রোহিঙ্গাদের নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সুপারিশ প্রত্যাখ্যান করেছি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

0
134

খুলনা টাইমস : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন জানিয়েছেন, রোহিঙ্গাদের নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সুপারিশ প্রত্যাখ্যান করেছি আমরা। তাদের সুপারিশ রিভিউ করার জন্য আমরা বলেছি। গতকাল সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ তথ্য জানান। রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ড. মোমেন বলেন, বিশ্বব্যাংক ১৬টি দেশের শরণার্থীদের নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে। প্রতিবেদনে বাংলাদেশের রোহিঙ্গাদের নিয়ে সুপারিশ করেছে যে, তাদের জন্মনিবন্ধন, চাকরির সুযোগ, জমি কেনা, নির্বাচন করার অধিকার মানে অনেকটা বাংলাদেশের নাগরিকদের মতো সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে। তাহলে রোহিঙ্গাদের জন্য তারা বড় একটা ফান্ড দেবে। আমরা তাদের সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছি। তিনি জানান, রোহিঙ্গাদের আমরা নিজ দেশে ফেরাতে চাই। সেটাই আমাদের লক্ষ্য। তাই বিশ্বব্যাংকের সুপারিশ আমরা রিভিউ করতে বলেছি। ড. মোমেন আরও জানান, বাংলাদেশে কিছু লোক আছেন, বিশ্বব্যাংকের পক্ষে সব সময় কথা বলেন। তাদের থেকে আমাদের সাবধান হওয়া উচিত। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংকের এই সুপারিশ না মানলেও সংস্থাটির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খারাপ হবে না। করোনার ভ্যাকসিনের বিষয়ে মোমেন বলেন, চীনের সিনোফার্ম টিকা উৎপাদনে ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক এমওইউ স্বাক্ষর হবে। চীন এমওইউ স্বাক্ষরের জন্য প্রস্তাব দিয়েছে। গতকাল সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ তথ্য জানান। রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ড. মোমেন বলেন, চীন টিকার যৌথ উৎপাদনে এমওইউ সইয়ে প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা সেই প্রস্তাব স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশের ইনসেপ্টা কোম্পানি ও সিনোফার্ম এই টিকার যৌথ উৎপাদন করবে। এমওইউ যত দ্রæত হবে, ততই ভালো। তিনি জানান চীন অনেক দেশের সঙ্গেই টিকার যৌথ উৎপাদনে যাচ্ছে। আমাদের সঙ্গে চুক্তি হওয়ার দুই মাসের মধ্যে উৎপাদন সম্ভব হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগামী দুই মাসে দেশের জনগণকে ৮ কোটি টিকা দেওয়া হবে। ড. মোমেন বলেন, আগামী ৭ থেকে ১৪ আগস্ট এক সপ্তাহে ১ কোটি টিকা দেওয়া হবে। প্রতি সপ্তাহে ১ কোটি টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা আমরা নিয়েছি। সে অনুযায়ী আগামী দুই মাসে ৮ কোটি টিকা দেওয়া হবে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কোভ্যাক্সের আওতায় জনসন টিকা পাওয়ার জন্য আশা করছি। তবে জনসন টিকার দাম বেশি বলে কেউ সেটা কিনে দান করতে চাইছেন না। তবে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।