শিকার নিষিদ্ধের শেষেও শরণখোলায় জেলেদের জালে ধরা পড়ছে প্রচুর ডিমওয়ালা ইলিশ

0
439
dav

শরণখোলা আঞ্চলিক অফিস :
মা ইলিশ শিকার নিষিদ্ধের নির্ধারিত সময় শেষ হলেও এখনো জেলেদের জালে ধরা পড়ছে প্রচুর পেটে ডিমওয়ালা ইলিশ। সোমবার দুপুরে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা সদর রায়েন্দা বাজার,তাফালবাড়ী বাজার সহ বিভিন্ন মাছের বাজারে ডিমওয়ালা ইলিশ বিক্রি হতে দেখা গেছে। সরকার ২২দিন ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম হিসেবে ঘোষনা করলেও প্রজননের জন্য এ সময়টা যথেষ্ট নয় বলে মৎস্যজীবিরা দাবি করছে।
রায়েন্দা বাজারের মৎস্য ব্যবসায়ী মো. মিলন শেখ জানান, তিনি সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ৪০ কেজির (এক মন) মতো ইলিশ বিক্রি করেছেন। এর মধ্যে আট-নয়শ’ গ্রাম ওজনের ইলিশের তিনের দুই ভাগের পেটেই ডিম দেখা গেছে। মৎস্য ব্যবসায়ী আবুল বাশার জানান, ২০ কেজির মত ইলিশ বিক্রি করা হয়েছে। রবিবার মধ্য রাতের পর জেলেরা বলেশ্বর নদী থেকে এই মাছ ধরেছেন। তার বেশিভাগ মাছের পেটে ডিম বোঝ্ইা। জেলেরা ২৮ অক্টোবর রাত ১২ টার পর নদীতে জাল ফেলে সকালে জাল টেনে একেক নৌকায় ৬-৭কেজি করে ডিমওয়ালা ইলিশ পেয়েছেন। আরো কিছুদিন সময় পেলে হয়তো এসব মাছেও ডিম ছাড়তো বলে জেলেদের ধারণা।
জাতীয় মৎস্য সমিতির শরণখোলা উপজেলা শাখার সভাপতি মো. আবুল হোসেন বলেন, অবরোধের সময় সীমা আরো কিছুদিন বাড়ানো উচিৎ। কারণ সোমবার সকালে মাছের বাজারে গিয়ে অধিকাংশ ইলিশের পেটে ডিম দেখা গেছে। ২২ দিনেই সব মাছ ডিম ছাড়তে পারেনি।
শরণখোলা উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বিনয় কুমার রায় বলেন, সারা বছরই কোনো না কোনো ইলিশের পেটে ডিম থাকে। প্রজননের এ সময়টাতে ৫০ ভাগ মাছ ডিম ছাড়লেই সেটা অনেক পাওয়া। যে সব মাছ ডিম ছেড়েছে সে গুলো গভীর সমুদ্রে চলে গেছে বলে তিনি জানান।