শীতবস্ত্রের বিক্রি ও দাম দুটোই বেড়েছে খুলনায়

0
231

নিজস্ব প্রতিবেদক:
খুলনাসহ দক্ষিনাঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে চলেছে শৈত্য প্রবাহ। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে খুলনার জনজীবন। শীতল বাতাসে জনসাধারণের দৈনন্দিন কাজের গতি কমে গেলেও বিক্রি বেড়েছে শীতবস্ত্রের। শীতের হাত থেকে বাঁচতে হলে গরম কাপড় পড়তেই হবে। আর সে কারনে শীতবস্ত্রের দাম কোন ক্রমেই কমছে না। শীতের সবজির মতই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতবস্ত্রের দামও। এদিকে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির সাথে সাথে শীতবস্ত্রের বাজারগুলোতেও পা ফেলার জায়গা পাওয়া দূরহ হয়ে পড়েছে।
শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে খুলনার রেলওয়ে মার্কেট ও ডাকবাংলা মোড় এলাকায় বেড়েছে শীতবস্ত্র বিক্রি। দামও বৃদ্ধি পেয়েছে এসব বস্ত্রের। ডাকবাংলা মোড়ে শীতবস্ত্র কিনতে আসা আনজুমান আরা জানান, তীব্র শীতে মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। কয়েকদিন আগে যে সোয়েটারের দাম চাওয়া হয়েছে ৩শ থেকে সাড়ে ৩শ টাকা, আজ তা ৭শ টাকা চাইছেন বিক্রেতা। শীত ঠেকাতে গেলে গরম কাপড় লাগবেই, আর সেজন্য বিক্রেতারা নিজেদের ইচ্ছা মাফিক দাম বৃদ্ধি করেছেন। ক্রেতারা বাধ্য হয়েই বেশি দাম দিয়ে গরম কাপড় কিনছেন।
ডাকবাংলা মোড়ের শীতবস্ত্র বিক্রেতা আসাদ জানান, ফুটপাতে বসে কাপড় বিক্রি করা খুবই কঠিন। ফুটপাতের কাপড় বলে অনেকে কিনতে চায় না। তাই অন্য সময় বেচাবিক্রি একটু কম হয়। এতে ব্যবসা টিকিয়ে রাখাই দায়। তবে এখন বিক্রি বেড়েছে। তবে দাম বৃদ্ধি করা হয়নি বলে দাবি করেন।
নগরীর রেলওয়ে মার্কেটে শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে গিয়ে দেখা যায় উপচে পড়া ভীড়। দোকানীরা প্রতিনিয়ত পুরাতন কাপড়ের বান্ডেল কাটছে আর তার উপর হুমড়ি খেয়ে পড়ছে ক্রেতারা। ভালো শীতবস্ত্র কিনতে হবে এমন একটা প্রতিযোগীতা লেগে রয়েছে প্রায় সব দোকানেই।
এখানে জ্যাকেট কিনতে আসা কলেজছাত্রী তাহমিনা নাহার বলেন, শীত বেড়েছে বলে কাপড়ের দামও বেড়েছে। দোকানীরা তাদের ইচ্ছামত দাম চাইছে। গত বছর যে জ্যাকেট হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে এই বছর ঠিক একই সময়ে চাইছে ১৮ শত থেকে দুই হাজার টাকা। কিন্তু জিনিসের মান একই রয়েছে।
তিনি বলেন, বাজারে সবজির দাম যেমন না কমে বৃদ্ধি হচ্ছে, খেতেই হবে তাই। আর শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির কারনে শীত নিবারণ করতেই হবে, সেই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়েছে বিক্রেতারা।
তবে মার্কেটের ব্যবসায়ী আসাদুল্লাহ গালিব বলেন, ভাই সবকিছুর দাম বেড়েছে। তাই বাধ্য হয়েই দাম বাড়াতে হয়েছে। পুরন কাপড়ের বান্ডিল আগে যে দামে পাওয়া গেছে এবছর তার চেয়ে আরও কয়েক হাজার টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু একটা বান্ডিল কাটলে শতকরা ৬০ ভাগ কাপড় বিক্রি করা সম্ভব হয় না। তাই লোকসান ঠেকাতে এই পন্থা গ্রহণ করতে হয়।