স্পোর্টস ডেস্কঃ
সাকিব আল হাসানের সঙ্গে লাঞ্চ কিংবা ডিনারের সুযোগ! কত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্যের প্রচারে এমন বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। কাল দুপুরে গায়ানার হোটেল পেগাসাসের সুইমিং পুল-লাগোয়া রেস্তোরাঁয় এমন কোনো অফারে সাকিবের সঙ্গে বসা হয়নি।
কথা বলার সময়টা এমনই হলো, সাকিব মাত্রই স্ত্রী উম্মে আহমেদ আর কন্যা আলায়নাকে নিয়ে দুপুরে খেতে বসেছেন। অদূরে প্রতিবেদককে অপেক্ষা করতে দেখে নিজেই ডাকলেন। ‘চলুন, খেতে খেতে কথা বলি’—হৃদয়ের দুয়ার-জানালা সব যেন খুলে দিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার!
বোঝা গেল সাকিব খোশমেজাজে আছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে অল্পের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া করলেও দারুণ ব্যাটিং করেছেন। দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। সাকিব আজ মন খুলে কথা বলবেন না তো আর কবে বলবেন! হাসিমুখে উত্তর দিলেন অনেক অপ্রিয় প্রশ্নের। শুধু এড়িয়ে গেলেন ওই প্রসঙ্গটা। তাঁর টেস্ট খেলা নিয়ে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান যে মন্তব্য করেছেন সেটি নিয়ে কিছু বলতে চাইলেন না।
ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে স্বস্তির জয়ের পরও ঘুরেফিরে এল অ্যান্টিগা টেস্টের সেই ভয়াবহ সকাল। সাকিব-তামিম-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর মতো ব্যাটসম্যান থাকতে একটা দল কীভাবে ৪৩ রানে অলআউট হয়! সাকিবের সহজ স্বীকারোক্তি, ‘অপ্রত্যাশিত বিষয় তো বটেই। সাধারণত এমন হয় না।’ কিন্তু কেন হলো, সেটির ব্যাখ্যায় যা বললেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক, তাতে চমকে উঠতেই হলো, ‘টেস্ট সিরিজে আমাদের ফল অবশ্যই হতাশার। ১ রানে হারা যা ১০০ রানে হারাও তা। আরও ভালো খেলার সুযোগ ছিল আমাদের। জানি না কেন এমন হলোৃহয়তো ওই ৪৩ রানে অলআউট হওয়ার পর ঘুরে দাঁড়ানোর সাহসটাই পাইনি!’
সাহস পাননি মানে! মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন, যা থেকে পরে বের হতে পারেননি? সাকিব অবশ্য সেটিও মানেন না, ‘এটা আমার পক্ষে বলা মুশকিল যে আসলে আমরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি কি না। এখন কে কীভাবে চিন্তা করে বলতে পারব না। আপনার ভাবনায় কী আছে, সেটা তো বলতে পারব না।’
যা হওয়ার হয়েছে। পেছনে তাকিয়ে আর কী লাভ? সাকিবও তাকাচ্ছেন না। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটা যখন জেতা গেছে, সাকিবের লক্ষ্য এখন সিরিজটাই জেতা।