কমিটি গঠণ করেছেন। এ অবৈধ কমিটির মাধ্যমে তারা শিক্ষক নিয়োগে মাদ্রাসার উন্নয়ন কল্পে মোটা অংকের টাকা , মাদ্রাসার বিভিন্ন আয় এর টাকা ও সরকারি অনুদানের টাকা আত্মসাৎ করে চলেছেন। এ অনিয়মের বিরুদ্ধে তিনিসহ ৩১জন অভিভাবক ও কমিটির সদস্য সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাশীষ চৌধুরী বরাবর অভিযোগ করলে গত ২৫ আগষ্ঠ তিনি সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমজাদ হোসেনকে আহবায়ক করে চার সদস্য বিশিষ্ঠ তদন্ত কমিটি গঠণ করে আগামি সাত কার্য দিবসের মধ্যে তদন্তপূর্বক সরকারি নীতিমালার আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। কমিটিতে সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার জাহিদুল ইসলাম, সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ও সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার নাম রয়েছে।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর বিকেল তিনটায় তদন্ত কমিটি আড়–য়াখালি মাদ্রাসায় এসে তদন্ত করবেন বলে তাদেরকে অবহিত করলেও সভাপতি মনিরুল ইসলাম চিঠি পাননি এমন অভিযোগ করায় তদন্ত হয়নি। অবশেষে মঙ্গলবার বিকেল চারটায় মাদ্রাসায় তদন্ত হবে এমন নোটিশ দেওয়া হলেও বিশেষ কারণে তদন্তের স্থান তদন্ত কমিটির আহবায়ক কৃষি কর্মকর্তা আমজাদ হোসেনের অফিসে হবে বলে অভিযোগকারীদের জানানো হয়। তিনিসহ ১৯জন অভিবাবক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি কৃষি কর্মকর্তার অফিসে হাজির হলেও তঞ্চকী মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মনিরুল ইসলামসহ অন্যরা আসেননি।
জানতে চাইলে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন বলেন, অভিযোগকারি ডাঃ আনছার আলীসহ ১৯জন হাজির হয়ে লিখিত বক্তব্য দাখিল করেছেন। বিবাদী মনিরুল ইসলাম বা অন্য কেউ তাদের পক্ষে তার অফিসে আসেনি বা না আসার জন্য কোন কারণ দর্শাণনি। তবে অভিযোগকারিগন তাদের লিখিত জবানবন্দিতে ১০ম শ্রেণীতে পড়–য়া এক ছাত্রীর বাবা আব্দুল গফুরকে যেভাবে নিয়ম বহির্ভুতভাবে অভিবাবক সদস্য দেখানো হয়ে তা বিধিবর্হিভুত। এ ছাড়াও আরো কয়েকটি কারণ প্রমান করে কমিটি গঠণে দূর্ণীতি হয়েছে। কমিটির অন্য কিন সদস্যকে নিয়ে দু’ এক দিনের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।