লম্বা ব্যাটিং লাইনআপ নিয়ে একাদশ সাজাবে বাংলাদেশ

0
410
Britain Cricket - Australia v Bangladesh - 2017 ICC Champions Trophy Group A - The Oval - June 5, 2017 Bangladesh's Tamim Iqbal in action Action Images via Reuters / Peter Cziborra Livepic EDITORIAL USE ONLY.

স্পোর্টস ডেস্ক:

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের ব্যাটিং অর্ডার ছিল নয়, মাশরাফি মর্তুজা দশে। সাইফুদ্দিন তো ব্যাট হাতে বেশ পটুই, মাশরাফির ব্যাটিং মুন্সিয়ানাও সমাদৃত। অর্থাৎ কেবল মোস্তাফিজুর রহমান ছাড়া একাদশের বাকি সবাই ব্যাট করতে জানেন। বিশ্বকাপেও এমনটি মাথায় রেখে একাদশ সাজানোর কথা জানালেন কোচ স্টিভ রোডস।

বিশ্বকাপের আগে লেস্টারে তিন দিনের ক্যাম্প করেছে বাংলাদেশ দল। বুধবারই ছিল সেই ক্যাম্পের শেষ দিন। কিছুটা ঢিমেতালে চলা এই ক্যাম্পের পর দল যাচ্ছেন কার্ডিফে। সেখানেই আইসিসির অতিথি হয়ে শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপ মিশন। ২৬ ও ২৮ মে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তান ও ভারতের সঙ্গে খেলবে বাংলাদেশ।

তার আগে কোচ রোডস জানালেন ইংল্যান্ডের উইকেটের মেজাজ মর্জি খুব ভালো বুঝে নিয়েছেন তারা। এখানে জিততে হলে করতে হবে বড় রান কিংবা তাড়া করতে হবে বিশাল কোন চ্যালেঞ্জ।

বোলারদের বধ্যভূমিতে তাই দলের ব্যাটসম্যানদের উপর বেজায় আস্থা কোচের এখানে উইকেট খুব ভালো। আউটফিল্ডও খুব গতিময় বল করা তাই খুব কঠিন বিশেষ করে পাওয়ার প্লের সময়। কাজেই আমরাও বড় সংগ্রহ গড়তে পারব সেটা বিস্ময়কর হবে না। এমন পরিবেশে আগে খেলিনি বলেই বড় স্কোর হতো। গত এক বছর ধরে আমরা প্রচুর খাটছি।ওয়ানডেতে বাংলাদেশ এখন অনেক এগিয়ে গেছে। আশা করছি এভাবে এটা ধরা রাখা যাবে।

বড় রান করা বা তাড়া করার মূলমন্ত্র আপাতত লম্বা ব্যাটিং লাইনআপ। সম্প্রতি ডেথ বোলিংয়ে সাইফুদ্দিন দারুণ করায় এখন একজন বাড়তি ব্যাটসম্যান নিয়ে নামতে পারছে বাংলাদেশ। পেস অলরাউন্ডার সাইফুদ্দিন একই সঙ্গে সামলাচ্ছেন তৃতীয় পেসারের দায়িত্ব। এমনকি মাশরাফির সঙ্গে ইনিংসের শুরু আর মোস্তাফিজের সঙ্গে শেষটায় রাখছেন অবদান।

আর এতে একাদশে ব্যাটিংয়ে আনকোরা কেবল একজনই একাদশে জায়গা পাচ্ছেন বলে স্পষ্ট করেছেন রোডস লম্বা ব্যাটিং লাইনআপ নিয়ে খেলার চেষ্টা করছি। সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি যাতে কেবল একজন বোলার থাকে যে ব্যাটিংয়ে অতো পারদর্শী নয়, তিনজন নয়। আমার মনে হয় এটা বড় রান করতে সাহায্য করবে। যখন অনেক বড় রান তাড়া করতে হবে তখন শেষ দিকে তিন-চার ওভারে অনেক উইকেট পড়তে পারে।

বাংলাদেশ টপ অর্ডার বেশ ভালো পারফর্ম করছে। মিডল অর্ডার দিচ্ছে ভরসা। লেট অর্ডারের তেমন পরীক্ষা না হলেও সেখানে পারফর্মারের ছড়াছড়ি কোচকে দিচ্ছে প্রশস্তি তেড়েফুঁড়ে মারার সক্ষমতা আছে সাব্বিরের। শেষ ১০ ওভারে প্রচুর রান বাড়াতে পারে সে। যদি ওভারপ্রতি ৭ করে দরকার হয় তাহলে তার বোঝার ক্ষমতা আছে যে কাজটা তাকে শেষ করতে হবে। একই কথা খাটে মাহমুদউল্লাহর বেলায়। মোসাদ্দেক কি করতে পারে আপনারা দেখেছেন। এছাড়া মিরাজ, মিঠুন, সাইফুদ্দিনকে আমরা শেষ পর্যন্ত ব্যাট করতে দেখতে চাই। পাঁচ, ছয়, সাত , আট, নয় এমন পজিশনে তারা খেলবে। মাশরাফিও মারতে পারে।