শাহবাগে মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি পুলিশি বাধায় প-

0
170

টাইমস ডেস্ক:
সেশনজট নিরসনসহ চার দফা দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে মেডিক্যাল এবং ডেন্টাল মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি পুলিশি বাধায় প- হয়েছে। করোনা ভাইরাস মহামারির মধ্যে প্রফ পরীক্ষা না নেওয়া, সেশনজট নিরসন করে যথাসময়ে কোর্স সম্পন্ন করার ব্যবস্থা, বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ৬০ মাসের বেশি বেতন না নেওয়া ও মহামারির সময় পরীক্ষা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হলে দায়ভার কর্তৃপক্ষকে নেওয়ায় দাবি জানিয়ে আসছেন মেডিক্যাল শিক্ষার্থীরা। গতকাল রোববার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শাহবাগ মোড়ের রাস্তা আটকে অবস্থান নেন এসব শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশের বাধার মুখে শাহবাগ চত্বর ছাড়তে হয় আন্দোলনকারী মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের। এর আগে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচির কারণে শাহবাগ মোড়ে প্রায় দুই ঘণ্টা যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ ছিল। এতে ওই এলাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মেডিক্যাল শিক্ষার্থী বলেন, আমরা চার দফা দাবিতে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শাহবাগ চত্বরে অবস্থান নিয়েছিলাম। পুলিশের লাঠিচার্জের কারণে আমরা বাধ্য হয়েছি সেখান থেকে ফিরে আসতে। আমরা এখন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ডিন অফিসে সামনে অবস্থান করছি। তিনি বলেন, পুলিশের লাঠিচার্জের কারণে আমাদের অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, অবিলম্বে সেশনজট দূরীকরণের লক্ষ্যে পরবর্তী ফেজের অনলাইন ক্লাস শুরুর নির্দেশনা এবং পরীক্ষা, ক্লাস সংক্রান্ত সব আদেশের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা বিবেচনা করতে অনুরোধ করেন তারা। প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীদের দাবি, করোনার মধ্যে প্রফ পরীক্ষা না নেওয়া, সেশনজট নিরসন করে যথাসময়ে কোর্স সম্পন্ন করার ব্যবস্থা, বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ৬০ মাসের বেশি বেতন না নেওয়া ও মহামারির সময় পরীক্ষা দিতে গিয়ে করোনা আক্রান্ত হলে দায়ভার কর্তৃপক্ষকে নেওয়ায় দাবি জানিয়ে আসছেন মেডিক্যাল শিক্ষার্থীরা। মেডিক্যাল শিক্ষার্থীরা জানান, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এমবিবিএস/বিডিএস কোর্সের ২য় ও ৩য় এবং পর্যায় ক্রমে প্রথম ও শেষ বর্ষের বৃত্তিমূলক পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে আগামী ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে। সাম্প্রতিক সময়ে করোনার কারণে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মেডিক্যাল কলেজ গুলো বন্ধ আছে। কিন্তু সরকার অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখার জন্য বিভিন্ন গ্রহণ যোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের কার্যক্রম সচল রাখার জন্য পরীক্ষা নেওয়ার মতো যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা হুমকি স্বরূপ হতে পারে। এ সময় অবস্থান কর্মসূচিতে সরকারি-বেসরকারি সাধারণ মেডিক্যাল এবং ডেন্টাল মেডিক্যাল কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হারুন অর রশিদ বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো লাঠিচার্জ হয়নি। দূর থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উল্টো পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়েছে। আমরা তাদের শান্তিপূর্ণ ভাবে চলে যেতে বলেছি।