রোববার থেকে খুলনায় দোকানপাট খোলা, চলাচল করবে ৫০ শতাংশ ইজিবাইক

0
183
নিজস্ব প্রতিবেদক:

খুলনা জেলা প্রশাসন করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। জেলা প্র্র্রশাসনের ঘোষণায় বলা হয়েছে, সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত সকল দোকানপাট খোলা থাকবে। লাইসেন্সধারী ৫০ শতাংশ ইজিবাইক চলাচল করবে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জেনারেল হাসপাতালে করোনার শয্যা সংখ্যা বাড়ানের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে অনুরোধ জানানো হবে।

শুক্রবার বেলা ১১ টায় খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন এতে সভাপতিত্ব করেন। মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি। বক্তৃতা করেন রূপান্তরের নির্বাহী পরিচালক স্বপন গুহ, খুলনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এস এম জাহিদ হোসেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডি বাবুল রানা, পুলিশ সুপার মাহবুব হাসান। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুদার আব্দুল খালেক বলেন, ‘খুলনা বিভাগের অবস্থা খারাপ।

সাতদিনের যে বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছিল তাতে তেমন কোন উন্নতি হয়নি। খুলনার বিষয়ে কারও কোন মাথা ব্যাথা নেই। খুলনার বাস্তব চিত্র তুলে ধরতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘এক প্রান্ত খোলা রেখে অন্য প্রান্ত বন্ধ রেখে বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। পরিস্থিতি নাগালের বাইরে চলে গেলে কেউ রেহাই পাব না।’ খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মাদ ইসমাঈল হোসেন ভিডিও কনফারেন্সে বলেন, সাতক্ষীরার প্রভাব খুলনায় এসে পৌঁছেছে। আম এবং বন্দরের মালামাল আনা নেওযায় সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। কুষ্টিয়ায় সর্বাত্মক লকডাউন চলছে। এখানে সংক্রমণ ৩০ শতাংশে নেমে এসেছে। যশোরে আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়ছে। সেখানে বিধিনিষেধ চলছে। বাগেরহাটের মোংলায়ও বিধিনিষেধ চলছে।

গত ৩ জুন থেকে খুলনা সদর, সোনাডাঙ্গা, খালিশপুর ও জেলার রূপসা থানায় বিধিনিষেধ ঘোষণা করা হয়। করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে আইসিইউ থেকে শুরু করে এইচডিইউ এমনকি সাধারণ শয্যা কোথাও ফাঁকা নেই। ১শ’ শয্যার হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা ১৩০ জন।