যুক্তরাষ্ট্র তুরস্কের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপে প্রস্তুত

0
258

খুলনাটাইমস বিদেশ : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন তুরস্কের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তুতি নিচ্ছে। সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে তুরস্কের সামরিক অভিযানের কারণে চলতি সপ্তাহেই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হতে পারে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ট্রাম্প প্রশাসনের এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র কুর্দি যোদ্ধাদের রক্ষায় আমাদের সেনা সদস্যদের কাজে লাগানোর বিষয়টি কখনও বিবেচনা করা হয়নি। আর রোববার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সিরিয়া থেকে সব সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন। গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মুচিন জানান, তুরস্ককে লক্ষ্য করে খুব শক্তিশালী নতুন নিষেধাজ্ঞার অনুমতি দিয়েছেন ট্রাম্প। ফলে তুরস্কের অর্থনীতিকে বাধাগ্রস্ত করতে ট্রাম্প প্রশাসন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে যাচ্ছে। রোববার ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি কংগ্রেসের আলোচনা শুনেছেন। ওই আলোচনায় রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট; উভয় দলের নেতারাই নিষেধাজ্ঞার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। টুইটারে ট্রাম্প লিখেছেন, ডেমোক্র্যাটসহ কংগ্রেসের অনেক সদস্যদের আলোচনার পর তুরস্কের বিরুদ্ধে শক্তিশালী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছি। ট্রাম্প আরও লিখেছেন, অর্থ মন্ত্রণালয় প্রস্তুত, হয়ত নতুন বিল প্রয়োজন। এই বিষয়ে বড় ধরনের সচেতনতা রয়েছে। তুরস্ক এটা চেয়েছে, না করে উপায় নেই। সঙ্গে থাকুন। যুক্তরাষ্ট্রের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, সরকারের সব পর্যায়ে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রস্তুতি শেষ করে আনা হয়েছে। ৭ অক্টোবর সিরিয়ায় আইএসবিরোধী অভিযান চালানোর ঘোষণা দেয় তুরস্ক। পরে ৯ অক্টোবর সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে ‘পিস স্প্রিং অপারেশন’ শুরু করে আঙ্কারা। অভিযানের অংশ হিসেবে তুরস্ক সমর্থিত সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মি ইউফ্রেতাসের পূর্বদিকে প্রবেশ করে। তুর্কি অভিযানে সহযোগিতার জন্য তারা অগ্রসর হচ্ছে। পরে কুর্দি নিয়ন্ত্রিত সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় অভিযানে বিমান হামলা ও স্থল অভিযান জোরালো করে তুরস্ক। এতে চার শতাধিক ‘জঙ্গি’ নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে আঙ্কারা। মানবাধিকার সংগঠনগুলো জানিয়েছে, এ অভিযানে ৩৮ বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা তাদের। যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়া থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহারের পরই সামরিক অভিযান শুরু করে তুরস্ক। অভিযান শুরুর পর তুর্কি সামরিক অভিযানের বিরোধিতা করছে যুক্তরাষ্ট্র।