সরকার যন্ত্রের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে – পীর সাহেব চরমোনাই

0
456

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা টাইমসঃ

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, দেশে ইসলামী অনুশাসন না থাকায় সর্বত্র অশান্তি বিরাজ করছে। কোথাও শান্তি নেই, নিরাপত্তা নেই, এমনকি মানুষের গনতান্ত্রিক অধিকারটুকুও নেই। সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও দুঃশাসন আমাদেরকে গ্রাস করে ফেলছে। সমাজের প্রতিটা রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি ঢুকে পড়েছে। সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে নিপতিত।

মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর’১৮) বিকাল ৩টায় নগরীর জামেয়া রশিদিয়া গোয়ালখালী মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর এর উদ্দ্যোগে খুলনা ২ ও ৩ নং আসনের ওয়ার্ড নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রশিক্ষন কর্মশালা এবং ঈদ পূনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ও খুলনা মহানগর সভাপতি মাওলানা মুজ্জাম্মিল হক এর সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষন কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, মাওলানা মুজাফ্ফার হুসাইন, মুফতী মাহবুবুর রহমান, জয়েন্ট সেক্রেটারী মাওলানা ইমরান হুসাইন, জেলা জয়েন্ট সেক্রেটারী ইঞ্জিনিয়ার এজাজ মানসুর, সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম সজিব মোল্লা, মোঃ আবু গালিব, প্রচার সম্পাদক মোঃ তরিকুল ইসলাম কাবির, মোঃ আব্দুর রশিদ, অর্থ সম্পাদক জিএম কিবরিয়া, দপ্তর সম্পাদক মোঃ রবিউল ইসলাম তুষার, মাওঃ আব্বাস আমিন, প্রশিক্ষণ সম্পাদক ডাঃ আল আমিন এহসান, মুফতী আব্দুর রহমান মিয়াজী, মাওঃ দ্বীন ইসলাম, মোঃ হযরত আলী, আলহাজ্ব আবু তাহের, মোঃ জসিম উদ্দিন, মোঃ মিজানুর রহমান, এ্যাড. কামাল হোসেন, মুফতী রবিউল ইসলাম রাফে, মাওঃ সিরাজুল ইসলাম, শ্রমিক নেতা আলহাজ্ব জাহিদুল ইসলাম, মোঃ আবুল কালাম, যুব নেতা মোঃ ইসমাইল হোসেন, মোঃ ইমরান হোসেন মিয়া, ছাত্র নেতা মোঃ হাসিব গোলদার, মুহা. ইসহাক ফরীদি, মুহা. হাসানুজ্জামান, মুহা. সাইফুল ইসলাম, এইচ এম খালিদ সাইফুল্লাহ, কাজী আল আমিন, আব্দুল্লাহ নোমান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। প্রমুখ।

পীর সাহেব চরমোনাই আরো বলেন, বর্তমান চলমান গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা জনগণের শান্তি ও মুক্তি দিতে ব্যর্থ হয়েছে। দেশের সড়কে চলছে মৃত‍্যুর মিছিল। মানুষ আজ হাজারো সমস‍্যায় জর্জরিত। এ হাজারো সমস‍্যা সমাধানে ইসলামী শাসনব্যবস্থা দিতে পারে মানুষের শান্তি ও মুক্তির নিশ্চয়তা । কাজেই দেশে স্থায়ী শান্তি ও মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামকে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিজয়ী করতে ৯২ ভাগ মুসলমানকে এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনকে সরকার দলীয় আজ্ঞাবহ কমিশনে পরিণত করেছে। নির্বাচনের আগে বর্তমান সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে সকল দলের সমন্বয়ে নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। কারণ দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। নির্বাচনে সকল দলের সমান সুযোগ সৃষ্টি করতে হলে বিতর্কিত সংসদ ও সংসদ সদস্যদেরকে অবশ্যই ক্ষমতাহীন করতে হবে।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন,সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে বুঝা যাবে জনগণ আগামী নির্বাচনে কাদেরকে চায়! জনগণ আর যেনতেন পাতানো নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতায় যেতে দেবে না। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিশিষ্টজনদের বিরোধীতার পরও কেন আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের পাঁয়তারা করছে নির্বাচন কমিশন, তা আমাদের সহজেই অনুমেয়। দেশের জনগণের রায়ের প্রতি কোন প্রকার তোয়াক্কা না করে ইভিএম জাতির ওপর চাপিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র করলে তা কারো জন্যই কল্যাণকর হবে না। সরকার জনগণের ভোটের উপর আস্থা হারিয়ে যন্ত্রের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে।