শিক্ষক- সুপারের যোগসাজসে জালিয়াতি শরণখোলায় সমাপনী পরীক্ষায়

0
387

শেখ মোহাম্মদ আলী,শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি :
বাগেরহাটের শরণখোলায় এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষায় জালিয়াতির আশ্রয় নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার ১নং ধানসাগর ইউনিয়নের হোগলপাতি গ্রামের বাসিন্দা ও আকন্দপাড়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী মাওঃ নুর হাসেন ফরাজী তার বসত বাড়ীর এলাকায় পিতার নামে একটি মাদ্রাসা স্থাপন করার জন্য চলতি ইবেতদায়ী শিক্ষা সমাপনি পরীক্ষায় তার কর্মস্থল আকন্দপাড়া দাখিল মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেনীর ১৫ জন ছাত্র ভাড়া করে হোগলপাতি খবির উদ্দিন স্মৃতি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষার্থী দেখিয়ে আমড়াগাছিয়া কেন্দ্র থেকে পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করান।
জালিয়াতির মাধ্যমে সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান, রাবিক খান, পারভেজ, ইমরান, শরিফুল,হাসিব আকন, মোস্তাকিম বিল্লাহ, ওয়াসিম, রাকিব তালুকদার, মাসুমা, লীজা, জান্নাতী ও হাফসা সহ ১৪ জনের বাড়ী খোন্তাকাটা ইউনিয়নের মঠেরপাড় ও পশ্চিম খোন্তাকাটা গ্রামে বলে জানা গেছে।
হোগলপাতি গ্রামের বাসিন্দা রাজা মিয়া ও মুসা ফরাজী অভিযোগ করে বলেন, মাওঃ নুর হোসেন ও আকন্দপাড়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওঃ সিদ্দিকুর রহমানের যোগসাজসে অস্তিত্বহীন খবির উদ্দিন ইবতেদায়ী মাদ্রাসা স্থাপনের জন্য প্রতি বছর আকন্দপাড়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের ভাড়া করে জালিয়াতির মাধ্যমে পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করানো হয়। মাওঃ নুর হোসেনের উদ্দেশ্য মাদ্রাসা স্থাপনের নামে অন্যের জমি জবর দখল করা। কিন্তু বিষয়টি প্রসাশনের দৃষ্টি গোচর হচ্ছে না।

এ বিষয় হোগলপাতি খবিরউদ্দিন মাদ্রাসার পরিচালক ও আকন্দপাড়া মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মাওঃ নুর হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীরা যে স্থানের হোক না কেন তারা আমার মাদ্রাসা থেকে ৫ম শ্রেণীতে নাম রেজিষ্ট্রেশন করে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। অপরদিকে, আকন্দপাড়া মাদ্রাসার সুপার মাওঃ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, নুর হোসেনের জালিয়াতির বিষয়টি তিনি জানেন না। তবে খোজ খবর নিয়ে দেখবেন। অন্যদিকে, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষাকর্মকর্তা মোঃ আশ্রাফুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিক বার কল করেও তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিংকন বিশ্বাস জানান, বিষয়টি তিনি অবগত নন। তবে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিবেন। ###