সরকারের ঘাড়ে বাকশাল নামক একদলীয় শাসন ব্যবস্থার ভূত চেপে বসেছে-মঞ্জু

0
246

খবর বিজ্ঞপ্তি:
মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারে ঘাড়ে এখনো সেই বাকশাল নামক একদলীয় শাসন ব্যবস্থার ভূত চেপে বসে আছে। বাংলাদেশে নির্বাচনী ব্যবস্থা একেবারে নিশ্চিহ্ন করার এক অপরিণামদর্শী খেলায় নেমেছে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার। ১৯৭৩ সালে শেখ মুজিবের জীবদ্দশায় নোয়াখালী থেকে ব্যালট বাক্স হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় এনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৪ সালে ভোটারবিহীন প্রার্থীবিহীন প্রহসনের নির্বাচনে ১৫৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় এমপি হয়েছিল। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরে রাষ্ট্রীয় পুলিশ ও প্রশাসনকে উলঙ্গভাবে ব্যবহার করে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বাড়িছাড়া এলাকাছাড়া করে ২৯ ডিসেম্বর রাতে ভোট কেটে ব্যালট বাক্স ভরে নিজেদেরকে আজ্ঞাবহ অথর্ব ইসিকে দিয়ে বিজয়ী ঘোষণা করার মধ্য দিয়ে ক্ষমতা দখল করে বর্তমান সরকার। গত ১৭ অক্টোবর ২০২০ ঢাকায় ও নওগাঁ এবং তার কিছুদিন পূর্বে পাবনার ঈশ্বরদীতে একই ধরণের প্রহসনের ভোট ডাকাতির নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেছে এই নির্বাচন কমিশন। ঢাকাতে সরকার দলের প্রার্থী যে আসনের ভোটার নন, যে কেন্দ্রের ভোটার নন সেখানে তিনি নিজে ভোট দিয়েছেন অথচ সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং অফিসার বলছেন তিনি ওই কেন্দ্রের ভোটার নন। সবকিছু মিলিয়ে তুগলকি কারবার ঘটে যাচ্ছে দেশে। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় কেডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে মহানগর ও জেলা বিএনপির আয়োজনে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত উপ নির্বাচনে সরকারের সীমাহীন সন্ত্রাস, ভোট ডাকাতি ও কারচুপির প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসুচির অংশ মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম মঞ্জু এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, সরকারের নির্যাতন আর নির্বাচন কমিশনের আয়োজনে এখন জনগণ ভোটবিমুখ হয়ে গেছে, বিরোধী দলের সম্ভাব্য এজেন্টদের পুলিশি হয়রানি, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টির মাধ্যমে এমন ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে যাতে করে মানুষ ভোটকেন্দ্রে না যায়। আর সরকার দলের পান্ডারা ইচ্ছেমত ইভিএম এর বোতাম চেপে ভোট কারচুপির মহাউৎসব করে চলেছে। এ অবস্থা দেশের ও গণতন্ত্রের জন্যে এক চরম অশনি সংকেত। মঙ্গলবার ২০ অক্টোবর ২০২০ যশোর সদর এবং খুলনার পাইকগাছা ও বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় উপ নির্বাচনেও একই খেলার প্রস্তুতি চলছে। গত ১৭ তারিখ মধ্যরাত থেকে শুরু করে যশোর শহরে সরকার সমর্থক গুন্ডাদের সন্ত্রাসী তান্ডব দেশবাসী দেখেছে। বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য মরহুম তরিকুল ইসলাম, জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব এ্যাড সাবেরুল হক সাবু সহ ১০/১২ জন শীর্ষনেতার বাড়িতে বিভৎস হামলা করেছে আওয়ামী লীগের গুন্ডারা। পাইকগাছায় একাধিক হামলার ঘটনায় অভিযোগ করলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি নির্বাচন কমিশন বা পুলিশ। বক্তারা বলেন, দেশে চলছে অবাধ লুটতন্ত্র আর সীমাহীন দু:শাসন। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং উদাসীনতায় নানা নামের লীগ এখন ধর্ষণ আর নারী শিশু নির্যাতনের উৎসবে মেতেছে। সরকার নেতাদের আসকারায় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নানা বাহিনীর নির্বিচার অপশাসনে দেশবাসী নাকাল। