শরণখোলায় হচ্ছেনা গবাদী পশুর চিকিৎসা বন্ধ কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রম

0
349

শরণখোলা আঞ্চলিক অফিস ঃ
শরণখোলায় ৩ বছর যাবৎ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা সহ ৯ জনের পদশূণ্য থাকায় প্রাণী সম্পদ অফিসের স্বাভাবিক কাজকর্ম মারাত্মকভাবে বিঘিœত হচ্ছে। মানুষ গবাদী পশু নিয়ে এসে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। বন্ধ রয়েছে গাভীর কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রম।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলার প্রাণী সম্পদ অফিসে ১১ জন কর্মকর্তা কর্মচারীর স্থলে বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন একজন ভেটেরিনারী সার্জন ও একজন ফিল্ড এসিষ্ট্যান্ট। দীর্ঘ ৩ বছর যাবৎ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা, ২ জন ভেটেরিনারী ফিল্ড এসিষ্ট্যান্ট, ১ জন কম্পাউন্ডার, ১ জন ড্রেসার, ১ জন এসিষ্ট্যান্ট মাঠ সহকারী কৃত্রিম প্রজনন, ১ জন ইউএলও সহকারী, ১ জন অফিস সহকারী, ও ১ জন অফিস সহায়কের পদ শূণ্য রয়েছে।
উপজেলার খোন্তাকাটা গ্রামের কৃষক সাইদুর রহমান মুন্সি, আঃ হক হাওলাদার অভিযোগ করে জানান, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ে চিকিৎসার জন্য তাদের গরু ছাগল নিয়ে গেলে সেখানে লোকজন পাওয়া যায় না । বাধ্য হয়ে তাদেরকে গ্রামের হাতুড়ে চিকিৎসকের কাছে যেতে হচ্ছে। সেখানে ভুল চিকিৎসায় অনেক ক্ষেত্রে গরু ছাগল মারাও যায়।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ মোঃ আলাউদ্দিন মাসুদ প্রাণী সম্পদ অফিসে ৯ জনের পদ শূণ্য থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, এ উপজেলায় ১৬ হাজার গরু, ৬ হাজার ছাগল ও প্রায় ৩ লাখ হাঁস মুরগী রয়েছে। এ ছাড়া তালিকাভূক্ত রয়েছে ৪৪টি গরুর খামার, ১২০টি হাঁস মুরগীর খামার। প্রয়োজনীয় লোকবল না থাকায় তারা গবাদী পশু সহ অন্যান্য প্রাণীর কাংখিত চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তাফা শাহীন বলেন, সংশ্লিষ্ট দপ্তরে খোঁজ নিয়ে মন্ত্রণালয়ে জনবল নিয়োগের জন্য লেখা হবে।
বাগেরহাটের জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ লুৎফর রহমান মোবাইল ফোনে বলেন, সারা দেশেই প্রাণী সম্পদ দপ্তরে লোকবলের অভাব রয়েছে। কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়োগ হলে শূণ্যপদ পূরণ হবে তবে বিশেষ ব্যবস্থায় প্রকল্পের মাধ্যমে শীঘ্রই শরণখোলায় ২/১ জনের নিয়োগের পদক্ষেপ নেয়া হবে।