সরকার হামলা-মামলা করে সাংবাদিক-শিক্ষার্থীদের ওপরে জেল-জুলুম করছে -পীর সাহেব চরমোনাই

0
587

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনাটাইমসঃ

বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। কিন্তু দেশ শাসন করা হচ্ছে সাধারণ মানুষ ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মনে আতংক তৈরী করে। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক আন্দোলনেও সরকার শক্তি প্রয়োগ করছে, হামলা-মামলা করে আন্দোলন দমন করছে। কোন মানবিক সরকারের পক্ষে এমন আচরন করা সম্ভব না।

শুক্রবার (১০ আগস্ট’১৮) বাদ আসর বায়তুল মোকাররমের পূর্ব গেইটে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সমাবেশে পীর সাহেব চরমোনাই এসব কথা বলেন।

ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি শেখ ফজলুল করীম মারুফের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি জেনারেল এম. হাছিবুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে সরকারের সমালোচনা করে পীর সাহেব চরমোনাই আরো বলেন, দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে দুর্নীতি, অনিয়ম ও জবরদখলের সয়লাব চলছে। মন্ত্রী-বিচারপতি ও শীর্ষ কর্মকর্তারাও সড়ক আইন মানছেনা। নির্বাচনের নামে ভোট ডাকাতি হচ্ছে, ব্যাংক লুটপাট হচ্ছে।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির সমালোচনা করে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, সর্বক্ষেত্রে অতি রাজনীতি বাংলাদেশে একটি ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনে সরকার রাজনীতির গন্ধ পেয়ে নির্মম হামলা-মামলা করে সাংবাদিক-শিক্ষার্থীদের ওপরে জেল-জুলুম করছে। অন্য দিকে কেউ কেউ এই আন্দোলনে ভর করে ক্ষমতায় যাওয়ার পাঁয়তারা করছে। সর্বক্ষেত্রে অতি রাজনীতি সবার জন্যই ক্ষতিকর।

সমাবেশে পীর সাহেব চরমোনাই হুঁশিয়ারী দিয়ে বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কোন ধরনের ছল-চাতুরী সহ্য করা হবে না। দেশ পরিচালনায় জনমতের যথার্থ প্রতিফলন ঘটাতেই হবে। বর্তমান সিইসি যদি এই দায়িত্ব পালনে সাহস না করে তাহলে তারা পদত্যাগ করুক। কিন্তু অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন হতেই হবে।

সভাপতির বক্তব্যে শেখ ফজলুল করীম মারুফ বলেন, ছাত্র রাজনীতি হওয়ার কথা শিক্ষার্থীদের স্বার্থে। কিন্তু বর্তমানে ছাত্র রাজনীতি হচ্ছে ক্ষমতায় থাকা ও যাওয়ার স্বার্থে। কোটা আন্দোলন ও অতি সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রলীগ যে সহিংস ও আক্রমনাত্মক ভূমিকা নিয়েছে তা ছাত্র রাজনীতির ইতিহাসে একটি কলংকময় অধ্যায় হয়ে থাকবে। একই সাথে একেবারেই অরাজনৈতিক ছাত্র বিক্ষোভকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করার যে অপপ্রয়াস হয়েছে সেটাও দুঃখজনক।

শেখ ফজলুল করীম মারুফ দাবী জানিয়ে বলেন, ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে উত্থাপিত ৭দফা, নিরাপদ সড়কের জন্য শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত ৯দফা দাবী মেনে নিতে হবে ও কোটা পদ্ধতির যৌক্তিক সংস্কার করতে হবে।

সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, ঢাকা মহানগর উত্তর এর সভাপতি অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও সাবেক কেন্দ্রীয় সাবেক সভাপতি মাওলানা আহমাদ আব্দুল কাইয়ুম, ইসলামী যুব আন্দোলন-এর সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহা. নেছার উদ্দিন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, ইশা ছাত্র আন্দোলন-এর সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ বরকতুল্লাহ লতিফ, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, জি.এম. রুহুল আমীন। বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শেখ মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন এর কেন্দ্রীয়, নগর, বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ শাখা নেতৃবৃন্দ।