শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার : পরিবেশ মন্ত্রী

0
208

টাইমস ডেস্ক::


পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে জনগণকে সম্পৃক্ত করে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্প গ্রহণ করেছে সরকার।

তিনি বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষকে শব্দ সচেতনতামূলক কর্মসূচী বাস্তবায়নের মাধ্যমে শব্দ সচেতন করে তোলা হবে।

বিভিন্ন মুখি সচেতনতামূলক কর্মসূচী বাস্তবায়নের মাধ্যমে শব্দদূষণের বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করা হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শব্দ দূষণ সহনীয় মাত্রায় নামিয়ে আনা হবে।

মো. শাহাব উদ্দিন আজ রাজধানীর পরিবেশ অধিদপ্তরে আয়োজিত শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের কর্মশালার উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এ,কে,এম রফিক আহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ সচিব জিয়াউল হাসান, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) মাহমুদ হাসান ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত।

এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও প্রকল্প পরিচালক মো. হুমায়ুন কবির।

পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, প্রতি বছর বিআরটিএ প্রায় ৩ থেকে ৪ লাখ নতুন গাড়ীর রেজিস্ট্রেশন প্রদান করছে। যানবাহনের অহেতুক হর্ণ, যত্রতত্র সাউন্ড বক্স, মাইকের মাধ্যমে উচ্চ শব্দ সৃষ্টি করে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকে টেকসই করতে হলে অন্যান্য দূষণের পাশাপাশি শব্দদূষণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

ক্ষতিকর দিকগুলো বিবেচনা করে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে বিদ্যমান আইন ও বিধি-বিধান বাস্তবায়ন ও অতিরিক্ত শব্দ করা থেকে বিরত থাকার সংস্কৃতি গড়ে তোলার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান পরিবেশ মন্ত্রী।
তিনি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিরাপদ আবাস গড়ে তোলার মাধ্যমে শব্দদূষণ মুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির প্রতিও গুরুত্বারোপ করেন।

অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, জনগণকে ব্যাপকভাবে বধির হওয়া থেকে রক্ষা করতে শব্দদূষণ বন্ধের কোন বিকল্প নেই।

এজন্য তিনি পঞ্চম, নবম, দশম ও একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণীর পাঠ্যক্রমে শব্দদুষণের ক্ষতিকর প্রভাব অর্ন্তভূক্ত করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।