রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পেলেন খুলনার সাংবাদিক সোহাগ দেওয়ান

0
964

নিজস্ব প্রতিবেদক:
সুন্দরবনে জলদস্যু-বনদস্যু আত্মসমর্পনে সরকারকে সহায়তা করায় সাংবাদিক সোহাগ দেওয়ানকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, র‌্যাব প্রধান বেনজীর আহমেদসহ অতিথিবৃন্দ তার হাতে এ সম্মাননা ক্রেস্ট ও প্রশংসাপত্র তুলে দেন। শুক্রবার দুপুরে বাগেরহাটের শেখ হেলাল উদ্দিন স্টেডিয়ামে আয়োজিত দস্যুমুক্ত সুন্দরবনের প্রথম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে তাকে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। খুলনা ক্রাইম রিপোটার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব ও স্থানীয় দৈনিক সময়ের খবর পত্রিকায় কর্মরত আছেন।
দস্যুতা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে আত্মসমর্পণ করেছিল এক সময়ের সুন্দরবনে জেলে-বাওয়ালিদের জন্য মূর্তিমান আতঙ্ক ৩২টি বনদস্যু বাহিনীর প্রধানসহ ৩২৮ জন সদস্য। সে সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৪৬২টি বিভিন্ন প্রকার আগ্নেয়াস্ত্র ও ৩৩ হাজর ৫০৪ রাউন্ড গোলাবারুদ তুলে দেয় তারা। গত বছরের ১নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বশেষ ৬টি বনদস্যু বাহিনীর আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করেন। এই আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ৪০ বছর পর গোটা সুন্দরবন বনদস্যু মুক্ত হয়। শুক্রবার ছিলো সুন্দরবন দস্যুমুক্ত ঘোষণার প্রথম বার্ষিকী।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৩১ মে বাগেরহাটের মোংলা বন্দরের ফুয়েল জেটিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের হাতে ৫০টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৫ হাজার রাউন্ড গোলাবারুদ জমা দিয়ে তারা আত্মসমর্পণ করেন। এরপর পর্যায়ত্রমে বনদস্যু মানজার বাহিনী, মজিদ বাহিনী, বড় ভাই বাহিনী, ভাই-ভাই বাহিনী, সুমন বাহিনী, দাদা ভাই বাহিনী, হান্নান বাহিনী, আমির বাহিনী, মুন্না বাহিনী, ছোট শামছু বাহিনী, মজনু বাহিনী, সূর্য বাহিনীসহ ২৬টি বাহিনীর সদস্যরা আত্মসমর্পণ করে। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর বাগেরহাট স্টেডিয়ামে সাত্তার বাহিনী, শরিফ বাহিনী, সিদ্দিক বাহিনী, আল-আমিন বাহিনী, আনারুল বাহিনী ও তৈয়ব বাহিনীর বনদস্যুরা আত্মসমর্পণ করে। আত্মসমর্পণকৃত ৩২টি বাহিনী প্রধানসহ সর্বমোট ৩২৮ বনদস্যু সদস্য স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে। তারা র‌্যাবের হাতে তুলে দেয় ৪৬২টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৩৩ হাজর ৫০৪ রাউন্ড গোলাবারুদ।