লাদাখে মুখোমুখি ভারত-চীন সেনাবাহিনী, সংঘাতের শঙ্কা

0
308

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃনিজেদের অবস্থান থেকে সরে না এসেই ভারত বিতর্কিত ডোকলামে চীনের সঙ্গে সমস্যা মিটিয়েছে বলে সম্প্রতি সংসদে দাবি করেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। কিন্তু তার এই দাবির মাঝে লাদাখে ফের চীন ও ভারতের সেনাবাহিনীর সদস্যরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। এতে নতুন করে দুই দেশের সেনাবাহিনীর সদস্যদের মাঝে সংঘর্ষের শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

ভারতীয় সেনাবাহিনী বলছে, লাদাখের ডেমচকের কাছে শেরডং-নেরলং নাল্লান এলাকায় দুই সপ্তাহ আগে অনুপ্রবেশ করে চীনা সেনাবাহিনী। স্থানীয়দের পোশাক পরে ছাগল চরাতে চরাতে ভারতীয় এলাকায় ঢুকে পড়ে চীনা সেনারা। পরে সেখানে পাঁচটি তাঁবু বসানো হয়। খবর পেয়ে ওই এলাকায় চীনা সেনাবাহিনীর মুখোমুখি দাঁড়ায় ভারতীয় সেনা।

লাদাখে মোতায়েন ভারতীয় সেনাবাহিনীর ১৪ নম্বর কোরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নেরলং এলাকায় একটি রাস্তা তৈরি করছিল স্থানীয় প্রশাসন। সেই কাজ বন্ধ রাখার দাবি করেছে চীনা সেনা। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে ওই এলাকা চীনের বলে দাবি তাদের। চীনাদের জন্য ওই এলাকায় পশুচারণের অধিকারও দাবি করেছে তারা। ভারত এই দাবি মানতে রাজি নয়। ব্রিগেড কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকের পরে দু’টি তাঁবু সরিয়েছে চীন। কিন্তু এখনও মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে দু’দেশের সেনাসদস্যরা।

স্থানীয় কর্মকর্তা অবনী লাভাসা জানিয়েছেন, বসন্ত ও শরৎ মৌসুমে শেরডং-নেরলং এলাকায় পশুচারণ করা হয়। কিন্তু গোলমালের আশঙ্কায় ভারতীয় পশুপালকদের ওই এলাকা থেকে সরিয়ে এনেছে সেনাবাহিনী। তারা আপাতত ওই এলাকা থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে উলংয়ে তাঁবু খাটিয়ে রয়েছে। কিন্তু পশুচারণ না করতে পারলে তারা বিপাকে পড়বেন বলে দাবি পশুপালকদের। তাই ওই এলাকায় ফেরার দাবিতে বিক্ষোভ করছেন তারা।

নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে বিভিন্ন এলাকার মালিকানা নিয়ে বিবাদ রয়েছে ভারত ও চীনের। সেখানে মাঝেমধ্যেই অনুপ্রবেশের অভিযোগ ওঠে। কিন্তু গত বছর ভারত-চীন-ভুটান সীমান্তের ডোকলামে চীনা অনুপ্রবেশের ফলে বড় ধরনের কূটনৈতিক সঙ্কট তৈরি হয়।

সেই সঙ্কট চলাকালীন লাদাখের প্যাংগং হ্রদের কাছে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল চীনা সেনাবাহিনী। সেই সময় ভারতীয় জওয়ানদের সঙ্গে তাদের ধ্বস্তাধ্বস্তিও হয়। শেষ পর্যন্ত ডোকলামে মুখোমুখি দাঁড়ানো অবস্থা থেকে পিছু হটে দু’দেশের সেনা। কিন্তু কংগ্রেসসহ ভারতের অন্যান্য বিরোধীদগুলোর দাবি, ডোকলামে তৈরি পরিকাঠামো সরায়নি চীন। বস্তুত বেইজিংয়ের কাছে নতিস্বীকার করেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার।