যোগরাজপুরে সাংবাদিক পরিচয়দানকারী শাহিনের বাড়ি থেকে গাঁজা উদ্ধার

0
200

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
সাংবাদিক নয়, তবুও সাংবাদিক পরিচয়দিয়ে রমরমা মাদক ব্যবসা চালিয়ে যেত শাহিন। কুখ্যাত এ মাদক ব্যবসায়ি সাতক্ষীরা সদরের যোগরাজপুর গ্রামের শাহীনের বাড়ি থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। বৃহষ্পতিবার বিকেল তিনটার দিকে তার বাড়িতে অভিযান চালানোর আগেই শাহীন পালিয়ে যায়। পলাতক মাদক ব্যবসায়ি শাহীন সাতক্ষীরা সদরের যোগরাজপুর গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে। সাতক্ষীরা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিদর্শক বিজয় কুমার মজুমদার জানান, নিজেকে সাংবাদিক পরিচয়ে মোটর সাইকেলের সামনে স্টিকার লাগিয়ে শাহীন দীর্ঘদিন ধরে গাঁজা ও ফেনসিডিলের ব্যবসা করে আসছে। এ কাজে সে তার স্ত্রীকে ব্যবহার করে থাকে। ইতিপূর্বে কয়েকবার মাদকসহ আটক হয়ে জেলে যায় শাহীন। মাদক নিয়ে ধরা পড়ার পরপরই প্রভাবশালী একজন সাংবাদিক ছাড়াও কয়েকজন তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য তদ্বির করেছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহষ্পতিবার বিকেল তিনটার দিকে শাহীনের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় তার খাটের নীচ থেকে ২০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়। অভিযানের আগেই শাহীন পালিয়ে যায়। তার স্ত্রী মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকলেও অন্তঃস্বত্বা হওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। এ ঘটনায় তিনি বাদি হয়ে শাহীনকে পলাতক দেখিয়ে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১) টেবিলের ১৯(ক) ধারায় ওই দিনই থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এদিকে স্থানীয়রা জানান, যোগরাজপুর গাজীর বটতলায় প্রতিদিন সন্ধ্যার পর মাদকের আসর বসে। সেখানে মাদক কেনা বেচা হয়। যোগরাজপুরের আনারের ছেলে সাদ্দাম, একই গ্রামের নূুরুল ইসলামের ছেলে মিজানুর রহমান, পলাশপোলের মায়ের দোয়া স্টীল ফার্নিচারের (কোর্ট এলাকায়) মালিক যোগরাজপুরের দাউদ হোসেন, একই গ্রামের ইলিয়াস হোসেন ওরফে মহিদুল, রওশনের নাতি জনি কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ি শাহীনের মাদক ব্যবসার অংশীদার। এদের মধ্যে মিজানুর ব্যতীত সকলে জেল খেটেছে মাদক মামলায়। তাদের মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করলে শাহীন ও তার সহযোগীরা পাল্টা হুমকি দিয়ে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করে থাকে বলে তারা জানান।