সাজাপ্রাপ্ত খুবি কর্মকর্তা আফরিন জামান লিনাকে খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ!

0
610

নিজস্ব প্রতিবেদক : মুন্সীগঞ্জ আদালতের একটি চেক ডিজঅনার মামলায় আসামী লিনাকে ৪ মাসের জেল ও ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানার রায় প্রদান করে আদালত।

আদালতের রায়ের ৩ মাস অতিবাহিত হলেও তিনি নিয়মিত খুবিতে অফিস করছেন। অথচ থানা পুলিশ গ্রেফতার করতে পারছে না পুলিশ।
জানা যায়, সাঁজাপ্রাপ্ত আফরিন জামান লিনা খুলনার দৌলতপুর থানার মহেশ্বপাশা কুয়েট এলাকার কামরুজ্জামান কুদ্দুসের মেয়ে। খুবিতে চাকুরীরত অবস্থায় লিনা বিদেশে পাঠানোর কথা বলে মুন্সীগঞ্জ জেলা শহরের মাঠপাড়া এলাকার যুবক শিহাবুল হাসানের কাছ থেকে ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা নেয়।
পরে বিদেশ পাঠাতে ব্যর্থ হলে যুবককে ৩ লাখ ২০ হাজার টাকার একটি চেক প্রদান করেন তিনি। অগ্রনী ব্যাংকের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ওই চেকটি ডিজঅনার হয়। এতে যুবক শিহাবুল হাসান ২০১৬ সালের ১২ এপ্রিল মুন্সীগঞ্জের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আফরিন জামান লিনাকে একমাত্র আসামী করে চেক ডিজঅনারের মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মামলাটি মুন্সীগঞ্জের দ্বিতীয় যুগ্ম জেলা আদালতে স্থানান্তর হয়। ওই আদালতের বিচারক শরীফুল আলম ভুঁঞা ২০১৮ সালের ১৭ মে আসামী লিনাকে ৪ মাসের জেল ও ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানার রায় প্রদান করেন।
মামলার রায়ের ৩ মাস অতিবাহিত হলেও খুবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বিভাগের অফিস সহকারী সাঁজাপ্রাপ্ত লিনা গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী শিহাবুল হাসান।
তিনি দাবী করেন- মামলার সাজাপ্রাপ্ত হয়েও লিনা দিব্যি কর্মস্থলে উপস্থিত হচ্ছেন নিয়মিতই। কিন্তু পুলিশ অদৃশ্য কারণে তাকে গ্রেফতার করছে না।
এ ব্যাপারে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মোস্তাক আহমেদ বলেন, লিনার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা আছে। উনার বাড়ি ও অফিসে কয়েক বার গেলেও পাওয়া যায়নি। খোঁজ খবর নিয়ে জেনেছি উনি এখানে থাকেন না। শুনেছি ঢাকায় থাকেন।
তবে খুবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শেখ শারাফাত আলী বলেন, আফরিন জামান লিনা সাময়িক বরখাস্ত অবস্থায় আছেন। উনার বিষয়ে প্রশাসন ব্যবস্থা নিবে। তবে লিনা অফিস করেন।