রাজবাড়ীতে কর্মচারীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ দোকান মালিকের বিরুদ্ধে

0
476

খুলনাটাইমস ডেস্কঃ রাজবাড়ীতে কলিং বেল সারতে না পারায় ফাস্টফুডের দোকানের কর্মচারীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে দোকান মালিকের বিরুদ্ধে। শিশির আহমেদ (২৩) নামে ওই কর্মচারী বর্তমানে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) রাত সাড়ে ৭টার দিকে রাজবাড়ী কাপড় বাজার মোড়ের নয়া টেস্ট ফাস্ট ফুডের দোকানে এই ঘটনা ঘটে। ওই দোকানের মালিকের নাম মো. সেলিম উদ্দিন।আহত শিশির আহমেদ পাবনা জেলার সুজানগর থানার মাফুদিয়া গ্রামের ইসলাম শেখের ছেলে। তিনি রাজবাড়ী সরকারী কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। বড় ভাইয়ের বাসায় থেকে পড়ালেখার পাশাপাশি তিনি ওই দোকানে কাজ করতেন।

শিশিরের সহকর্মী ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সম্রাট জানান, দোকানের কলিং বেলটি নষ্ট হওয়ায় কর্মচারী শিশিরকে সেটি সারতে বলে মালিক সেলিম আহমেদ। শিশির কয়েকবার চেষ্টা করেও বেলটি সারতে ব্যার্থ হয়। এতে শিশিরের ওপর ক্ষিপ্ত হয় সেলিম। এক পর্যায়ে তিনি শিশিরকে দোকানের পেছনে রান্নাঘরে নিয়ে তার কান ও মাথায় হাত দিয়ে আঘাত করাসহ বেধরক মারপিট করেন। পরে শিশির তার বড় ভাইকে ফোন করলে তার ভাই এসে তাকে উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে শিশিরের অবস্থার অবনতি হলে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

ওই দোকানের অপর কর্মচারী কুদরত জানান, ছেলেটিকে কানে ও মাথায় যেভাবে মারা হয়েছে এটি কারো কাম্য নয়।শুক্রবার (৩১ আগস্ট) সকালে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে শিশিরের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে কল দেওয়া হলে মেহেদী নামে একজন শিশিরের ফোন রিসিভ করেন। তিনি জানান, শিশির তার এলাকার ছোটভাই। এই মুহুর্তে তিনি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশিরের পাশেই রয়েছেন। শিশিরের কানে ও মাথায় আঘাতের ফলে তিনি গুরুতর আহত হয়েছেন। তার মুখে অক্সিজেন লাগিয়ে রাখা হয়েছে।

রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তারিক কামাল জানান, ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে ও রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ছেলেটির কাছে গিয়েছিলো। বর্তমানে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছেলেটিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।

এদিকে এ বিষয়ে কথা বলতে নয়া টেস্ট ফাস্টফুড দোকানের মালিক সেলিম উদ্দিনের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি শিশিরকে কলিং বেল সারতে বললে সে অনেক লোকজনের সামনে বেয়াদবির সুরে আমাকে জানায়, এটি কি তার কাজ নাকি, সে এটি কেনো করবে। পরে আমি তাকে দোকানের রান্নাঘরে নিয়ে একটি থাপ্পর দেই। কিন্তু, আমার আশেপাশের কয়েকজন দোকানদার রয়েছে, যাদের সঙ্গে আমার দ্বন্দ। ওই দোকানদাররা বিষয়টি ভিন্নভাবে নিয়ে শিশিরকে দিয়ে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।