শুধু নেতা নয়, নীতির পরিবর্তন চাই : পীর সাহেব চরমোনাই

0
1299
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
ইসলামী যুব আন্দোলন খুলনা মহানগরের উদ্যোগে মাওলানা সৈয়দ ফজলুল করীম, পীর সাহেব চরমোনাই রহ. এর জীবন ও কর্ম: আমাদের শিক্ষা শীর্ষক আলোচনা সভা আজ (১৯ নভেম্বর) বেলা ২টয় নগরীর হোটেল রয়্যাল ইন্টারন্যাশনালে অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই)। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রেসিডিয়ামের অন্যতম সদস্য আলহাজ্ব ডাঃ মোখতার হোসাইন, নায়েবে আমীর হাফেজ মাওলানা অধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল, পীর সাহেব চরমোনাই রহ. এর খলিফা অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল মজিদ, জামি’য়া ইসলামীয়া আরাবিয়া দারুল উলুম খুলনার মুহ্তামিম হাফেজ মাওলানা মুফতী মুশতাক আহমেদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা মুজ্জাম্মিল হক, ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন, খুলনা দারুল উলুম মাদ্রাসার মাওঃ নাসির উদ্দিন কাসেমী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগরের ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মাদ দ্বীন ইসলাম।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, অনেক প্রতিবন্ধকতা পেড়িয়ে একটি মডেল রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন নিয়ে এদেশের মানুষ বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিল। অথচ আজ বাংলাদেশের পরিবেশ স্বাধীনতাপূর্ব অবস্থার চেয়েও অনেক বেশি নাজুক হয়ে গেছে। খুন, গুম, চাঁদাবাজী, ইভটিজিং, ধর্ষণ, নেশা সহ সকল প্রকার অন্যায় ও নেতিবাচক কাজ ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশের সমাজে। আর এ সকল নেতিবাচক কাজের মূল হোতা বা মদদদাতা হলো দেশের রাজনৈতিক নেতারা। স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন অতন্দ্র প্রহরী ছিলেন চরমোনাই মরহুম পীর সাহেব রহ.। তিনি স্বাধীনতার পরবর্তী ২/৪ জন নেতাদের শাসনামল দেখে আফসোস নিয়ে বলেছিলেন- দেশের মূল পরিবর্তন ও উন্নয়নের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে শুধু নেতা নয়, নীতির পরিবর্তন চাই এটা বাস্তবায়ন করতে হবে, বাংলাদেশে আজ বারবার ক্ষমতার পালাবদল হচ্ছে। কিন্তু আদর্শবান কোন নেতার হাতে ক্ষমতা আসে নি। যারাই যখন ক্ষমতা পেয়েছে, সবাই দেশকে লুটেপুটে খেয়েছে। সুতরাং আজ দেশকে বাঁচাতে হলে, দেশের স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে এবং একটি আদর্শ দেশ গঠন করতে হলে পীর সাহেব চরমোনাই’র ঐতিহাসিক স্লোগানটি বাস্তবায়ন করতে হবে। আর তা বাস্তবায়নে তিনি ইসলামী যুব আন্দোলনকে অগ্রনী ভূমিকা পালন করার আহবান জানান।
“মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মাদ ফজলুল করিম রহ.” এর স্মৃতিচারন করতে গিয়ে বলেন তিনি একজন যুগ সম্পন্ন ধর্মীয় নেতা ছিলেন। ইসলাম দেশ ও মানবতার বিরুদ্ধে সকল অপশক্তির মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। রাজনীতির ময়দানে তিনি একজন সৎ, যোগ্য ও নিষ্ঠাবান নেতা হিসাবে পরিচিত ছিলেন। এদেশের বিভিন্ন পর্যায়ে পথহারা মানুষদেরকে আল্লাহর পথে ফিরিয়ে আনার জন্য আলাদা আলাদা অনেকগুলো মিশন প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। যাতে করে এদেশের মানুষ ধর্মীয় ও রাজনৈতিকভাবে সুপথে পরিচালিত হতে পারে। তার বজ্র কঠিন অবস্থানের কারনে বিভিন্ন সময়ে গড়ে উঠা ধর্মীয় ফেরকাগুলো মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে নাই। তার সুদুর প্রসারী পরিকল্পনাই এদেশে ইসলামী হুকুমত কায়েমের প্রথম প্রদক্ষেপ। এরই ধারাবাহিকতায় ইসলামী যুব আন্দোলন এদেশের পথভোলা যুবকদের কান্ডারী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি ইসলামী যুব আন্দোলন মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মাদ ফজলুল করীম রহ. এর পদাঙ্ক যথাযথ ভাবে অনুসরন করে কুরআন এবং সুন্নাহ ভিত্তিক যুব সমাজের দ্বারে দ্বারে দ্বীনের সঠিক দাওয়াত পৌছাতে পারে তাহলে সেদিন আর বেশি দূরে নয় যেদিন এদেশে ইসলামী হুকুমত কায়েম হবে ইনশাআল্লাহ।
ইসলামী যুব আন্দোলন খুলনা মহানগর সভাপতি মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে ও  সাধারণ সম্পাদক মো. ইমরান হোসেন মিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন জেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুল্লাহ ইমরান, নগর সহ-সভাপতি মাওলানা মোজাফফর হোসেন, শেখ নাসির উদ্দিন, নগর সেক্রেটারী মুফতী আমান উল্লাহ, জেলা সেক্রেটারী শেখ হাসান ওবায়দুল করিম, মাওঃ ইমরান হোসাইন, জিএম সজিব মোল্লা, তরিকুল ইসলাম কাবির, হাফেজ মোস্তাফিজুর রহমান, শ্রমিক নেতা আলহাজ্ব জাহিদুল ইসলাম, শিক্ষক ফোরাম সভাপতি, মুফতী রবিউল ইসলাম রাফে, যুব আন্দোলন নগর সহ সভাপতি আলহাজ্ব আবুল কাশেম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুল হক তানভীর, সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ এম জুনাইদ মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক মোঃ আব্দুর রশিদ, দাওয়াত ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতী আব্দুর রহমান মিয়াজী, প্রচার সম্পাদক গাজী মোঃ ফেরদৌস হোসেন, প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ মেহেদী হাসান, আলহাজ্ব আকবার আলী পাঠান, এ্যাডঃ কামাল হোসাইন, ফজলুল করীম, ডাঃ শামীম হায়দার, মোঃ হাফিজুর রহমান, মোঃ সাইফুল ইসলাম, মোঃ আমজাদ হোসেন, মোঃ আজাদ মোল্লা, মোঃ ইনসান আলী, মোঃ বাকী বিল্লাহ, যুবনেতা শেখ মাসুদুর রহমান, ছাত্রনেতা শেখ মোঃ আমিরুল ইসলাম, কে,এম আব্বাস আলী ও এম.এ হাসিব গোলদার প্রমুখ, পীর সাহেব হুজুর পরে ইসলামী যুব আন্দোলন খুলনা জেলা কমিটির শপথ বাক্য পাঠ করান।