মোড়েলগঞ্জে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ আসায় ৪শ’বাড়ি নজরদারিতে

0
213

মোড়েলগঞ্জ প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ সচেনতায় টানা ২৫ দিন লকডাউনে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরেও নতুন করে ৪শ’ বাড়িকে রাখা হয়েছে নজরদাড়িতে। টানানো হয়েছে লাল পতাকা, মেডিকেল টিম যাচ্ছে বাড়ি বাড়ি।
দেশের করোনা স্পর্শকাতর এলাকা ঢাকা, নারায়নগঞ্জ, ফেনী, মাদারীপুরসহ বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে গত ১সপ্তাহে মোড়েলগঞ্জ উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নসহ পৌরসভায় বিভিন্ন গ্রামে ঢুকে পড়েছে বিভিন্ন পেশার মানুষ। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে প্রবেশকারি ব্যক্তিদের বাড়িগুলোকে সর্তক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও গ্রাম প্রতিরক্ষা কমিটিকে। সার্বক্ষনিক নজরদারিতে রাখা হয়েছে নিজ নিজ গ্রামপুলিশ দ্বারা।
ইউনিয়ন পর্যায়ে চেয়ারম্যানদের তথ্য সূত্রে জানা যায়, তেলিগাতি ইউনিয়নে ৩০জন, পঞ্চকরণ ৩০, জিউধরা ৩৭, খাউলিয়া ২৫, পুটিখালী ১৬, বলইবুনিয়া ৭০, রামচন্দ্রপুরে ২৯, বহরবুনিয়া ১৯, হোগলাবুনিয়া ২৩, দৈবজ্ঞহাটী ২৯, নিশানবাড়িয়া ১৩, হোগলাপাশা ৪, বনগ্রাম ২৩, বারইখালী ১৫, চিংড়াখালী ২৫, সদর ইউনিয়ন ১১ ও পৌরসভায়সহ সর্বমোট ৪ শতাধিক মানুষ স্পর্শকাতর এলাকা থেকে গভীর রাতে প্রবেশ করে বিভিন্ন গ্রামে অবস্থান করেছেন।
এ সর্ম্পকে ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক মজুমদার, আব্দুর রহিম বাচ্চু, আলী আক্কাস বুলু, রেজাউল ইসলাম নান্না, মাহমুদ আলী, জাহাঙ্গীর আলম বাদশা মোর্শেদা আক্তার, শাহাজাহান আলী খান, আকরামুজ্জামান ও রিপন তালুকদার বলেন, প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী এ সব বাড়িগুলোতে লাল পতাকা টানানো হয়েছে। তাদেরকে পৃথক কক্ষে ১৪দিনের জন্য হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য বলা হয়েছে। আনসার বিডিপি, গ্রামপুলিশ, স্থানীয়দের সমন্বয়ে প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্রতিরক্ষা কমিটির মাধ্যমে নজরদাড়িতে রাখা হয়েছে এ বাড়িগুলোকে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা ডা. কামাল হোসেন মুফতি বলেন, সম্প্রতি সময়ে মোরেলগঞ্জে প্রবেশকারিদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মেডিকেল টিম ওই বাড়িগুলোকে সার্বক্ষনিক নজর দাড়িতে রেখেছেন, এদের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। হাসপাতালে প্রস্তুত রাখা হয়েছে আইসোলেশন বিভাগ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.কামরুজ্জামান বলেন, সম্প্রতি সময়ে প্রবেশকারিদের ২৯০ জনের তালিকা করা হয়েছে। প্রতিটি বাড়িতে টানানো হয়েছে লাল পতাকা। চিহিৃত বাড়িগুলোতে প্রবেশ ও বাহির নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ১৪ দিনের হোমকোয়ারেন্টে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।