রিয়াল মাদ্রিদে এখন ব্রাজিলিয়ানদের আধিক্য

0
331

খুলনাটাইমস স্পোর্টস : শীতকালীন ট্রান্সফার উইন্ডোর সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে ফ্লেমেঙ্গো থেকে ব্রাজিলিয়ান তরুণ এ্যাটাকিং মিডফিল্ডার রেইনিয়ারকে গতকাল দলে ভিড়িয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। এর ফলে মাদ্রিদ দলে ব্রাজিলিয়ান খেলোয়াড়ের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয়। লস ব্ল্যাঙ্কোসদের সিনিয়র দলে মার্সেলো, এডার মিলিটাও, ক্যাসেমিরো, ভিনসিয়াস জুনিয়র ও রডরিগোর সাথে ষষ্ঠ ব্রাজিলিয়ান হিসেবে যোগ দিলেন রেইনিয়ার। এর আগে ২০০৫-০৬ মৌসুমে ব্রাজিলের সর্বোচ্চ পাঁচজন খেলোয়াড় ছিলেন মাদ্রিদে। হুয়ান রামোন লোপেজের অধীনে ঐ মৌসুমে খেলেছিলেন রোনাল্ডো নাজারিও, রবার্তো কার্লোস, চিনিনহো, জুলিও বাপতিস্তা ও রবিনহো। ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারদের প্রতি রিয়াল মাদ্রিদের আগ্রহ সবসময়ই ইউরোপের অন্যান্য শীর্ষ দলগুলোর তুলনায় বেশী ছিল। বর্তমানে সেটা আরো বেড়েছে কারন দলবদলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আছেন জুনি কালাফাত। রিয়াল সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ নিজেও ব্রাজিলিয়ানদের প্রতি সবসময়ই আগ্রহী ছিলেন। বিশেষ করে ২০১১ সালে বার্সেলোনার কাছে নেইমারকে হারানোর পর রিয়াল বস স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছিলেন আর একটি ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারকেও তিনি মিস করতে চান না । বর্তমান দলে সবচেয়ে পুরোনো ব্রাজিলিয়ান হিসেবে আছে মার্সেলো। ১৩ বছর আগে ২০০৬ সালে ডিসেম্বরে ৬ মিলিয়ন ইউরোতে মার্সেলো রিয়ালে যোগ দিয়েছিলেন। যদিও গত তিন বছর যাবত মার্সেলো স্প্যানিশ ফুটবলের সাথে পরিপূর্ণ ভাবে নিজেকে মানিয়ে নিতে পেরেছেন। লেফট-ব্যাক হিসেবে খেলা শুরু করলেও পরবর্তীতে বিশ্বের সেরা ফুল-ব্যাক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ২০১৩ সালে সাও পাওলো থেকে পাঁচ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে মাদ্রিদে যোগ দিয়েছিলেন ক্যাসেমিরো। জিনেদেন জিদান কোচ হিসেবে না আসা পর্যন্ত অবশ্য মধ্যমাঠে নিজেকে প্রমান করতে পারেননি ক্যাসেমিরো। এরপর ব্রাজিল থেকে আরো তিন খেলোয়াড় দলে ভেড়ানোর পিছনে মূল ভূমিকা ছিল পেরেজ ও কালাফাতের। ২০১৭ সালে বার্সেলোনা থেকে পিএসজি যখন ২২২ মিলিয়ন ইউরোতে নেইমারকে কিনে নেয় তখন থেকে মূলত ট্রান্সফার মার্কেটের চেহারা পুরোপুরি পাল্টে যায়। ভাল মানের কোন খেলোয়াড় পেতে তখন ক্লাবগুলোকে হিমশিম খেতে দেখা গেছে। কম মূল্যে ভাল খেলোয়াড় পাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকি কিলিয়ান এমবাপ্পের মত তরুন খেলোয়াড়দের পিছনেও ১০০ মিলিয়ন ইউরো গুনতে হচ্ছে ক্লাবগুলোকে। ট্রান্সফার মার্কেটে বিশাল পরিমান অর্থ ব্যয় না করেও রিয়াল মাদ্রিদ কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে ঠিকই হ্যাটট্রিক শিরোপা দখল করে নিয়েছে। ক্লাব রেকর্ড ইতিহাসে সম্প্রতি এডেন হ্যাজার্ডকে দলে নিলেও তা অন্যদের তুলনায় ছিল কম। শীর্ষ কোন খেলোয়াড়কে দলে নেয়া আর রিয়ালের পক্ষে সম্ভব নয়। সে কারনেই ভবিষ্যত তারকাদের দিকে হাত বাড়িয়েছে গ্যালাকটিকোরা। ভিনসিয়াস জুনিয়রের পর রডরিগো, আর সম্প্রতি রেইনিয়ারের সাথে চুক্তি তারই প্রমাণ। এই তিনজনের মিলিত ট্রান্সফার ফি প্রায় ১২৫ মিলিয়ন ইউরো। যার ফলে ক্লাবটি প্রায় তিনগুন অর্থ সাশ্রয় করেছে।