রামপাল ভূমি অফিসে জনবান্ধব পরিবেশের পাল্টে গেছে চিত্র

0
349

সুব্র ঢালী,রামপাল (বাগেরহাট):
বাগেরহাটের রামপাল উপজেলা এসিল্যান্ড সুফল কুমার গোলদারের উদ্যোগে বদলে গেছে রামপাল ভূমি অফিসের চিত্র। ভূমি অফিস মানেই দুর্নীতির আখড়া এবং দালালদের অভয়ারণ্য যুগ যুগ ধরে এমনি ধারনা প্রতিটি মানুষের। ঘুষ ছাড়া ভূমি অফিসের কোনো ফাইল নড়া-চড়া করে না, অধিকাংশ ভূক্তভুগী মানুষের এমনই বক্তব্য। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সুফল কুমার গোলদার উপজেলা ভূমি অফিসে যোগদান করার পর থেকে ভূমি অফিস ঢেলে সাজানোর এক ব্যাতীক্রমী উদ্যোগ গ্রহন করেন। দূর্নিতীর বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহনের মাধ্যমে, ঘুষ দূর্নিতীমুক্ত অফিস চত্তরে বৃক্ষরোপনের মাধ্যমে মনোরম পরিবেশ গড়ে তুলেছেন সুফল কুমার গোলদার। অফিস চত্তরে বিভিন্ন জাতের ফুলফল ও সবজির রোপনের মাধ্যমে ব্যাতিক্রমধর্মী ভূমি অফিস হিসাবে সাজিয়ে তুলতে চেষ্টা করছেন তিনি। তার এই উদ্যোগকে স্বাগণ জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রামপাল উপজেলা সহকারী কর্মকর্তা( ভূমি) সুফল কুমার গোলদার এসিল্যান্ড যোগদানের পর থেকে তিনি দূর্নিতীমুক্ত ভূমি অফিস ঘোষনা করে সে লক্ষ্যে কাজ শুরু করেন। সিসিটিভির মাধ্যমে কর্মচারীদের সার্বক্ষনিক কার্যক্রমে নজরদারি করেন তিনি। এই দপ্তরের বিভিন্ন কার্যক্রমে তদারকির মাধ্যমে, জনভোগান্তি ও কমিয়ে এনেছেন। যোগদানের পর থেকে তিনি চলতি অর্থবছরে নামজারী সংক্রান্ত ৪০১ টি মামলা নিস্পত্তি করেছেন। অপরদিকে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে তিনি ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে কাজ করছেন। ভূমি অফিসের কার্যক্রমে ডিজিটাল পদ্ধতির ব্যাবহার (ই-নামজারীতে) তিনি ব্যাপকভাবে জনগনকে উৎসাহিত করছেন। আগে এই দপ্তরে এসিল্যান্ড পদটি শূন্য ছিলো। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তখন নিজেই এসিল্যান্ড এর কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। উপজেলার চাকশ্্রী বাজার এলাকার সামাদ মোল্লা জানান, আমি ওই দপ্তরে আমার একটি জমির মিউটেশন এর জন্য আবেদন করেছিলাম। স্যার এর আন্তরিকতার কারনে আমি মাত্র ১৩ কার্যদিবসে আমার জমির নামপত্তন এর কাগজ হাতে পেয়েছি। অফিসে ভুমিসংক্রান্ত কাজে আসা একাধিক ব্যাক্তি জানান, সকল কাগজপত্র ঠিক থাকলে কোনরকম টাকাপয়সা ঘুষ দেয়া ছাড়া আমরা দ্রুততর সময়ে সেবা পাচ্ছি। ই নামজারির কারনে ডিজিটাল ভাবে আমরা সেবা পেয়ে উপকৃত। ভূমি অফিসে আগে দাড়িয়ে আমাদের ঘন্টার পর ঘন্টা অবস্থান করতে হতো। এখন শীতল পরশ নামে বসার জায়গা ও সুপেয় পানির ব্যাবস্থা আছে। এতে আমাদের কষ্ট অনেকটা লাঘব হয়েছে। সহকারী কর্মকর্তা (ভূমি) এসিল্যান্ড সুফল কুমার গোলদার জানান, পহেলা জুলাই ২০১৯ থেকে সারাদেশের মতো এই অফিসেও শতভাগ ই নামজারী কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। এখন আর ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে নামজারী করা হয়না। একজন ব্যাক্তি এখানে না এসেও অনলাইনে কাঙ্খিণ সেবা পেতে পারে। মানুষের সময় এবং অর্থ যাতে সাশ্রয় হয় তার জন্য গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনলাইনে ই নামজারী চালু করেছে। আমরাও সেই লক্ষ্যপূরনে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা গনশুনানী কার্যক্রমের ব্যাবস্থা করেছি। এর মাধ্যমে আমাদের কর্মকান্ডের একটা স্বচ্ছ ও জবাবদিহীতার জায়গা তৈরী হবে।