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি সর্বকালের রেকর্ড ছাড়িয়েছে। নিম্ন ও নির্ধারিত আয়ের মানুষের জীবনযাপন এখন দুর্বিসহ অবস্থায় উপনীত। উন্নয়নের নামে চলছে অবাধ দুর্নীতি। কোথাও কোন সামান্য প্রতিবাদ সরকার বরদাস্ত করতে পারছে না। প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন সমূহের সম্মিলিত ধর্ষণ বিরোধী লং মার্চে দফায় দফায় হামলা করেছে সরকার সমর্থকরা নানা স্থানে। নারী কর্মীরাও তাদের নিষ্ঠুরতার শিকার হয়েছে। এ অবস্থা অবাধে চলতে দেয়া যায় না। এ সরকারের পতন ছাড়া দেশের মানুষের কোন নিস্তার নেই। ভোটের মাধ্যমে জনগণের পছন্দের সরকার প্রতিষ্ঠার সকল স্বীকৃত পথ এই ফ্যাসিবাদী সরকার রুদ্ধ করে দিয়েছে। সুতরাং গণআন্দোলনের মাধ্যমে এদের পতন নিশ্চিত করে সুষ্ঠু এবং অবাধ, ভীতিমুক্ত নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থা করে তবেই ঘরে ফিরতে হবে বলে মানব বন্ধনে বক্তারা উল্লেখ করেন। এজন্য সকল মতের পথের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামার আহবান জানান নেতৃবৃন্দ।
আসাদুজ্জামান মুরাদ ও ওয়াহেদুজ্জামান রানার পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনা, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমির এজাজ খান, ইকবাল হোসেন, অধ্যক্ষ তরিকুল ইসলাম, আব্দুর রশিদ, আরিফুজ্জামান অপু, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, আবু হোসেন বাবু, খায়রুল ইসলাম জনি, এড. তছলিমা খাতুন ছন্দা, রেহানা ঈসা, চৌধুরী নাজমুল হুদা সাগর, মুজিবুর রহমান, মোল্লা কবির হোসেন, শরিফুল ইসলাম বাবু, জাবির আলী । মানবন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, শেখ মুশাররফ হোসেন, সিরাজুল ইসলাম, সিরাজুল হক নান্নু, নজরুল ইসলাম বাবু, রকিব হোসেন, শাহিনুল ইসলাম পাখি, জালু মিয়া, সাদিকুল ইসলাম সবুজ, ইকবাল হোসেন খোকন, শেখ সাদী, নিজাম উর রহমান লালু, ইউসুফ হারুন মজনু, সাজ্জাদ আহসান পরাগ, মোজাম্মেল হোসেন, নাজমুল সাকিব পিন্টু, চৌ. হাসানুর রশিদ মিরাজ, একরামুল কবির মিল্টন, শামসুজ্জামান চঞ্চল, কামরান হাসান, মুজিবুর রহমান ফয়েজ, গোলাম কিবরিয়া, ওয়েজ উদ্দীন সান্টু, আনিসুজ্জামান আনিস, ওয়াহেদুজ্জামান পান্না, জসিম উদ্দীন লাবু, আব্দুস সালাম, এনামুল হাসান ডায়মন্ড, হাসান মেহেদী রেজভী, হাফিজুর রহমান মনি, ইমাম হোসেন, জামিরুল ইসলাম, আ: লতিফ, বেলায়েত হোসেন, বদরুল আনাম খান, শরিফুল ইসলাম শরিফ, হাবিবুর রহমান বিশ্বাস, আফসার উদ্দীন মাস্টার, ইসাহাক তালুকদার, তরিকুল ইসলাম, আকরাম হোসেন খোকন, সরদার রবিউল ইসলাম রবি, মেজবাহ উদ্দীন মিজু, মহিউদ্দীন টারজান, ইমতিয়াজ উদ্দীন বাবু, লিটন খান, বাচ্চু মীর, আব্বুর জব্বার, আলমগীর হোসেন, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, মোস্তফা কামাল, হাসনা হেনা, আসলাম হোসেন, ওয়াহেদুর রহমান দিপু, নাসির খান, তৌহিদুর রহমান খোকন, জাহিদ কামাল টিটো, শেখ মাসকত আলী, আফিস ইকবাল লিটন, কাজী মাহমুদ আলী, শামীমুল বারী পান্না, শরিফুল ইসলাম বাদল, জাহিদুল ইসলাম রিপন, মনিরুজ্জামান লেলিন, শাহাদৎ হোসেন, কাজী ফজুলল কবির টিটো, আমিরুল ইসলাম তারিক, ইকবাল হোসেন, মাও. আব্দুল গফ্ফার, মাজেদা খাতুন, এমদাদ হোসেন, জাহাঙ্গির হোসেন, ডা. ফারুক হোসেন, জাকারিয়া লিটন, লিটু পাটোয়ারী, হেদায়েত হোসেন, মনিরুল ইসলাম, জিএম মাহবুব হোসেন, মশিউর রহমান খোকন, হুমায়ুন কবির, আসাদুজ্জামান আসাদ, রফিকুল ইসলাম রফিক, সিদ্দিকুর রহমান, শাকিল আহম্মেদ, গোলঅম মোস্তফা ভুট্টো, বুলু চৌধুরী, আবুল কালাম মোল্লা, রাজু মোল্লা প্রমূখ।