শিশু ফাউন্ডেশন নির্বাচনে পরাজয় রুখতেই তান্ডব বিএনপি ও জামায়ত সন্ত্রাসীদের : ছাত্রলীগ

0
468

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : খুলনার স্থানীয় বিভিন্ন দৈনিক ও অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত “নগর বিএনপির জরুরী সভা, ভোট ডাকাত সরকার ও অধীনস্ত প্রশাসন দ্বারা সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়” শিরোনামের সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে খুলনা মহানগর ছাত্রলীগ।

খুলনা মহানগর ছাত্রলীগর বৃহস্পতিবার এক জরুরী সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রতিবাদ বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমান জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিগত বিএনপি জামায়ত সরকারের আমলে লুন্ঠিত ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে দেশের জনগনের শাসন ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছেন। গত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার গঠন করে সফলভাবে দেশ পরিচালনা করেন এবং উন্নয়নের মহাসড়কে দেশ কে দাঁড় করান। উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখার লক্ষ্যে গত ৫ই জানুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জঙ্গীদের মদতদাতা দূর্নীতিবাজ ও আগুন সন্ত্রাসীদের দল বিএনপিকে প্রতিহত করে জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেয়া হয়। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নির্বাচনে আবার বাংলাদশ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে জনগণ। তারই ধরাবাহিকতায় দেশের জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে বর্তমান সরকার ও সরকারের অধীনস্ত স্থানীয় প্রশাসন অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন গ্রহনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।

গত ১৯ই ডিসেম্বর একটি সেবা ধর্মী প্রতিষ্ঠান খুলনা শিশু ফাউন্ডেশন এর নির্বাচনে খুলনা ২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মিজানুর রহমান এর নেতৃত্বে উন্নয়ন ও শিশু স্বাস্থ পরিষদ ও খুলনা সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. সাইফুল ইসলামের নেতৃত্ব প্যানল দুটি নির্বাচনে প্রতিদ্বদ্বিতা করে। একটি শান্তিপূর্ন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। রাতে ভোট গণনা চলছিলো, কিন্তু তখন বিএনপির প্রার্থীরা তাদের পরাজিত হওয়ার আশংকা থেকে এবং বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডকে বাধাগ্রস্থ করতেই শিশু ফাউন্ডশন নির্বাচন কে প্রশবিদ্ধ করতে লিপ্ত হয়। ফলাফল পরিবর্তন করতে বিএনপি ও জামায়তের সন্ত্রাসীরা ঘৃণিত হামলা চালিয়ে জেলা স্টেডিয়ামের বিপুল ক্ষতি সাধন করে।

উল্লেখ্য যে বর্তমান সরকার প্রায় ১৩ কোটি টাকা ব্যায়ে খুলনা জেলা স্টেডিয়াম নির্মান করে। যা উদ্বোধনের অপেক্ষায় ছিল। ঠিক তখনই এই হামলা। এট প্রমাণ করে সরকারের উন্নয়ন কাজকে বাধাগ্রস্থ করতে ও ক্ষমতাসীন দলের মধ্যে বিভক্তি তৈরির হীন মানসিকতা থেকেই বিএনপি জামায়ত এজেন্ডা বাস্তবায়নে এ হামলা হয়েছে। খুলনা মহানগর বিএনপির বৈঠকে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জেড এ মাহমুড ডন ও খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রাসেল এর বাহিনী হামলা চালিয়েছে বলে যে অভিযোগ করা হয়েছে তার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে খুলনা মহানগর ছাত্রলীগ।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শিশু ফাউন্ডেশন নিবাচনের ছাত্রলীগের কোন প্রার্থী নাই কিংবা ছাত্রলীগ এই নির্বাচনের সাথে জড়িতও না। সুতরাং হামলা ও ভাংচুরের সাথে ছাত্রলীগের কোন ভাবে জড়িত থাকার প্রশ্নই আসে না। মহানগর ছাত্রলীগ মনে করে এটা একটি মিথ্যা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট এবং পাগলের প্রলাপের মত অভিযোগ, এটা বিএনপির মিথ্যাচারের ধারাবাহিক অভিযোগের অংশ । খুলনা মহানগর ছাত্রলীগ এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। প্রতিবাদ বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে যেখানে ছাত্রলীগের সহ আওয়ামী লীগ প্রায় ১৫ জন নেতা কর্মী আহত হয়েছে সেখান কেমন করে জেড এ মাহমুদ ডন বা আসাদুজ্জামান রাসল এর লোকজন হামলা করেছে, সেটা আমাদের বোধগম্য নয়। খুলনা মহানগর ছাত্রলীগ বিএনপির নেতৃবৃন্দর প্রতি হুশিয়ারী প্রদান করে বলেন আপনারা মিথ্যাচার থেকে বেরিয়ে আসুন তা না হলে খুলনা মহানগর ছাত্রলীগ আপনাদের মিথ্যাচারের উপযুক্ত জবাব দিবে। উল্লেখিত সংবাদটি যে সকল পত্রিকায় যে পৃষ্ঠায় যে কলামে ছাপানা হয়েছে সেই স্থানে খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের বিবৃতিটি ছাপানোর জন্য সংশ্লিষ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক ও বার্তা সম্পাদকের নিকট বিনীত অনুরাধ করা হয়।
বিবৃতিদাতারা হলেন মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রাসেল, কেন্দ্রীয় সদস্য মুজিবুর রহমান মুজিব, সহ-সভাপতি তাজমুল হক তাজু, মাসুদ হোসেন সোহান, রেজাউল করিম সবুজ, হিরক কুমার গাইন, এখতিয়ার মোল্লা, জি এম সালাউদ্দীন, শেখ মোহাম্মদ, খম হেলালুজ্জামান, কামরুজ্জামান ইমরান, আরাফাত মিয়া, শাহীন আলম, আহনাফ অর্পন, মোঃ রাজু হোসেন, আজিম হোসেন জয়, মশিউর রহমান বাদশা প্রমুখ।