‘রোনালদোর ব্যবহার ‘প্রোটেকটিভ মাস্কে’র মতো’

0
305

খুলনাটাইমস স্পোর্টস : বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের আক্রমণের পর থেকেই সবার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস হয়ে গেছে প্রোটেকটিভ মাস্ক। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচার জন্য মাস্কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক। এবার সেই মাস্কের উপমা ব্যবহার করেই বর্ণনা করা হলো বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর ব্যবহার। পর্তুগিজ এ সুপারস্টারের সাবেক সতীর্থ মার্কাস মার্টিন নয়মায়ার তাকে আখ্যায়িত করেছেন ‘প্রোটেকটিভ মাস্ক’ হিসেবে। স্বদেশি ক্লাব স্পোর্টিং লিসবন ছেড়ে ইংল্যান্ডের দল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দেয়ার পর প্রায় তিন মৌসুম নয়মায়ারের সঙ্গে খেলেছেন রোনালদো। তবে এর মধ্যে দুই মৌসুমই আবার ‘বি’ দলে ছিলেন নয়মায়ার। মূলতঃ এ কারণেই রোনালদোকে প্রোটেকটিভ মাস্ক বলেছেন এ জার্মান মিডফিল্ডার। রোনালদো ইউনাইটেডের মূল দলে খেললেও, নিয়মিতই খোঁজখবর রাখতেন নয়মায়ারদের বি দলের। তার এ গুণটিকেই সুরক্ষা মাস্কের সঙ্গে তুলনা করেছেন নয়মায়ার। একসঙ্গে খেলার প্রায় ১৪ বছর পরেও রোনালদোর চরিত্রের এ দিকটি ঠিকই মনে রেখেছেন তিনি। নয়মায়র বলেন, ‘আমি শুধু তার (রোনালদো) ব্যাপারে ইতিবাচক কথাই বলতে পারি। বাইরে থেকে হয়তো তাকে অনেক রাগী মনে হতে পারে। কিন্তু তার ব্যবহার আসলে প্রোটেকটিভ মাস্কের মতো। আমি তাকে সবসময় বন্ধুবৎসল এবং খুবই হাসিখুশি একজন হিসেবেই দেখেছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এমনকি সে যখন মূল দলে খেলে, তখনও বি দলের ব্যাপারে খুব আগ্রহী ছিলো। বি দলের খেলোয়াড়দের ব্যাপারে সব জানত সে। শেষ মৌসুমে যখন মূল দলের সঙ্গে ছিলাম আমি, তখন সবসময় টিম বাসের একদম শেষদিকে জেরার্ড পিকে ও রোনালদোর সঙ্গে বসতাম।’ ৩৪ বছর বয়সী এ মিডফিল্ডারের ম্যানইউতে যোগ দেয়ার ঘটনাটা ছিল দারুণ। ২০০৩ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সেই কিংবদন্তি কোচ স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের নজর কেড়েছিলেন তিনি। যে কারণে ফার্গুসনের বাসায় রাতের খাবারের দাওয়াতও পেয়েছিলেন তিনি। সেই স্মৃতি মনে করে নয়মায়ার বলেন, ‘আমার ট্রায়াল শেষে, তিনি (ফার্গুসন) আমাকে বাসায় দাওয়াত দিলেন। উনার স্ত্রী আমাদের জন্য চা বানিয়ে দিয়েছিলেন এবং আমরা প্রায় এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ফুটবল আলোচনা করি। তিনি আমাকে বুঝাচ্ছিলেন ক্লাব এখন কোথায় দাঁড়িয়ে এবং আমার ব্যাপারে তার পরিকল্পনা কী। মাত্র ১৬ বছরের একজন তরুণের জন্য এটা খুবই অনুপ্রেরণাদায়ী ছিলো।’ তবে তুমুল সম্ভাবনা নিয়ে এলেও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে একটি ম্যাচও খেলা হয়নি নেউমারের। প্রথম দুই মৌসুম ছিলেন বি দলে। পরে ২০০৫-০৬ মৌসুমে মূল দলে এলেও সুযোগ পাননি খেলার। সেই মৌসুম শেষেই ডুইসবার্গে যোগ দেন নয়মায়ার।