রুশো-ফ্রাইলিঙ্ক নৈপুণ্যে কুমিল্লাকে হারিয়ে প্লে-অফের আরও কাছে খুলনা

0
263

খুলনাটাইমস স্পোর্টস : দক্ষিণ আফ্রিকার বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান রিলি রুশোর মারমুখী ব্যাটিংয়ের পর পেসার রবি ফ্রাইলিঙ্কের বোলিং দৃঢ়তায় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের প্লে-অফের আরও কাছে পৌছে গেল মুশফিকুর রহিমের খুলনা টাইগার্স। আজ টুর্নামেন্টের ৩৭তম ম্যাচে খুলনা ৩৪ রানে হারিয়েছে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সকে। প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ২ উইকেটে ১৭৯ রান করে খুলনা টাইগার্স। ৩৬ বলে অপরাজিত ৭১ রান করেন রুশো। জবাবে ১৪৫ রানে অলআউট হয় কুমিল্লা। বল হাতে ১৬ রানে ৫ উইকেট নেন ফ্রাইলিঙ্ক। এই জয়ে ১০ খেলায় ৬ জয় ও ৪ হারে ১২ পয়েন্ট সংগ্রহে থাকলো খুলনার। এক ম্যাচ বেশি খেলা কুমিল্লার পয়েন্ট ১০। তাদের ৫টি জয় ও ৬টি হার রয়েছে। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। খুলনার দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ও মেহেদি হাসান মিরাজ ৯ ওভারে ৭১ রান যোগ করেন। এরমধ্যে ৩৮ রান অবদান রেখে ফিরেন শান্ত। তার ২৯ বলের ইনিংসে ৪টি চার ও ১টি ছক্কা ছিলো। খুলনার উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গেন কুমিল্লার মিডিয়াম পেসার সৌম্য সরকার। এরপর মিরাজও থামেন ব্যক্তিগত ৩৯ রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার ডেভিড ওয়াইজের বলে বোল্ড হবার আগে ৩৯ বলে ২টি করে চার-ছক্কা হাঁকান তিনি। ১২ দশমিক ২ ওভারে দলীয় ৯৪ রানে মিরাজ ফিরলে, জুটি বাঁধেন রুশো ও অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। দ্রুত উইকেটের সাথে মানিয়ে নিয়ে জুটিতে ৪৬ বলে অবিচ্ছিন্ন ৮৫ রান যোগ করেন রুশো ও মুশফিক। ফলে ১৭৯ রানের সংগ্রহ পায় খুলনা। এবারের আসরে চতুর্থ হাফ-সেঞ্চুরি তুলে ৭১ রানে অপরাজিত থাকেন রুশো। তার ইনিংসে ৬টি চার ও ৪টি ছক্কা ছিলো। এই ইনিংসের কল্যাণে এবারের আসরে ৪১১ রানের মালিক হলেন রুশো। ২টি চারে ১৭ বলে অপরাজিত ২৪ রান করেন মুশফিক। কুমিল্লার সৌম্য ও ওয়াইজ ১টি করে উইকেট নেন। ১৮০ রানের বড় টার্গেটে শুরুটা ভালো হয়নি কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের। ৩১ রানের মধ্যে মূল্যবান দু’টি উইকেট হারায় তারা। দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্যান জাইল ১২ ও অধিনায়ক ইংল্যান্ডের ডেলিড মালান ১ রান করে ফিরেন। এরপর সৌম্য সরকারকে নিয়ে ৩৩ বলে ৫১ রানের জুটি গড়ে দলকে খেলায় ফেরান ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পাওয়া সাব্বির রহমান। রানের জন্য নিজেকে খুঁজতে থাকা সাব্বিরের ব্যাট আজ কথা বলেছে। ৩৩ বলে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। বেশ কয়েকবারই উইকেট ছেড়ে বড় শট খেলেছেন সাব্বির। ২২ রান করা সৌম্যকে শিকার করে এই জুটি ভাঙ্গেন দক্ষিণ আফ্রিকার রবি ফ্রাইলিঙ্ক। ১১তম ওভারে শেষ বলেও উইকেট শিকার করে কুমিল্লার উপর চাপ সৃষ্টি করেন ফ্রাইলিঙ্ক। এই চাপকে দূর করতে উইকেটে গিয়েই মারমুখী হয়ে উঠেন ইয়াসির আলি। আস্কিং রেট বেড়ে যাওয়ার চাপও ছিলো কুমিল্লার। তবে সেটি কমিয়ে আনার চেষ্টায় ছিলেন সাব্বির ও ইয়াসির। তবে ১৫তম ওভারে বড় ধাক্কাই খায় কুমিল্লা। দারুন খেলতে থাকা সাব্বিরকে দুর্দান্ত ক্যাচে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান রুশো। বোলার ছিলেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ আমির। ৭টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৯ বলে ৬২ রান করেন সাব্বির। সতীর্থকে হারানোর পর খেই হারান ইয়াসিরও। তাই ১৭তম ওভারের প্রথম বলে আউট হন ইয়াসির। ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৫ বলে ২৭ রান করেন ইয়াসির। তার বিদায়ের পর ধসে পরে কুমিল্লার লোয়ার-অর্ডার। তাই ১০ বল বাকী থাকতে ১৪৫ রানে অলআউট হয়ে হার মানে কুমিল্লা। বল হাতে খুলনার ফ্রাইলিঙ্ক ৪ ওভারে ১৬ রানে নেন ৫ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
খুলনা টাইগার্স : ১৭৯/২, ২০ ওভার (রুশো ৭১*, মিরাজ ৩৯, ওয়াইজ ১/৩০)।
কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স : ১৪৫/১০, ১৮.২ ওভার (সাব্বির ৬২, ইয়াসির ২৭, ফ্রাইলিঙ্ক ৫/১৬)।
ফল : খুলনা টাইগার্স ৩৪ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : রবি ফ্রাইলিঙ্ক (খুলনা টাইগার্স)