শনিবার নিষ্ক্রিয় থেকে শাক দিয়ে মাছ ঢাকা সুবিধাবাদীদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেবে বিএনপি

0
167

খুলনা টাইমস:
দলের দূরর্দিনে ঘরে বসে শাক দিয়ে মাছ ডাকছে বিএনপির সুবিধাবাদীরা। গত শনিবার খুলনায় বিএনপির সমাবেশ শেষ হওয়ার পর বিএমপির নেতাকর্মীদের মধ্যে এমন গুঞ্জন উঠেছে। বিএনপি নেতাদের ঘরোয়া আলোচনায়, রাস্তার মোড়ের আড্ডায় একই আলোচনা হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির কয়েকজন নেতা কর্মী জানান, দলের সুবিধাভোগী নেতা কর্মীরা পুলিশের কথা বলে আত্ম গোপনে গিয়ে এসি রুমে ঘুমিয়ে থাকে। আবার পরিবেশ ভাল হলে বিএনপি অফিসে এসে রাজনৈতিক পরিবেশকে নষ্ট করে। গত শনিবার বিএনপির সমাবেশকে গত চার পাঁচ দিন পুলিশ বিএনপির নেতা কর্মীদের গ্রেফতার করে। এর মধ্যদিয়ো সারা শহরে কিছু নেতাকর্মী কস্ট করে পোস্টারিং, নেতাকর্মীদের উৎসাহিত করনসহ নিরাপদ রেখেছে নিজেকে ও অন্যকে, জেলে থাকা নেতা কর্মীদের খোজ নিয়েছে, খাবার নিত্য প্রয়োজনিস থানায়, হাজতে পৌছে দিয়েছে। তাদের পরিবারের খোজ খবর রেখেছে। শনিবার সারা শহরে পুলিশি প্রহরাকে ফাঁকি দিয়ে সমাবেশ সফল করেছে। আর কিছু নেতা কর্মী পুলিশের কথা বলে খুলনার বাইরে, বাসায় এসি রুমে থেকে সন্ধ্যার পর প্রোগ্রামের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করে বাসা থেকে বের হয়ে উচ্চ বাচ্চ করছেন। রাজনৈতিক পরিবেশ নষ্ট করছেন কুৎসা রটিয়ে। এ ব্যাপারে নগর বিএনপির এক অংশের নেতা সাবেক যুবদল নেতা তুহিন ইসলাম বলেন, বড় পদ আর বড় শরীর নিয়ে, বড় বড় কথা বলা যায়। রাজপথে কঠিন রাজনীতিতে করে ¯্রােতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে থাকতে গেলে মাথার ঘাঁম পায়ে ফালাতে হয়। বড় নায়ে নৌকা বেঁধে বড় বড় কথা বলা যায় কিন্তু রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে থাকা সহজ নয়। বিএনপির নগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, শনিবারের সমাবেশে খুলনায় বিএনপির জন সমর্থন বুঝেছেন যেমন কেন্দ্রীয় নেতারা। তেমনি বুঝেছেন কারা রাজপথের নেতা। প্রত্যেক দলেই সুবিধাবাদী, স্বার্থান্বেষী মহল আছে। আমাদের নাই তা বলব না। আমরা ইতিমধ্যে নিশ্চিত হয়েছি আমাদের ওয়ার্ড, থানা, মহানগর বিএনপির কোন কোন নেতা বা পদ প্রত্যাশি নিষ্ক্রিয় ছিলেন সেদিন। তেমনি নিশ্চিত হয়েছি যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ সকল অঙ্গ সংগঠনের মহানগর, থানা, ওয়ার্ড, কলেজ পর্যায়ের কোন কোন নেতা ও পদ প্রত্যাশীরা নিষ্ক্রিয় ছিলেন। আমরা কেন্দ্রকে জানিয়ে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করব। এছাড়াও কারা প্রোগ্রামে এসে ছবি তুলে চলে গেছেন তাদেরও চিহ্নিত করা হচ্ছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখানো ছবি, ভিডিও ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে।