রূপসা-ফকিরহাট পুরাতন রাস্তায় ইটবাহী যান চলাচলে জনসাধারণের ভোগান্তি

0
224

বাগেরহাট সদর প্রতিনিধি:
রূপসা টু ফকিরহাট পুরাতন রাস্তায় ইট বাহী যানবাহনের কারণে জনসাধারণ প্রতিনিয়তই ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। জানা যায়, পুরাতন রেল লাইন সম্পৃক্ত রূপসা টু বাগেরহাট ভায়া ফকিরহাট যাবার পুরাতন রাস্তাটি এখনো জনবহুল ব্যস্ত রাখা হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী সহ যাতায়াতের শর্টকাট হিসাবে এই রাস্তার চলাচল রয়েছে। আবার অনেকে সড়ক বা মহাসড়ক এড়িয়ে চলাচল করতে এই রাস্তাটি ব্যবহার করে। সাইকেল, ভ্যান, গাড়ি, মোটর সাইকেল, ইজি বাইক, পিক-আপ, নসিমন, করিমন সহ বিভিন্ন ধরণের যানবাহন এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। আবার রূপসা বেষ্টিত এলাকার ইট ভাটার ইট পরিবহনের জন্য টরি, নসিমন, করিমন চলাচল করে দাপটের সাথে। এই যানবাহনগুলি যেমন এই রাস্তা দিয়ে দ্রæত চলাচল করে , তেমনি দ্রæত চলাচলকারী এই যানবাহনগুলি নিয়ন্ত্রণ করাও কঠিন। তাছাড়া পুরাতন রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে রয়েছে সংকীর্ণ। কোথাও রয়েছে ভাঙ্গা। এর মধ্যে দিয়ে এসব দানব নামের এসব পরিবহন নিয়ন্ত্রণহীন চলাচলের কারণে সাধারণ মানুষ থাকে শংকীর্ণ। সাইকেল – মোটর সাইকেল আরোহীরা এসব যানবাহনের দাপটে স্বাভাবিক ভাবে চলাচল করতে আতংতিক থাকে। আবার গরমের সময় রাস্তা ঘাট দিয়ে ধুলা-বালি উড়তে থাকে। এসব যানবাহন ইট বহন করে যাবার সময় ইটের ধুলা আর রাস্তার ধুলায় পুরো রাস্তা জুড়ে থাকে। আবার এই সব পরিবহনকে সাইড দিয়ে গিয়ে মোটর সাইকেল আরোহীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এই সমস্যা ২/১ দিনের জন্য নয়। বলতে গেলে সারা বছর ব্যাপী এই সমস্যা বিরাজমান। সোহেল নামের পথচারী জানান, “ ইট বাহী পরিবহনগুলি দ্রুত গতিতে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে চলাচল করায় জনসাধারণের চলাচলে বিভিন্ন ধরণের অসুবিধা হয়। কোনভাবে এলাকাবাসী এর থেকে পরিত্রাণ পাচ্ছে না। উক্ত রাস্তার নিয়মিত পথচারী মোটর সাইকেল আরোহী বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের খুলনা আঞ্চলিক কেন্দ্রের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো: নজরুল ইসলাম এ প্রতিনিধিকে জানান,“ তিনি নিয়মিত উক্ত রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন কিন্তু ইটবাহী এ সব অনুনোমোদিত যানবাহনের কারণে সাধারন মানুষের খুবই অসুবিধা হয়। ধুলা-বালি উড়িয়ে চলা সব নিয়ন্ত্রণহীনভঅবে চলার কারণে সব সময় দুর্ঘটনার আশংকা থাকে। এলাকাবাসী যাতে এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে পারে সে জন্য তিনি সহ ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবার দাবি জানান।