রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত

0
320

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ-ভারত ফ্রে-শীপ পাওয়ার প্লান্ট কোম্পানি লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল) এর ৭’ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সহযোগিতায় মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রকল্প (এমএসটিপিপি) এলাকায় একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়।
সোমবার দিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত এই রক্তদান শিবিরে পাওয়ার প্লান্টে কর্মরত শ্রমিক ও কর্মকর্তারা স্বেচ্ছায় রক্ত দান করেন। মূল্যবান জীবন বাঁচাতে এ উদ্দোগে প্রায় ২৫০ ব্যাগ রক্ত সংগৃহীত হয়। উক্ত কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন মি. এস সি পান্ডে, প্রকল্প পরিচালক (এমএসটিপিপি), মোঃ রেজাউল করিম, উপ-প্রকল্প পরিচালক (এমএসটিপিপি), মি. ডি কে দুবে, মহাব্যবস্থাপক (প্রকল্প), রবীন্দ্র কুমার, চিফ টেকনিক্যাল অফিসার এবং অন্যান্য সিনিয়র বিশিষ্টজন।
প্রকল্প পরিচালক মিঃ এসসি পান্ডে বলেন, ‘‘আমরা শ্রমিক ও কর্মকর্তাদের প্রতি অত্যন্ত দায়িত্বশীল। এখানে তাদের সার্বক্ষনিক সেবা দেওয়ার জন্য একটি মেডিকেল টিম এবং অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত থাকে। তাদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থ্যতা এবং সুরক্ষা দিতে আন্তরিকতার সাথে চেষ্টা করি। এছাড়াও আমরা স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে প্রতিবেশী সুলভ আচরণ ও সুসম্পর্ক বজায় রাখি। তাদের সুস্থ্যতা এবং আর্থিক স্বচ্ছলতার জন্য বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের উদ্যোগও নিয়েছি।’’
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবক মিঃ গোপাল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, ‘‘নির্মাণাধীন বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গতবারের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতেও রক্ত দান শিবিরে অংশ নিয়ে রক্ত সংগ্রহ করেছিলাম। গতবারের ন্যায় এ বারও দাতারা স্বেচ্ছায় ২৫০ ব্যাগ রক্ত দান করেছেন। অতি দরিদ্র ও মুমূর্ষ রোগীদের এই রক্ত দিয়ে সহযোগিতা করা হবে। তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করে বলেন, আমরা আশা করি মানবতার সেবায় এ মহান উদ্দ্যোগের সাথে (বিআইএফপিসিএল) সর্বদা আমাদের পাশে থাকবেন।’’
গত ৩১’শে অক্টোবর, ভারত বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে প্রকল্প এলাকায় ১৪,০০০ গাছ লাগানো হয়। এছাড়াও বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলার কমিউনিটি ও সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে। এ পর্যন্ত বিভিন্ন ইউনিয়ন চত্ত্বরে বিনামূল্যে ওষুধ সহ চিকিৎসা সেবায় ৪৫,০০০ গ্রামবাসী উপকৃত হয়েছে। মহিলাদের দক্ষতা উন্নয়নে সেলাই প্রশিক্ষণ ও যুবকদের জন্য কম্পিউটার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, কলেজগুলিতে বিজ্ঞান পরীক্ষাগার সমৃদ্ধকরণ, গ্রামবাসীদের জন্য সুপেয় পানি শোধনাগার, শিশুদের জন্য শিক্ষা উপকরণ, ১৫টি স্কুলে ও ৪টি কলেজে পানীয় জলের ফিল্টার বিতরণ, দরিদ্র গ্রামবাসীদের মধ্যে কম্বল বিতরণ, প্রতিবন্ধিদের মাঝে হুইল চেয়ার, অভ্যন্তরীণ সম্প্রীতি সুরক্ষায় ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন, মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান, স্কুল ও কলেজে চিত্রাঙ্কন এবং রচনা প্রতিযোগিতাসহ রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে।
এছাড়াও (বিআইএফপিসিএল) নৌকাবাইচ, অভাবগ্রস্থদের জন্য চোখের ছানি অপারেশন, আশেপাশের গ্রামের অবকাঠামো উন্নয়নসহ নানা পরিকল্পনা গ্রহন করেছে।