নিজস্ব প্রতিবেদক:
খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি মুক্ত দিবস উপলক্ষে আয়োজিত জনসভায় বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য দেয়ায় যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২টি পৃথক মামলা দায়ের হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত মামলা ২টি আমলে নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পিবিআই-তে পাঠিয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ৯ ডিসেম্বর উপজেলার কপিলমুনি মুক্ত দিবস উপলক্ষে কপিলমুনি সহচরী বিদ্যামন্দির মাঠে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক।
উক্ত জনসভায় মন্ত্রীর মঞ্চে আগমনের পূর্বে বক্তব্য প্রদানকালে উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য উপজেলার কাশিমনগর গ্রামের মৃত গাজী রফিকুল ইসলামের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক রাজু বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য প্রদান করেন।
বক্তব্যে তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট কিছু বিপদগামী সৈনিক বঙ্গবন্ধুকে স্ব-পরিবারে হত্যা করে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেছে। এ বক্তব্যের প্রতিবাদে বক্তা আব্দুর রাজ্জাক রাজু’র শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ, প্রতিবাদ সভা ও সাংবাদিক সম্মেলন হয়েছে। বিষয়টিকে ইস্যু করে গত ১৭ ডিসেম্বর আব্দুর রাজ্জাক রাজু ২০/২৫জন লোক নিয়ে লিটন সরদার নামে এক যুবককে মারপিট করে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
এসব বিষয় নিয়ে লিটন সরদার বাদী হয়ে রাজুর বিরুদ্ধে দ-বিধির ৩২৩/ ১২৩ (ক)/ ৫০০/ ৫০৬(২) ধারায় পাইকগাছা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। একই ঘটনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সৈয়দ সালামুল্লাহ ১২৩ (ক)/ ৫০০ ধারায় একই আদালতে আরো ১টি মামলা করেছেন।
মামলার আইনজীবী এ্যাড. জি.এম. আমজাদ হোসেন ও শেখ তৈয়ব হোসেন নূর বলেন, মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) মামলাটি আমলে নিয়ে বিজ্ঞ আদালত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পিবিআই-তে পাঠিয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা যুবলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সংশ্লিষ্ট সদস্য আব্দুর রাজ্জাক রাজু বলেন, অসাবধানতা বশত: বক্তব্যে তিনি যুক্তর স্থলে মুক্ত বলে ফেলেছিলেন। এরআগে সংবাদ সম্মেলন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করে একাধিক বিবৃতি দেন বলেও জানানো হয়।
