শিশু কন্যাকে সাথে নিয়ে পথে পথে সাতক্ষীরার আয়শাতুল কোবরা!

0
332

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: ১ বছরের ফুটফুটে শিশু কন্যাকে সাথে নিয়ে পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছেন আয়শাতুল কোবরা। ভাগ্য যেন তাকে নিয়ে এক নির্মম খেলায় মেতেছেন। পিতার আর্থিক অবস্থাও তেমন ভালো না। অন্যত্র বিবাহ করে তাড়িয়ে দিয়েছেন স্বামী। শিশু সন্তান নিয়ে কোথায় যাবেন তিনি। তীব্র মানষিক যন্ত্রনা তাকে সারাক্ষন তাড়া করে বেড়ায়। কোন ভাবেই স্বামীকে আটকানো যাচ্ছে না। এমনকি আদালতে মামলা হলেও কৌশলে জামিনে মুক্তি পেয়ে দিব্বি বহাল তবিয়তে লম্পট স্বামী ইমরান হোসেন।
শনিবার দুপুরে সাংবাদিকদের সামনে কান্না জড়িত কণ্ঠে একথাগুলো বলেন, সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার মানিকখালী গ্রামের আলাউদ্দীন সরদারের কন্যা আয়শাতুল কোবরা।
আয়েশাতুল কোবরা বলেন, বিগত ২০১৭ সালের ৫ মার্চ ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক দেড় লক্ষ টাকা দেন মোহর ধার্য্যে খুলনা জেলার দাকোপ থানাধীন চালনা গ্রামের শেখ জিয়াউল ইসলামের পুত্র ইমরান হোসেনের সাথে বিবাহ হয়। বিবাহের পর ইমরান যৌতুকের দাবিতে বিভিন্ন সময়ে আয়েশাতুল কোবরার উপর নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। ইতোমধ্যে ইমরান কে দেড় লক্ষ টাকা যৌতুক দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপরও লম্পট স্বামী ইমরান শ্বশুরবাড়ি এলাকার মিজানুর রহমানের নাবালিকা কন্যা মুন্নী আক্তারের সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে এক পর্যায়ে ১ বছরের ফুটফুটে শিশু কন্যাকে রেখে ওই মুন্নীকে বিবাহ করে। পরে আয়েশাতুল কোবরাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। এতে নিরূপায় হয়ে আয়েশাতুল পিতার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। এঘটনায় তিনি ন্যায় বিচারের দাবিতে আশাশুনি পারিবারিক আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ইমরান কে আটক করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু সুচতুর ইমরান আদালতে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে আদালত থেকে জামিন লাভ করে। অথচ জামিনে মুক্তি পেয়েই দ্বিতীয় স্ত্রী মুন্নি কে নিয়ে সংসার করে যাচ্ছেন। অন্যদিকে শিশু কন্যাকে সাথে নিয়ে ন্যায় বিচারের দাবিতে আয়েশাতুল কোবরা পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
এ বিষয়ে দাকোপ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে একটি শালিসী বৈঠক হলে সেখানে মুন্নী নাবালিকা হওয়ায় তার সাথে সংসার করা যাবে না মর্মে জানালেও ইমরান সেটি না মেনে তার সাথে সংসার করছেন। এ বিষয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।